‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, চুপ! চুপ!’
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের সামনেই গ্যালারি। সেখানে বসা দর্শকের মধ্যে ‘বিরাট-১৮’ লেখা সাদা জার্সির সংখ্যাই বেশি। দর্শকের অনেকের হাতে ভুভুজেলা। কিছুক্ষণ পরপর বিকট শব্দে ভুভুজেলা বেজে উঠছে। কাচঘেরা প্রেসবক্স থেকে ভুভুজেলার শব্দ তো বটেই, দর্শকের কথাবার্তাও মোটামুটি স্পষ্টই শোনা যায়।
দর্শকেরা বেশ উচ্ছ্বসিতই ছিলেন সকালের প্রথম তিন-চার ওভার। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সোয়াল শুরুর কয়েকটি ওভার বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদের বলগুলো না খেলে রোহিত-জয়সোয়াল ছেড়ে দিচ্ছিলেন যখন, তখনো ছিল দর্শকের করতালি। সেই সঙ্গে ভুভুজেলার আওয়াজ।
হাসানের বলে রোহিত আউট হওয়ার পর অবশ্য দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ষষ্ঠ ওভারে হাসানের বলে রোহিত ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। অষ্টম ওভারেই আউট শুবমান গিল। প্রেসবক্সের সামনেই বসা কয়েকজন দর্শক তখন দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে কিছু একটা বলছিলেন।
তাঁদের আঙুল বাঁ দিকের গ্যালারিতে বসা বাংলাদেশের এক সমর্থকের দিকে। তাঁকে লক্ষ্য করেই দর্শকেরা আওয়াজ তুললেন ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, চুপ! চুপ!’। এ ঘটনা ঘটল বেশ কয়েকবার। কখনো মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করার ভঙ্গি করে, কখনো চিৎকার করে। এর মধ্যেই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হইচই পড়ে গেল—ক্রিজে যে গেলেন বিরাট কোহলি।
কোহলি তাঁর ব্যাট দিয়ে হাসান–তাসকিনদের আধিপত্য বন্ধ করবেন—দর্শকের প্রত্যাশা তো ছিল তা-ই! কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্যালারিতে নীরবতা—হাসান ফিরিয়ে দিলেন কোহলিকে। বড় বিপর্যয়ে ভারত; রোহিত, গিল, কোহলি—তিনজন সেরা ব্যাটসম্যান আউট।
সেই বাংলাদেশি দর্শক নিশ্চয়ই তখন নিজেকে দারুণ গর্বিত ভাবছিলেন।