কিষানের তিন শ করতে না পারার আক্ষেপ
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এরপর রোহিত শর্মা, বীরেন্দর শেবাগ, ফখর জামান, ক্রিস গেইল ও মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকেও আসে ওয়ানডে দ্বিশতক।
আজ সে দলে নাম লেখালেন ভারতের ঈশান কিষানও। ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতকটাকেই দ্বিশতকে রূপ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডে গেইলকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছেন কিষান।
তবু ইনিংস শেষে কিষান আক্ষেপ করছেন আরও কিছু রান করতে না পারায়। আরও কিছুক্ষণ ব্যাটিং করলে নাকি ১৩১ বলে ২১০ রানের ইনিংসটিকে ৩০০ রানেও নিতে পারতেন তিনি!
ইনিংসের ফাঁকে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিষান বলেছেন, ‘আমি যখন আউট হই, তখন আরও ১৫ ওভার বাকি। নইলে আমি হয়তো ৩০০ রানই করতে পারতাম।’ এই অতৃপ্ত থাকলেও নিজের নামটা ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিশত করা ব্যাটসম্যানদের পাশে দেখে গর্ববোধই করছেন তিনি, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো। আমার ভাবনা একদম পরিষ্কার—যদি মারার মতো জায়গায় বল পাই, তাহলে মারব। আমার সৌভাগ্য, কিংবদন্তির নামের সঙ্গে নিজের নাম শুনছি।’
কিষানের দ্বিশতক পাওয়ার মুহূর্তে ক্রিজে ছিলেন বিরাট কোহলি। দুজন মিলে ১৯০ বলে ২৯০ রানের ম্যারাথন জুটি গড়েছেন। কোহলির সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কিষান বলেছেন, ‘কোহলির সঙ্গে ব্যাটিং করাটা দারুণ। তাঁর ক্রিকেট–জ্ঞান অসাধারণ। যখন আমি ৯০ রানে খেলছিলাম, তখন তিনি আমাকে শান্ত রেখেছেন। যেহেতু আমার প্রথম সেঞ্চুরি হতে যাচ্ছে, আমি ছক্কা মেরেই সেঞ্চুরি করতে চেয়েছিলাম।’
দলে না থেকেও কিষানকে অনুপ্রাণিত করেছেন আরেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব। কিষানকে নাকি সাহায্য করেছে সূর্যের শেখানো একটা কৌশলও, ‘সে আমাকে বলেছিল, ম্যাচের আগে ব্যাটিং করলে নাকি ম্যাচে বল ভালো দেখা যায়। এটা আমাকে সাহায্য করেছে। আমি বেশি চাপ নিইনি। শুধু সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’