ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে ওয়ার্নারকে চান বেইলি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আগামী মাসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হোবার্টে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ। এই সিরিজে ডেভিড ওয়ার্নার খেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট আইএলটি২০–এর সূচি সাংঘর্ষিক। আইএলটি২০ টুর্নামেন্টে দুবাই ক্যাপিটালসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ওয়ার্নার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলে এই সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন ওয়ার্নার। এই টেস্ট সিরিজের মধ্যেই ওয়ানডে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চান অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ওপেনার।
আইএলটি২০ শুরু হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই বিগ ব্যাশের লিগ পর্ব শেষ হবে। তবে সিডনি থান্ডার প্লে–অফ রাউন্ডে উঠলে ওয়ার্নার তাঁর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিগ ব্যাশের ফাইনাল ২৪ জানুয়ারি। আইএলটি২০ শেষ হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও গত ২৮ ডিসেম্বর ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছিল, আইএলটি২০ টুর্নামেন্ট খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে না–ও খেলতে পারেন ওয়ার্নার। আইএলটি২০ খেলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ খেলার কথা তাঁর, যেটি শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বেইলি জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়ার্নারকে দলে রাখা হবে এবং অস্ট্রেলিয়ান তারকা খেলবেন বলেই আশা প্রকাশ করেন এই প্রধান নির্বাচক, ‘অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোয় তাকে (ওয়ার্নার) রাখা হবে এবং নিউজিল্যান্ডেও থাকবে।’
সিএর সঙ্গে ওয়ার্নারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। বেইলি জানিয়েছেন, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা দলে থাকবেন, তাঁদের সবাই দেশের হয়ে খেলবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সিরিজ চলার সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে এসব খেলোয়াড়কে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন বেইলি, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চুক্তিবদ্ধ সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এমন। স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হওয়া মানে খেলতে হবে। যদি দলভুক্ত না হয়, তখন দেখতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের জন্য কী আছে। তাই আমার মনে হয়, সে (ওয়ার্নার) যে ওয়ানডে ছেড়েছে, তার পেছনে ওটা (ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা) একটা অন্যতম কারণ। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সে এখনো যে অবদান রাখতে পারে, সেটা ভেবে আমরা রোমাঞ্চিত।’
কোন কোন খেলোয়াড়কে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে এবং সামনে দেওয়া হবে কিংবা না—এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো ক্ষমতা বেইলি এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলগুলোর প্রধান বেন অলিভারের। এ ব্যাপারে প্রতিটি খেলোয়াড়ের বিষয়গুলো আলাদা করে সামলাচ্ছেন তাঁরা।