টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং গাইলেন কারা, কেমন হলো

২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং গেয়েছেন দুই ক্যারিবিয়ান শিল্পী সন পল ও কেসআইসিসি

২০ দল, ৫৫ ম্যাচ—এত বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো আসর আগে কখনো হয়নি। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাই আইসিসির জন্য আক্ষরিক অর্থেই ক্রিকেটকে বৈশ্বিক করে তোলার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টের লোগো অনেক আগেই উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষণগণনার ১০০তম দিন থেকে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। এবার ৫০ দিন বাকি থাকতে প্রকাশ করা হলো অফিশিয়াল থিম সং। গত রাতে আইসিসি তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থিম সং প্রকাশ করেছে। যদিও পুরো ভিডিও এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন

এবারের বিশ্বকাপের থিম সং গেয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শন পল ও সকা সুপারস্টার কেস। গানটি প্রযোজনা করেছেন মাইকেল ‘তানো’ মন্তানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক হওয়ায় গানটির জন্য তিন ক্যারিবিয়ানকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। শন পল একজন জ্যামাইকান এবং কেস ও তানো ত্রিনিদাদিয়ান।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে সংগীতজগতের পরিচিত মুখ শন পল মনে করেন, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সংয়ে ক্যারিবিয়ান সংগীত সত্তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগীতের আবহও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

গানটি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট সব সময়ই আমাদের সংস্কৃতির প্রধান অংশ। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অফিশিয়াল থিম সং রেকর্ড করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। আমি কেসের বড় ভক্ত। ক্যারিবিয়ান নাচের সঙ্গে সংস্কৃতির চমৎকার মেলবন্ধন হবে এই গানে। সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগীতের আবহ ও সকা সংগীত তো থাকছেই।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সংয়ের অংশ হতে পেরে গর্বিত কেসও। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য বিশ্বকে একত্র করা। তাই আমরা ক্রিকেটে গানের সুরে সুর বেঁধেছি, যা খুবই শক্তিশালী এক মাধ্যম। শন পল ও তানোর এই সৃষ্টি অসাধারণ। বিশ্বব্যাপী সবাইকে এই গান গাইতে, শুনতে তর সইছে না। এই গান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামগুলোতে পার্টির মতো আমেজ নিয়ে আসবে।’

আরও পড়ুন

আইসিসির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত দুই শিল্পী শন পল ও কেসকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই গান ক্রিকেট উৎসবের সুর বেঁধে দেবে। সমর্থকেরা এমন একটি গান আশা করতে পারেন, যা ক্যারিবিয়ান পরিচয়কে প্রতিফলিত করবে এবং বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট–ভক্তদের সর্বজনীন আবেদন বজায় রাখবে।’