বিশ্বকাপের আগে তথ্য জোগাড় করতে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া
মেয়েদের আইপিএল শেষ হলো ১৭ মার্চ। প্রায় এক মাস দীর্ঘ এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন বাংলাদেশ সফরের জন্য দলে ডাক পাওয়া ৮ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার, ফাইনালে খেলেছেন ৪ জন।
স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ টুর্নামেন্টের ক্লান্তির সঙ্গে লড়তে হচ্ছে অস্ট্রেলীয়দের। দলের কয়েকজন ছোটখাটো চোটের সঙ্গেও লড়ছেন। তবু আগামীকাল বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেরা দলটা মাঠে নামাতে চাইবে অস্ট্রেলীয় মেয়েরা। কারণ একটাই—বিশ্বকাপ।
এ বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটির কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ সিরিজটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলীয়রা। বাংলাদেশের জল–হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ তো আছেই।
এই দলের মাত্র দুজনের এর আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা হলেন অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি ও অলরাউন্ডার এলিস পেরি। দুজনই বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। বাকিদের জন্য বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে প্রথম অভিজ্ঞতা।
বুঝতেই পারছেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই সিরিজটা বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির সিরিজ। আজ সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলীয় নারী দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি যেমন বলছিলেন, ‘আমরা সিলেটে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্বকাপে আমাদের রাউন্ড রবিন খেলাগুলো সিলেটে ছিল। সেটা অনেক দিন আগের কথা। আমার বাংলাদেশে দারুণ স্মৃতি আছে। এখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। ক্রিকেটকে যেভাবে তাঁরা সমর্থন করেন, সেটা অসাধারণ। আমি রোমাঞ্চিত আবার ফিরতে পেরে, আশা করি এই কন্ডিশনের অভিজ্ঞতা নিতে পারব। আশা করি সিরিজে ভালো করব এবং আমাদের যতটা সম্ভব তথ্য জোগাড় করতে হবে। কারণ, বছর শেষে বিশ্বকাপ আছে।’
বাংলাদেশের কন্ডিশন কেমন হতে পারে, সে অভিজ্ঞতাটা অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের দলের হয়েছে ২০২১ সালে। ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে দলে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। তিনি আবার অস্ট্রেলীয় নারী দলের অধিনায়ক হিলির স্বামী।
কন্ডিশন সম্পর্কে স্টার্কের সঙ্গে হিলির কোনো আলাপ হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হিলি বলেছেন, ‘আমার তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আপনাকে হতাশ করার জন্য দুঃখিত (হাসি)। তবে কন্ডিশন নিয়ে সাধারণত যেমন আলোচনা হয়, তা তো হতেই থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমরা যার যার কাজে ব্যস্ত। এখন হয়তো কাছাকাছি আছি, সে কলকাতায় (আইপিএল খেলতে)। আমরাও খুব দূরে নেই।’
তবে ঘরের মাঠ যেহেতু, বাংলাদেশকেও হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ নারী দলের বোলিং শক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে অস্ট্রেলীয় দলে। হিলির মুখেই শুনুন, ‘ওদের দলটায় যদি তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন বোলিংয়ে অনেক দক্ষতা আছে। বিশেষ করে স্পিন বোলিংয়ের আধিক্যটা বেশ স্পষ্ট। উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য এটি স্বাভাবিকভাবেই একটা চ্যালেঞ্জ। আমি নাম বলব না, তবে তাদের পুরো বোলিং লাইনআপই শক্তিশালী। ভারতের বিপক্ষে এই কন্ডিশনে যে সিরিজটা খেলেছে, সেটা কিছুটা দেখেছি। ওরা ভারতীয়দের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ছিল, ভালো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।’