প্রথম আর সর্বশেষের মধ্যে মিলগুলো আগে দেখে নিন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন রানবন্যার উদ্বোধনী ম্যাচ এর আগে একবারই দেখা গিয়েছিল, ২০০৭ সালে প্রথম আসরে। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরও প্রথম ম্যাচ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১৪ বল বাকি থাকতেই টপকে গিয়েছিল আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে প্রোটিয়াদের জয়ের নায়ক ছিলেন হার্শেল গিবস।
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচও ঠিক যেন দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ম্যাচের ‘স্ক্রিপ্ট’ মেনে চলেছে। ডালাসে আজ কানাডার দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য ঠিক ১৪ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে এবারের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র।
এবারও নব্বই–ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়েছেন স্বাগতিক দলের একজন। তিনি অ্যারন জোন্স। যুক্তরাষ্ট্রের সহ-অধিনায়কের অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসটাকে ঝড় বলার চেয়ে ‘মহাপ্রলয়’ বলাই হয়তো যথার্থ হবে। ৪০ বল খেলে চার মেরেছেন ৪টি, ছক্কা ১০টি।
জয়ের জন্য একসময় ৭২ বলে ১৪৭ রান দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। স্বাগতিকেরা সেই সমীকরণ ৫৮টি বৈধ বলেই মিলিয়ে ফেলেছে জোন্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে। তাতে জোন্স যেমন বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রও রেকর্ড বইয়ে ঝড় তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও জোন্সের গড়া রেকর্ডগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—
অ্যারন জোন্সের যত রেকর্ড
》তাঁর ২২ বলে ফিফটি টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম।
》দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ইনিংসে কমপক্ষে ১০ ছক্কার কীর্তি।
》টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিষেকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয়।
যুক্তরাষ্ট্রের যত রেকর্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় (শীর্ষ ৫)
জোন্সের ১০ ছক্কা নারী-পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে যৌথভাবে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। ২০০৭ বিশ্বকাপে সেই গেইলই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা।
নারী-পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা (শীর্ষ ৪)
কানাডার বিপক্ষে আজ তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩১ রান যোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিস গুস, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও এউইন মরগান, ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ (শীর্ষ ৫)
জোন্স-গুসের ১৩১ রান টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেট জুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১০ রান ছিল সুশান্ত মোদানি ও গজানন্দ সিংয়ের, ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট জুটিতে।
টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেট জুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ (শীর্ষ ৫)
এ ছাড়া জোন্স ও গুস আজ ১৩১ রানের জুটি গড়ার পথে শতরান ছুঁয়েছেন মাত্র ৪২ বলে, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে যেকোনো উইকেট জুটিতে সবচেয়ে কম বলে শতরানের রেকর্ড।