কখনোই ছেলের খেলা দেখেননি শচীন টেন্ডুলকার
শচীন টেন্ডুলকার তাঁর ছেলে অর্জুনের খেলা কখনোই দেখেননি!
গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আইপিএলে অভিষেক হয়েছে টেন্ডুলকার-পুত্র অর্জুনের। তিনি অবশ্য বাবার মতো ব্যাটসম্যান নন, বাঁহাতি পেসার, ব্যাটিংটাও মন্দ করেন না। বেশ কয়েক বছর অপেক্ষার পরই এই অভিষেক। এর আগে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন, তাই শচীন-পুত্রের আইপিএল অভিষেকটা হুট করেই নয়।
ছেলের আইপিএল অভিষেকে বেশ আবেগাপ্লুত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার নিজে। কালই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ছেলেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাবা হিসেবে ছেলেকে পরিশ্রম করে যাওয়ার মন্ত্রটাও শুনিয়েছেন। আইপিএলে অভিষেকটা যে ছেলের ক্রিকেটজীবনের সদ্য শুরু, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।
শচীন টেন্ডুলকারের ছেলের অভিষেকটা আইপিএলের ইতিহাসেরও বড় ঘটনা। ২০০৮ সালে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে আইপিএলে খেলা শুরু করেছিলেন শচীন। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছেন ৭৮টি ম্যাচ। এবার একই দলে বাবার পর ছেলে খেলছে—আইপিএলে এমন ঘটনা আর একটি কবে ঘটবে, সেটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
আবেগাপ্লুত শচীন টেন্ডুলকার ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা। কারণ, আমি আগে কখনোই অর্জুনের খেলা দেখিনি।’
নিজে ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর ছেলেই ক্রিকেট খেলছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ব্যাপারটা যে তাঁর নিজের ইচ্ছায় হয়নি, তা পরিষ্কার করেছেন শচীন, ‘আমি সব সময়ই অর্জুনকে স্বাধীনতা দিয়েছি। সে যা করতে চেয়েছে, তা করতে দিয়েছি।’
অর্জুন এক অর্থে তাঁর বাবার অধীনই অভিষিক্ত হয়েছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শচীন টেন্ডুলকার। তবে ছেলে অর্জুনকে কালই যে প্রথম চোখের সামনে খেলতে দেখেছেন, সেটি জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি ডাগআউটে ছিলাম না। ড্রেসিংরুমে চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই অর্জুনের খেলা দেখেছি। আমি চাইনি সে তার নিজের পরিকল্পনা থেকে বিচ্যুত হোক। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে আমাকে দেখে ওর মনে হতে পারে, বাবা ওর ওপর কড়া নজর রাখছে। তাই ড্রেসিংরুমে বসে ছিলাম।’
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে নিজে খেলার পর ছেলের অভিষেক শচীন টেন্ডুলকারের জন্য আবেগের অনুভূতিই, ‘অবশ্যই এটা অন্য রকম অনুভূতি। ২০০৮ সাল ছিল আমার প্রথম মৌসুম। ১৬ বছর পর অর্জুন একই দলের হয়ে খেলল, বিষয়টা মন্দ নয়।’
অর্জুনের নিজের প্রতিক্রিয়া কেমন। শচীন-পুত্রের কাছেও পুরো ব্যাপারটিই আবেগ ও গর্বের, ‘২০০৮ সাল থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলকে সমর্থন করি। আজ আমি সেই দলের জার্সি পরে খেলছি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও ভারতীয় দলের টুপি আমার কাছে বিশেষ কিছুই।’