স্মিথের আচরণ ‘অস্বাভাবিক’ ছিল, দেশে ফিরছেন অ্যাগার
ভারতের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে বিধ্বস্ত হয়ে বিপাকে আছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই দলটি আছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমেও। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে স্টিভেন স্মিথের ক্ষোভে ফেটে পড়ার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচ মাইকেল ডি ভেনুতো।
এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য ভারত সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে গেছেন অ্যাশটন অ্যাগার। তবে তাঁর পরিবর্তে নতুন কাউকে দলে নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ইন্দোরে আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু তৃতীয় টেস্ট।
ভারতের মাটিতে চার টেস্টের প্রথম দুটিতে ন্যুনতম লড়াইও জমাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। নাগপুরে ইনিংস ও ১৩২ রানে হারের পর দিল্লিতে হেরেছে ৬ উইকেটে। ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান স্মিথ। নিজের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না সাবেক অধিনায়ক।
ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে বেশ ক্ষোভও নাকি প্রকাশ করেছেন স্মিথ। আউট হওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোচ ডি ভেনুতো বলেন, ‘আউট হওয়ার পর সে হতাশ হয়ে পড়েছিল। ড্রেসিংরুমে ফিরে বুঝিয়ে দিয়েছে এটা বাজে শট ছিল।’
স্মিথের আচরণ ‘অস্বাভাবিক’ ছিল উল্লেখ করে ভেনুতো বলেন, ‘ম্যাচের এমন একটা মুহূর্ত ছিল, যখন বিশ্বমানের বোলার দ্বারা সে চাপে ছিল। এমনটা হয় কখনো কখনো। স্মিথের প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক ছিল।’
ভেনুতো যোগ করেন, ‘আমার সঙ্গে তাঁর এখনো কথা হয়নি। তবে এ ধরনের কন্ডিশন নিয়ে সে রোমাঞ্চিত ছিল। এই কন্ডিশন সে পছন্দ করে। যে ধরনের প্রভাব সে রাখতে চেয়েছিল, তা রাখতে না পেরে স্বভাবতই হতাশ।’
উইকেট পতনের সঙ্গে দলের মাঝে যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছিল সেটার ব্যাখ্যায় ডি ভেনুতো বলেন, ‘এটা ধীরগতিতে দুর্ঘটনার মতো ছিল, নাকি? আমরা যা দেখেছি আপনারাও তা দেখেছেন। সব সময় একধরনের আতঙ্ক কাজ করছিল।’
দিল্লিতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাতে ১১৫ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়ে আরামে জিতেছে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের অযথা সুইপের সমালোচনা হয়। ডি ভেনুতো অবশ্য দাবি করছেন, ‘তাদের পরিকল্পনায় ভুল ছিল না। খেলোয়াড়েরাই পরিকল্পনা থেকে সরে গেছেন। পরিকল্পনা অবশ্যই ঠিক ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা থেকে সরে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে, সেটাও আমরা দেখেছি।’
বাঁহাতি স্পিনার অ্যাগারের দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক টনি ডোডেমেইডে, ‘আমরা এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি অ্যাগারের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। নিজেকে সে (খেলার) দাবিদার হিসেবে তুলে ধরেছে।’
নাগপুর ও দিল্লি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে জায়গা পাননি অ্যাগার। নাগপুরে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার ছিলেন নাথান লায়ন ও টড মার্ফি। দিল্লিতে এ দুজনের সঙ্গে ম্যাথু কুনেমানকেও টেস্ট অভিষেকের সুযোগ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। দিল্লি টেস্টে টসের আগে অ্যাগারের দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে ডোডেমেইডে বলেছিলেন, ‘লাল বলে সে যেভাবে বল করতে চাচ্ছে, সেভাবে হচ্ছে না।’