শেষ দিনে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে শেষ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বড় জয়
শ্রীলঙ্কা: ৫৩১ ও ১৫৭/৭ ডি.।
বাংলাদেশ: ১৭৮ ও ৩১৮।
ফল: শ্রীলঙ্কা ১৯২ রানে জয়ী।
শ্রীলঙ্কার দরকার ৩ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৫১১ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের জয়ের জন্য চাই ২৪৩ রান। চট্টগ্রাম টেস্ট পঞ্চম দিনের সমীকরণটাই বলে দিচ্ছিল, শেষ দিনের খেলাটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। শ্রীলঙ্কার নিশ্চিত জয়টাকে বিলম্বিত করা ছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে বেশি কিছু করার নেই।
মেহেদী হাসান মিরাজ টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ ফিফটি করে সেটাই করার চেষ্টা করলেন। তাঁর অপরাজিত ৮১ রানের লড়াকু ইনিংস বাংলাদেশের রানটাকে নিয়ে গেছে ৩ শর ওপারে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম দিন ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ব্যাটিং করার পর ৩১৮ রানে থামে বাংলাদেশ দল। ১৯২ রানের বড় জয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল লঙ্কানরা।
দিনের শুরুটা যেমন হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের ইনিংস এতটা দীর্ঘ হওয়ার কথা নয়। দিনের পঞ্চম ওভারেই মেন্ডিসের বলে থামে তাইজুল ইসলামের ইনিংস। ২৮ বল খেলে ১৪ রানে গালিতে ক্যাচ তোলেন তিনি। সেখানে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন নিশান মাদুশকা। তাতে ভাঙে তাইজুল-মিরাজের ৩৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটি।
তাইজুল আউট হলেও টিকে ছিলেন হাসান মাহমুদ। মিরাজ-হাসান জুটির সৌজন্যে এই সিরিজে প্রথমবার বাংলাদেশ ৩০০ রান করে। টেস্টে এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ পেরোল বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪১৩, ২০০৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই।
৮৩তম ওভারে হাসানের ইনিংসের ইতি টানেন লাহিরু কুমারা। বাউন্সারের ফাঁদে পড়ে শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তোলেন হাসান। তিনি ২৫ বল টিকে থেকে রান করেছেন ৬। কিন্তু মিরাজের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল ৬৫ বলে ৩১ রানের। শেষ ব্যাটসম্যান খালেদকে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দেননি কুমারা। ৮৫তম ওভারে ৮ বলে ২ রান করা খালেদকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন এই ফাস্ট বোলার। তাতে ৩১৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ ১১০ বল খেলে ১৪টি চারে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন কুমারা।