কামরান গুলামের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৩ সালের মার্চে। সাড়ে ১১ বছর পর সেই কামরানের টেস্ট অভিষেক হলো আজ। আর অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে মাতিয়ে দিলেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবেই এই কীর্তি গড়লেন বাবর আজমের জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া কামরান।
দশম ওভারে পাকিস্তান ১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামা কামরান তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৭৪তম ওভারের শেষ বলে। ইংল্যান্ডের অনিয়মিত স্পিনার জো রুটকে স্লগ সুইপে লং অন দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পেয়ে যান খাইবার পাখতুনখাওয়ার ছেলে কামরান।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসে কামরান করেছেন ১১৮ রান। ৭৯ রানে একবার ক্যাচ তুলেও বেন ডাকেটের ব্যর্থতায় বেঁচে যাওয়া কামরান ২২৪ বলের এই ইনিংসে মেরেছেন ১১টি চার ও ১টি ছক্বা।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হারা পাকিস্তান দিনটা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান তুলে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৭ ও আগা সালমান ৫ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন।
প্রথম টেস্ট যে উইকেটে খেলা হয়েছিল, দ্বিতীয় টেস্টেও খেলা হয়েছে সেই উইকেটেই। একই ভেন্যুতে ব্যবহৃত উইকেটে টানা দুটি টেস্ট আগে হয়েছে কিনা সেটি রীতিমতো গবেষণার বিষয়। সেই উইকেটেই প্রায় ৭৫ ওভার টিকে ছিলেন কামরান।
ব্যবহৃত উইকেট, তাই এই টেস্ট পাকিস্তান খেলতে নেমেছে এক পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে। প্রথম দিনে ৫৭ ওভার বোলিং করেছেন ইংল্যান্ডের স্পিনাররা। আপাত স্পিন-বান্ধব সেই উইকেটে ইংল্যান্ড স্পিনার নিয়ে আসে ষষ্ঠ ওভারেই। প্রথম ওভারে ৫ রান দিলেও ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ পরের ওভারেই বোল্ড করে দেন আবদুল্লাহ শফিককে। পরের ওভারেও উইকেট পেলেন লিচ, এবার শিকার পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। বাজে শট খেলে শর্ট মিডউইকেটে জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দেন মাসুদ।
দিনের বাকি সময়টা শুধুই কামরানের। তৃতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবকে নিয়ে ১৪৯ রানের জুটি গড়েন। ১৬০ বলে ৭৭ রান করে সাইমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌদ শাকিল। ব্রায়ডন কার্সের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৪ রান।
দিনটা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে প্রায় পাড়ই করে দিয়েছিলেন কামরান। ৬০তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৭তম সেঞ্চুরি পাওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেছেন ৮৫তম ওভারে অফ স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে বোল্ড হয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৯/৫ (কামরান ১১৮, সাইম ৭৭, রিজওয়ান ৩৭*; লিচ ২/৯২, কার্স ১/১৪, পটস ১/৩৬, বশির ১/৬৬)। (১ম দিন শেষে)