নিজের প্রথম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দিয়েছিলেন মাত্র ৪ রান, পেয়েছিলেন লোকেশ রাহুলের উইকেট। পরের ওভারে দিলেন ১৩ রান, তৃতীয় ওভারে ১৫। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেওয়া হলো, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জিততে দরকার ১৭ রান। ক্রিজে সেঞ্চুরিয়ান মার্কাস স্টয়নিস।
মোস্তাফিজ পারলেন না তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংসকে জেতাতে। প্রথম বলে ছক্কা, পরের দুই বলে দুটি চার। তিন নম্বর বলটি আবার হলো নো–ও। ফ্রি হিটে আবার ৪ মেরে স্টয়নিস লক্ষ্ণৌকে এনে দিলেন অসাধারণ এক জয়। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ওই একটাই উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মোস্তাফিজকে।
চেন্নাইয়ের করা ৪ উইকেটে ২১০ তাড়া করতে নেমে লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতল ৬ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে। স্টয়নিস অপরাজিত থাকলেন ৬৩ বলে ১২৪ রান করে, ৬টি ছক্কার সঙ্গে যিনি মেরেছেন ১৩টি চারও। টানা দুই ম্যাচে চেন্নাইকে হারাল লক্ষ্ণৌ। দুই দল নিজেদের ঠিক আগের ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌর মাঠে। সেই ম্যাচে জেতার পর এবার চেন্নাইয়ের মাঠ থেকেও হাসিমুখে ফিরল লোকেশ রাহুলের দল।
স্টয়নিসের সেঞ্চুরিতে বৃথা হয়ে গেছে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের দুটি দুর্দান্ত ইনিংস। ৬০ বলে ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৬ রান করা দুবে। দুজন মিলে গড়েছেন মাত্র ৪৬ বলে ১০৪ রানের জুটি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর। তাঁদের মধ্যে হেনরি ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিলেও মহসিন দিয়েছেন ৫০ ও ঠাকুর ৪৭ রান।