‘অ্যান্ডারসনের টেস্টে’ ইনিংস হার এড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৭১ রান
টস হেরে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল গতকাল। এরপর যে বোলিংটা তাদের বোলার করল, সেটাই আসলে বেঁধে দিয়েছে ম্যাচের সুর। লর্ডসে টেস্ট অভিষেকেই গাস অ্যাটকিনসনের ৪৫ রানে ৭ উইকেটে ক্যারিবীয়রা মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। আজ দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে করেছে ৩৭১ রান।
২৫০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৭৯ রান নিয়ে। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ১৭১ রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আর জেমস অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টটা ইনিংস ব্যবধানে জিততে ইংল্যান্ডকে এই রানের মধ্যে নিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোণঠাসা করে ফেলতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের তিন পেসার অ্যান্ডারসন, বেন স্টোকস ও অ্যাটকিনসন।
এর আগে ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে পাঁচ ব্যাটসম্যানের পাঁচটি ফিফটি। জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপের পর ফিফটি করেছেন জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। পাঁচ ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ২৫০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
ক্রলি ও পোপের ফিফটিতে আগের দিনই বড় লিডের ভিত পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ‘বাজবল’ ধাঁচের ব্যাটিং করে দ্রুত রান বাড়ানোর কাজটা করেন আরেক তরুণ ব্রুক। অভিজ্ঞ রুট খেলছিলেন রয়েসয়ে। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২০ বলে ৯১ রান যোগ করেন; কিন্তু আলজারি জোসেফের বলে পুল করতে গিয়ে ৬৪ বলে ৫০ রানে থামে ব্রুকের ইনিংস। উইকেট পড়ায় ইংল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমিয়ে আনার সুযোগ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দারুন বোলিং করা বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ও রুটের উইকেট। ১১ বলে ৪ রান করা স্টোকস বোল্ড হন অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থেকে টার্ন করে ভেতরে আসা বলে। বোল্ড হয়েছেন রুটও। তাঁর ইনিংস থেমেছে ১১৪ বলে ৬৮ রানে।
রুট ফিরে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ডের রান ৬ উইকেটে ২৮৭। সেখান থেকে স্কোরটা ৩৭১ রানে নিয়েছেন অভিষিক্ত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জেমি স্মিথ। ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৫২ রান যোগ করেন এই তরুণ। ওকস আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪৩ বলে ২৩ রান। নিচের সারির আরেক ব্যাটসম্যান শোয়েব বশির ১৭ বল খেলে কোন রান না করলেও তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ রান যোগ করেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত ১১৯ বলে ৭০ রান করে ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন স্মিথ। ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন জেইডেন সিলস, ২টি করে উইকেট হোল্ডার ও মোতির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১২১ ও ৩৪.৫ ওভারে ৭৯/৬ (অ্যাথানেজ ২২, হোল্ডার ২০, লুইস ১৪; অ্যান্ডারসন ২/১১, ওকস ০/১১, অ্যাটকিনসন ২/২৭, স্টোকস ২/২৫)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৭১ (ক্রলি ৭৪, স্মিথ ৭০, রুট ৬৮, পোপ ৫৭, ব্রুক ৫০ , সিলস ৪/৭৭, মোতি ২/৪১, হোল্ডার ২/৫৮)।