- দিল্লিতে বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা
- আলোচনায় বায়ুদূষণ
- ভোট দিন
- টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সাকিবের, দলে তানজিম
- উড়ন্ত মুশফিক, প্রথম ওভারে উইকেট
- ৫ ওভারে ২৪/১
- তানজিমের প্রথম ওভার ঘটনাবহুল
- দুই মেরুতে নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস
- ১০ ওভারে ৫২/১
- উত্তাপ ছড়ানো ওভার
- অধিনায়কের উইকেট নিলেন অধিনায়ক
- তানজিমের বলে বোল্ড নিশাঙ্কা
- মিডল অর্ডারে দুর্দশা
- ১০০ পেরিয়ে শ্রীলঙ্কা
- রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- ৫০ রানের জুটি
- ব্রেকথ্রু এনে দিলেন সাকিব
- টাইম আউট ম্যাথুস
- ম্যাথুসের আউট নিয়ে আপনার কী মত?
- আসালাঙ্কার ফিফটি
- সেপ্টেম্বরে ‘মানকাডিং’, নভেম্বরে ‘টাইমড আউট’
- ৫০ রানের জুটি
- ২০০ পেরোল শ্রীলঙ্কা
- ডি সিলভার স্টাম্পিংয়ে ভাঙল জুটি
- ৪১ ওভারে ২২৬/৬
- জফরা আর্চারের ২০১৪ সালের টুইট
- থামলেন তিকশানা
- আসালাঙ্কার ১০০
- আসালাঙ্কা আউট
- রইল বাকি এক
- বিশ্বকাপ-শতকের রাজধানী দিল্লি
- ২৭৯ রানে শেষ শ্রীলঙ্কা
- সতর্কতা ও চারে শুরু লিটন–তানজিদের
- তানজিদ আউট, বাঁচলেন লিটন
- হেলমেটের ফিতার সমস্যা হওয়ার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল ম্যাথুসের
- ছক্কা, ক্র্যাম্প এবং আউট
- কুয়াশা নাকি ধোঁয়া?
- আজ পারবেন দুজন?
- বোলিংয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসান, ক্যাচ ড্রপ
- আক্রমণাত্মক সাকিব
- ৫০ রানের জুটি
- ‘হোয়াট আ ওয়াও’ X ২
- অবশেষে নাজমুলের ফিফটি
- জুটিতে ১০০
- সাকিবেরও ৫০
- বল পরিবর্তন, শ্রীলঙ্কানদের আপত্তি
- ১৫০ রানের জুটি
- সাকিব ক আসালাঙ্কা ব ম্যাথুস
- সাকিবের পর নাজমুলও ম্যাথুসের শিকার
- চাপ?
- বোল্ড, ছক্কা, উত্তাপ
- অবশেষে তিকশানার উইকেট!
- হৃদয়!
- এবার মিরাজ আউট
- ৩ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
- ম্যাচসেরা সাকিব
দিল্লিতে বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা
সেমিফাইনালের সম্ভাবনা শেষ আগেই। এখন ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার লড়াই। ৭ ম্যাচে ১ জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য এবারের বিশ্বকাপ কেটেছে হতাশায়। শেষে এসে প্রাপ্তি হতে পারে ওই শীর্ষ আটে থেকে শেষ করা। সেটি করতে গেলে এ ম্যাচের জয়ের বিকল্প নেই, তা বলাই যায়। দিল্লিতে কদিন ধরেই আলোচনায় বায়ুদূষণ। তবে এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই হওয়ার কথা টস।
বিশ্বকাপে ৩৮তম ম্যাচ, বাংলাদেশের অষ্টম। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত।
আলোচনায় বায়ুদূষণ
বাংলাদেশ দল দিল্লি পৌঁছানোর পর থেকেই বায়ুদূষণ নিয়ে চলছে আলোচনা। অনুশীলন সেশন বাতিল করার ঘটনাও আছে। শেষ পর্যন্ত এ ম্যাচ হবে কি না, উঠেছিল সে আলোচনাও। যদিও টি স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে সেখানে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল বলেছেন, আজকের আবহাওয়া বেশ ভালো।
ভোট দিন
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সাকিবের, দলে তানজিম
হেড কল করেছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস, পড়েছে টেলস। টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ‘ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটে’ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মেন্ডিস বলেছেন, ব্যাটিং করতে কোনোই আপত্তি করতেন না তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিট নন বলে জানিয়েছেন সাকিব। এ বাঁহাতি পেসারের জায়গায় খেলছেন তানজিম হাসান, বিশ্বকাপে যেটি তাঁর প্রথম ম্যাচ।
দুটি পরিবর্তন আছে শ্রীলঙ্কা দলে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল পেরেরা দলে এসেছেন। দুশান হেমন্ত ও দিমুথ করুনারত্নের জায়গায় খেলবেন তাঁরা।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, মহীশ তিকশানা, কাসুন রাজিতা, দুষ্মন্ত চামিরা ও দিলশান মাদুশঙ্কা।
উড়ন্ত মুশফিক, প্রথম ওভারে উইকেট
ব্যাটিং স্বর্গ। শুরু থেকেই দিল্লির উইকেটকে বলা হচ্ছে এমন। তাতেই প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল, সেটি মুভমেন্ট করে বেড়িয়ে যাচ্ছিল আরেকটু। তাতে ব্যাট চালিয়েছিলেন দলে ফেরা কুশল পেরেরা। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠেছিল স্লিপের দিকে। একমাত্র স্লিপে ছিলেন নাজমুল হোসেন। তিনি নাগাল পেতে পারতেন কি না, সে প্রশ্ন করাই যায়। কিন্তু মুশফিকুর রহিম নিজেই সুযোগ নিয়েছেন, বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিয়েছেন দুর্দান্ত ক্যাচ। ধারাভাষ্যে থাকা আতহার আলী খানের ভাষায়, টুর্নামেন্টেরই অন্যতম সেরা ক্যাচ সেটি।
তৃতীয় বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন পেরেরা। এরপর লেংথ কমিয়ে আনেন শরীফুল। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছেন পেরেরা, সঙ্গে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচের অবদান তো ছিলই। শ্রীলঙ্কা ৫/১!
৫ ওভারে ২৪/১
প্রথম ৫ ওভারে এসেছে ২৪ রান। এর মধ্যে ২২ রান এসেছে শরীফুলের ৩ ওভারে। তাঁর দ্বিতীয় ওভারে তিনটি চার মারেন পাতুম নিশাঙ্কা। পরের ওভারে মেরেছেন আরেকটি। শরীফুল অবশ্য নিজের তৃতীয় ওভারে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনটি ডট দিয়ে। মাঝে তাসকিন করেছেন মেডেন। দুই পেসারের মধ্যে এখন পর্যন্ত সফল শরীফুল, কিন্তু অপেক্ষাকৃত ভালো লাইন-লেংথে করছেন তাসকিনই।
তানজিমের প্রথম ওভার ঘটনাবহুল
৩ ওভারে ২২ রান দেওয়া শরীফুলের জায়গায় বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ওভারটি করতে এসেছেন তানজিম হাসান। যে ওভারটি ঘটনাবহুল। নিশাঙ্কাকে বাউন্স দিয়ে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু লাফিয়ে উঠেও নাগাল পাননি মুশফিক। এরপর ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে উঠেছিল আরেকটি ক্যাচ, কিন্তু তানজিমের জন্য সেখানে কোনো ফিল্ডার রাখেননি সাকিব। ৭ ওভারে ৩৯/১।
দুই মেরুতে নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস
নিশাঙ্কা, ২৫ বলে ৩৩।
মেন্ডিস, ১৮ বলে ৪।
একজন ফর্মে আছেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বাদ দিলে তার আগের ৫ ইনিংসেই কমপক্ষে ৪০ পেরিয়েছেন। আরেকজন ধুঁকছেন, সর্বশেষ ৫ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৯ রান। নিশাঙ্কা ও মেন্ডিসের বিপরীতমুখী ব্যাটিংয়ে ফুটে উঠছে তাঁদের সাম্প্রতিক ফর্মই।
তাসকিন আঁটসাঁট লাইন-লেংথ ধরে রেখেছেন। তবে ৪ ওভারে ১১ রান দেওয়া পেসার উইকেটের দেখা পাননি এখনো।
১০ ওভারে ৫২/১
প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা, সেটি বলাই যায়। দুর্দান্ত বোলিং করেও প্রথম ৫ ওভারে তাসকিন পাননি উইকেটের দেখা। সর্বশেষ ফুললেংথে কিছুটা ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো করেছিলেন তাসকিন। নিশাঙ্কার তাতে তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না, কিন্তু বৃত্তের ভেতরে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে সেটি হয়েছে চার। তাসকিনের বোলিং এখন পর্যন্ত এমনই! আঁটসাঁট করেছেন, উইকেটের খোঁজে বৈচিত্র এনেছেন। কিন্তু সেটির দেখা পাননি। বাংলাদেশও প্রথম ওভারের পর প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নিতে পারেনি আর।
উত্তাপ ছড়ানো ওভার
শুরু হয়েছিল মেন্ডিসের পুল করে মারা ছক্কায়। এরপর ক্রস সিমের ডেলিভারিতে তাঁকে পরাস্ত করেন তানজিম। দুজনের মধ্যে কথা চালাচালিও হয়েছে একটু। আম্পায়ার মারাই এরাসমাসকে কথা বলতে দেখা গেছে তানজিমের সঙ্গে। এরপর আবার ক্রস সিমের ডেলিভারি, এবার মেন্ডিসের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে উঠেছিল ক্যাচ। কিন্তু ফিল্ডার ছিলেন না, থার্ডম্যান দিয়ে হয়েছে চার। আবার দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে। এরাসমাস এবার চারের সঙ্কেত দিতে দিতে দুজনের মাঝামাঝি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ১১ ওভারে ৬৪/১।
অধিনায়কের উইকেট নিলেন অধিনায়ক
মেন্ডিস স্বস্তিতে ছিলেন না। তানজিমের ওপর চড়াও হয়েছিলেন, খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেও পরের ওভারে সাকিব আল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে শরীফুলের হাতে ধরা পড়লেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। শরীফুল নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। কিন্তু সেখানে ফিল্ডার থাকার পরও এভাবে অনায়াসে তুলে মারতে চাওয়ার ব্যাপারটির ব্যাখ্যা মেন্ডিস নিজেই দিতে পারবেন ভালো, তবে হতাশ যে হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নিজের প্রথম ওভারে এসেই সফল বাংলাদেশ অধিনায়ক, ভাঙলেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। মেন্ডিস ফেরার পর তানজিমের উল্লাসটা যে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ছিল, সেটি অস্বাভাবিক নয়! ১১.৩ ওভারে ৬৬/২।
তানজিমের বলে বোল্ড নিশাঙ্কা
আরেকটি ক্রস সিমের ডেলিভারি, এবার সেভাবে ওঠেনি। দারূণভাবে থিতু হওয়া নিশাঙ্কার জন্য যথেষ্ট হয়েছে সেটিই। ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে এনেছেন শ্রীলঙ্কা ওপেনার। ৩৬ বলে ৪১ রান করে থামলেন তিনি, পরপর ২ ওভারে দুজন থিতু ব্যাটসম্যানের উইকেট নিল বাংলাদেশ। হুট করেই আবার চাপ শ্রীলঙ্কার ওপর।
মিডল অর্ডারে দুর্দশা
টপ অর্ডারের তিন জন ফিরে গেছেন। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান। নিশ্চিতভাবেই আরেকটি উইকেট খুব করেই চাইবে বাংলাদেশ।
১৪ ওভারে ৭৬/৩।
১০০ পেরিয়ে শ্রীলঙ্কা
‘একটা-দুইটা ডট’, ‘একটা-দুইটা ডট’, ‘সেভিং, সেভিং’, ‘কাম হিয়ার ল্যাড’...
স্টাম্প মাইক্রোফোনে বলতে শোনা গেল মুশফিককে। চারিত আসালাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা অবশ্য পাল্টা আক্রমণের আভাস দিচ্ছেন। তানজিমের পর সাকিবের ওভারে দুটি ছক্কা মেরেছেন আসালাঙ্কা—লং অনের পর লং অফ দিয়ে। মিরাজের এক ওভারে দুটি চার মেরেছেন সামারাবিক্রমা। শ্রীলঙ্কা পেরিয়ে গেছে ১০০। এ জুটি জমে উঠছে।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
মুশফিক আগ্রহী ছিলেন না। যদিও উৎসাহী ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সামারাবিক্রমার বিপক্ষে এলবিডব্লুর রিভিউ নেন সাকিব। ব্যর্থ হয়েছে সেটি। মুশফিক লেগ সাইডে সরে যাচ্ছিলেন, তিনি আগ্রহী ছিলেন না সে কারণেই। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, মিরাজের বলটি মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। প্রথম রিভিউটি হারাল বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ১১৩/৩। ১১-২০ ওভারের মধ্যে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ২ উইকেট, তুলেছে ৬১ রান।
৫০ রানের জুটি
মিরাজের ফুললেংথের বল, ব্যাট চেপে ধরে তাতে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন সামারাবিক্রমা। আসালাঙ্কার সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠে গেছে ৫০ রান, সেটিও ৫৩ বলে। জুটিতে দুজনেরই প্রায় সমান অবদান। দুজনই সমানভাবে হতাশ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।
ব্রেকথ্রু এনে দিলেন সাকিব
মিডউইকেটে ফিল্ডার ছিলেন স্কয়ারে। সাকিবকে সুইপ করে মারা সামারাবিক্রমার শটটি যায় ফাইনে। সে দফা গ্যাপে খেলে বেঁচে যান তিনি। ঠিক পরের বলে লেংথ একটু কমিয়ে আনলেন সাকিব। এবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তুলে মারলেন সামাবিক্রমা। যেভাবে খেলতে চেয়েছিলেন, ঠিক সেভাবে হয়নি। ডিপ মিডউইকেটে থাকা মাহমুদউল্লাহর হাতে গেছে সরাসরি ক্যাচ। সাকিব এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। আসালাঙ্কা ও সামারাবিক্রমার জুটি থামল ৬৩ রানে। সামারাবিক্রমা থামলেন ৪১ রানে। সর্বশেষ ৩ ইনিংসের মধ্যে দুবার ৩৫ পেরিয়েও ফিফটি পর্যন্ত যেতে পারলেন না তিনি।
টাইম আউট ম্যাথুস
দিল্লিতে নাটক!
কোনো বল খেলার আগেই টাইম আউট হয়ে গেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইম আউট হলেন তিনি।
যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি ম্যাথুস। পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেছে, যে ফিতা দিয়ে হেলমেট আটকে রাখা হয়, সেটি বাঁধতে গিয়ে ছিড়ে বা খুলে গেছে। পরে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটি আর পরতে পারেননি ম্যাথুস।
এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘একজন ব্যাটসম্যানের আউট হয়ে যাওয়া বা অবসর নেওয়ার পর যে ব্যাটসম্যান আসবেন, তাকে অথবা অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটসম্যান নামছেন, তাঁকে টাইম আউট হতে হবে।’
অবশ্য এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, এক্ষেত্রে সময় ২ মিনিট। ফলে কার্যকরী হবে সেটিই। তবে ম্যাথুস অতিক্রম করে গেছেন দুটিই, আগের ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ম্যাথুসকে আউট দেওয়ার মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৫ মিনিট। বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে টাইম আউট দিয়েছেন আম্পায়াররা। আউট হয়ে ফেরার পথে হেলমেট ছুড়ে মেরেছেন ম্যাথুস।
ম্যাথুসের আউট নিয়ে আপনার কী মত?
আসালাঙ্কার ফিফটি
ম্যাথুস টাইম আউট হয়ে যাওয়ার পরও মাঠে কিন্তু খেলা হচ্ছে (সেটিই হওয়ার কথা)। যদিও আলোচনা ম্যাথুসকে ঘিরেই।
এর মাঝে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন চারিত আসালাঙ্কা, মিরাজের বলে তাঁকে এলবিডব্লু দিয়েছেন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। এরপর ফিফটি পূর্ণ করেছেন আসালাঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা ৩১ ওভারে ১৬৯/৫।
সেপ্টেম্বরে ‘মানকাডিং’, নভেম্বরে ‘টাইমড আউট’
গত সেপ্টেম্বরে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইশ সোধিকে ‘মানকাডিং’ নামে পরিচিত নন স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট করেছিলেন হাসান মাহমুদ। সে ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন লিটন দাস। প্রথমে বাংলাদেশের আবেদনের ভিত্তিতে সোধিকে আউট দেওয়া হলেও লিটন আবেদন তুলে নেওয়াতে ফিরে আসেন সোধি। সেটি নিয়ে তখন হয়েছিল আলোচনা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হারে সেই ম্যাচ, নিউজিল্যান্ড জেতে সিরিজ।
এবার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিপক্ষে টাইম আউটের আবেদন করেছে বাংলাদেশ। এবার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে আবেদন তুলে নেননি তিনি।
৫০ রানের জুটি
তানজিমের করা ৩৩তম ওভারে আসালাঙ্কা মেরেছেন ৩টি চার। আরেকটি জুটি ৫০ পেরিয়েছে শ্রীলঙ্কার। সেটিও বেশ দ্রুতগতিতেই। ৩৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১৯১/৫।
২০০ পেরোল শ্রীলঙ্কা
৩৬.২ ওভারে ২০০ ছুঁয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। সাকিবকে এ ওভারে ব্যাকফুটে গিয়ে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কাও মেরেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আসালাঙ্কার সঙ্গে তাঁর জুটি ৩৭তম ওভারশেষে অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানে। শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২০৮ রান। ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৫ জন বোলারকে দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন সাকিব।
ডি সিলভার স্টাম্পিংয়ে ভাঙল জুটি
ঠিক আগের আউটের মতো বিতর্তিক নয়। তবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা স্টাম্পড হলেন একটু অদ্ভুতভাবেই। মিরাজকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে মিস করে যান তিনি। মুশফিক বলটি প্রথম দফা ধরতে পারেননি। তবে পরের দফা ধরে স্টাম্প ভেঙেছেন, আরও নিশ্চিত হতে স্টাম্প উপড়ে ফেলেছেন। ডি সিলভা ফিরে তাকিয়ে দেখেছেন স্টাম্প ভাঙা, আর ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেননি তিনি। ৭৮ রানে থেমেছে আসালাঙ্কার সঙ্গে তাঁর জুটি। বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেয়েছে আরেকটি উইকেট।
৪১ ওভারে ২২৬/৬
জফরা আর্চারের ২০১৪ সালের টুইট
থামলেন তিকশানা
আরেকটি জুটি হতাশ করছে বাংলাদেশকে। এবার আসালাঙ্কার সঙ্গী মহীশ তিকশানা। এবং ৪৬তম ওভারের শেষ বলে শরীফুলের শর্ট বলে আপার কাট করতে গিয়ে ডিপ থার্ডে বদলি ফিল্ডার নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েছেন মহীশ তিকশানা ২২ রান করে। আসালাঙ্কার সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৪৮ বলে ৪৫ রান। ৪ ওভার বাকি থাকতে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২৫৮/৭।
আসালাঙ্কার ১০০
শরীফুলের শর্ট বলে আসালাঙ্কার গ্লাভসে লেগে উঠেছিল ক্যাচ, মুশফিক নাগাল পাননি সেটির। পরের বলে ডাবলস নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেছেন চারিত আসালাঙ্কা। ম্যাচের প্রেক্ষিতে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস! ইনিংসের ১৩তম ওভারে নেমেছিলেন, শ্রীলঙ্কাকে আটকে যেতে দেননি তিনিই। লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেওয়ার ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা পালন করছেন এ বাঁহাতিই। ১০১ বলে শতক পূর্ণ করেছেন তিনি।
৪৮ ওভারে ২৭০/৭।
আসালাঙ্কা আউট
পুরোপুরি চড়াও হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন তানজিমকে মিডউইকেট দিয়ে মারা ছক্কায়। পরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ তুলে থামলেন ১০৫ বলে ১০৮ রান করা আসালাঙ্কা।
রইল বাকি এক
প্রথম ৩ বলে ৮ রান দেওয়া সাকিব শেষ ৩ বলের মধ্যে নিলেন দুটি উইকেট। আসালাঙ্কার পর লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কাসুন রাজিতাও, এবার ডিপ স্কয়ার লেগে। অনেকটা ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ৪৯ ওভারে ২৭৮/৯।
বিশ্বকাপ-শতকের রাজধানী দিল্লি
চারিত আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিটি বিশ্বকাপে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নবম। এর সাতটিই এবারের বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন দিল্লির। এই ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ও মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করেছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে।
২৭৯ রানে শেষ শ্রীলঙ্কা
দুষ্মন্ত তামিরা রানআউট। ৩ বল বাকি থাকতে ২৭৯ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। তাতে মূল অবদান ১০৮ রানে আসালাঙ্কার।
প্রথম ওভারে প্রথম উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কা ২৭৯ রান পর্যন্ত গেছে বিভিন্ন উইকেটে ৬১, ৬৩, ৭৮ ও ৪৫ রানের জুটিতে। এর মধ্যে তিনটিরই অংশ ছিলেন আসালাঙ্কা।
দিল্লিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস হয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইমড আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান। তবে সেটি ইতিহাসের ব্যাপার। আপাতত জয় পেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮০ রান।
সতর্কতা ও চারে শুরু লিটন–তানজিদের
বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কাকে দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে বোলিং শুরু করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারটা দেখেশুনেই খেলেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। শেষ দুই বলে দুটি চার মারেন তানজিদ। এর মধ্যে পরেরটি ডাউন দ্য উইকেটে এসে।
বাংলাদেশ প্রথম ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১০।
তানজিদ আউট, বাঁচলেন লিটন
নতুন বলে উইকেট—দিলশান মাদুশঙ্কার অভ্যাস হয়ে গেছে সেটি এ বিশ্বকাপে। তাঁর সর্বশেষ শিকার তানজিদ হাসান। লেংথ বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার, তাতে ক্যাচ উঠেছিল ওপরে। কাভারে সেটি নিয়েছেন পাতুম নিশাঙ্কা। এ ওভারে আউট হতে পারতেন লিটনও। শর্ট বলে ঘুরিয়ে মেরেছিলেন, ক্যাচ গিয়েছিল ডিপ ফাইন লেগে। ফিল্ডার নাগাল পেলেও রাখতে পারেননি এবার, উল্টো হয়েছে চার। মাদুশঙ্কা উল্লাস করতে ছুটছিলেন, সেটি রূপ নিয়েছে হতাশায়। এ শট খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ে টানও পেয়েছেন লিটন। ৩ ওভারে ২৩/১।
হেলমেটের ফিতার সমস্যা হওয়ার আগেই ২ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল ম্যাথুসের
ম্যাথুসের টাইম আউট প্রসঙ্গে চতুর্থ আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক—
‘টেলিভিশন আম্পায়ার দুই মিনিট পর্যবেক্ষণ করেছেন, এরপর মাঠের দুই আম্পায়ারকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে ফিতার সমস্যাটির আগেই দুই মিনিটের মধ্যে ব্যাটার প্রস্তুত হতে পারেননি। দুই মিনিট তার আগেই চলে গেছে। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, ফিল্ডিং অধিনায়ক এরপর মাঠের আম্পায়ারদের অনুরোধ/উদ্যোগ করেছেন বা নিয়েছেন যে তিনি আবেদন করতে চান টাইমড আউটের।’
ছক্কা, ক্র্যাম্প এবং আউট
কাসুন রাজিতার ওপর চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। পরপর ২ বলে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। স্কয়ার লেগের পর ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অফের ওপর দিয়ে। তবে দ্বিতীয় ছক্কাটি মারার পরই আবার পায়ে টান পড়ে লিটনের। বেশ খানিকটা সময় নিয়েছেন তিনি তাতে, লিটনের চোট নিয়ে বেশ আগ্রহী দেখা যায় শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দেরও। চতুর্থ আম্পায়ার হোল্ডস্টক বাংলাদেশের ডাগআউটে গিয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথাও বলেন। লিটন অবশ্য ব্যাটিংয়ের পর প্রস্তুতও হন। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ টিকলেন না। পরের ওভারে মাদুশঙ্কা করেছেন দারুণ এক ইয়র্কার, সেটি গিয়ে লাগে লিটনের বুটে। আম্পায়ার মারাই এরাসমাস আউট দিতে বেশি সময় নেননি। লিটনও রিভিউ করেননি। সপ্তম ওভারের মধ্যে নেই দুই ওপেনার। উঠেছে ৪১ রান।
কুয়াশা নাকি ধোঁয়া?
আজ পারবেন দুজন?
দুজনের দিকে চেয়ে ছিল বাংলাদেশ, সেটি বলায় যায়। নাজমুল হোসেন ছিলেন দারুণ ফর্মে। সাকিব আল হাসানের গত বিশ্বকাপ কেটেছিল ব্যক্তিগত অর্জনের স্বপ্নের মতো। তবে ভারতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি দুজন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অর্ধশতক করার পর মাঝে ৬ ইনিংস দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি নাজমুল। সাকিব অন্তত দুবার ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি প্রত্যাশামত। ২৮০ রানের লক্ষ্যে আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্রিজে দুজন, দরকার বড় একটি জুটি। সাকিব ও নাজমুল পারবেন আজ?
বোলিংয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসান, ক্যাচ ড্রপ
প্রথম ইনিংসে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক ঘটনার আলোচিত দুই চরিত্র। ১১তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন ম্যাথুস, তৃতীয় বলে ক্যাচও তুলেছিলেন সাকিব। কিন্তু এক্সট্রা কাভারে থাকা ফিল্ডার সেটি নিতে পারেননি। ফিল্ডার এক্ষেত্রে ছিলেন আসালাঙ্কা, শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ‘নায়ক’। সাকিব বেঁচে গেছেন।
১১ ওভারে ৬১/২।
আক্রমণাত্মক সাকিব
ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা। পয়েন্টের ওপর দিয়ে চার। চামিরার ওপর চড়াও হয়েছেন সাকিব। খুব যে নিয়ন্ত্রিত ইনিংস খেলছেন তা নয়, তবে খোলসবন্দি হয়ে থাকতে না চাওয়ার ইঙ্গিত বাংলাদেশ অধিনায়কের।
৫০ রানের জুটি
দুই ওপেনার ফেরার পর সাকিব ও নাজমুলের জুটিতে ৫০ রান। মাঠে শিশিরের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। ভালো একটা জুটিও পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
১৬.৩ ওভারে ৯৪/২।
সিমের সুতা খুলে যাওয়াতে বদলানো হচ্ছে বল।
‘হোয়াট আ ওয়াও’ X ২
রমিজ রাজা যেমন ম্যাচের শুরুতে বিশেষণ হিসেবে বলেছিলেন, নাজমুল হোসেনের দুটি শট অমনই। পুল করে চার, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার যেটিকে বলছেন দিনেরই অন্যতম সেরা শট। এরপর মিড অনের ওপর দিয়ে আরেকটি চার নাজমুলের। বাংলাদেশ পেরিয়েছে ১০০। ১৮ ওভারে ১০৮/২।
অবশেষে নাজমুলের ফিফটি
আরেকটি দারুণ পুল শট নাজমুলের। অবশেষে আরেকটি ফিফটি নাজমুলের। ফিফটি পূর্ণ করার পর ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ম্যাথুসকে পুল করে আরেকটি চার মেরেছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন, পরের ৬ ইনিংস মিলিয়ে নাজমুলের রান ছিল ২৮। অবশেষে রানের দেখা পেলেন এ বাঁহাতি।
২১ ওভারে ১৩৩/২।
জুটিতে ১০০
ওপরের পরিসংখ্যানই আসলে বলে দেয়, বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপের চিত্রটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে ম্যাচটি জিতেছিল তারা, তাতে লক্ষ্য ছিল ছোট, ফলে বড় জুটির দরকারও পড়েনি। আজ ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১০০ রানের জুটি গড়লেন সাকিব ও নাজমুল। নাজমুল ৫০ পেরিয়েছেন আগেই, সাকিব এগোচ্ছেন সে পথে। দিল্লিতে নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ।
সাকিবেরও ৫০
চামিরার বলে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপের ওপর দিয়ে চার। সাকিব পৌঁছালেন ৫০ রানে। এ বিশ্বকাপে যেটি প্রথম তাঁর। ২৫ ওভারে ১৬১/২, দিল্লিতে দারুণ অবস্থানে বাংলাদেশ।
বল পরিবর্তন, শ্রীলঙ্কানদের আপত্তি
এর আগে একবার বদলানো হয়েছে বল। আম্পায়াররা আবার এক প্রান্তের বল বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নতুন বলটি ঠিক পছন্দ হয়নি শ্রীলঙ্কানদের। অধিনায়ক মেন্ডিস, ম্যাথুস সহ বেশ কয়েকজন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন দুই আম্পায়ার মারাই এরাসমাস ও রিচার্ড ইলিংওর্থের সঙ্গে। মাঝ দিয়ে সে আলোচনায় ঢুকতে চেয়েছিলেন সাকিবও, যদিও আম্পায়ার তাঁকে ঠিক আমন্ত্রণ জানাননি তাতে। শিশিরের কারণে নতুন বলে গ্রিপ ভালো হবে বলে শ্রীলঙ্কানদের সুবিধা হওয়ারই কথা। তাদের আপত্তি ঠিক কী কারণে, সেটি বোঝা যায়নি তাই।
১৫০ রানের জুটি
এ ওভারের শুরুতে রানআউটের সুযোগ এসেছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু মিড অফে ম্যাথুস ঠিকঠাক সংগ্রহ করতে পারেননি বলটি। নাজমুল অনায়াসেই ফিরে গেছেন ক্রিজে। পরের বলে রাজিতাকে পুল করে চার মেরেছেন নাজমুল। তাতে হয়েছে ১৫০ রানের জুটি। পরের বলে ফ্লিক করে ছক্কা মেরেছেন সাকিব। পঞ্চম বলে সোজাসুজি আরেকটি চার। শেষ বলে এক হাত ছেড়ে দিয়ে টেনে ওভারের তৃতীয় চারটি মেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ ওভারে উঠেছে ১৯ রান। বাংলাদেশ ৩০ ওভারে ২০৬/২।
সাকিব ক আসালাঙ্কা ব ম্যাথুস
হাত দিয়ে কাল্পনিক ঘড়ি দেখাচ্ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। সাকিব অবশ্য টাইমড আউট হননি। তবুও কেন ম্যাথুস কেন অমন করছিলেন, সেটি এতক্ষণে আপনার জেনে যাওয়ার কথা। ক্রিজে থেমে আসা বলে লিডিং-এজে ক্যাচ আউট হয়েছেন সাকিব মিড অফে ধরা পড়ে। ফিল্ডার আসালাঙ্কা। ৮ রানে ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাথুসের বলেই আসালাঙ্কার হাতে বেঁচে গিয়েছিলেন সাকিব। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস। শতক পাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, সেটি হলো না না শেষ পর্যন্ত। তবে বাংলাদেশকে দারুণ এক অবস্থানে রেখেই ফিরেছেন সাকিব। ১৪৯ বলে ১৬৯ রানের জুটি সাকিব ও নাজমুলের।
সাকিবের পর নাজমুলও ম্যাথুসের শিকার
প্রথমে সাকিব। এবার নাজমুল। পরপর দুই ওভারে ৮০-পেরোনো দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন ম্যাথুস। ক্রস সিমের ডেলিভারিতে আলতো করে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন নাজমুল। সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। সর্বশেষ ৮ বলে কোনো রান দেননি নাজমুল, নিয়েছেন ২ উইকেট। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৬৯ রান।
চাপ?
সাকিব ও নাজমুল পরপর ২ ওভারে আউট হওয়ার পর একটু চাপ এসে পড়েছিল। সে সময় ১৭ বলে উঠেছিল মাত্র ২ রান, পরেছিল ২ উইকেট। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ইতিবাচক। সর্বশেষ ১৯ বলে এসেছে ৩৫ রান। চামিরার করা ৩৭তম ওভারের শেষ ২ বলে দারুণ দুটি চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ—লং অনের পর ইনসাইড আউটে কাভাররে ওপর দিয়ে। বাংলাদেশের দরকার ৩৩ রান।
বোল্ড, ছক্কা, উত্তাপ
অ্যাঙ্গেল করে ভেতরের দিকে বলটার নাগালই পাননি মুশফিক। দিলশান মাদুশঙ্কার বলে বোল্ড হয়েছেন মুশফিক। নেমে মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে অবশ্য লফটেড ড্রাইভে ছক্কা মেরেছেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর আবার ছড়িয়েছে উত্তাপ, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও হৃদয়ের মধ্যে। আবার দুই পক্ষকে শান্ত করতে দেখা গেছে মারাই এরাসমাসকে।
অবশেষে তিকশানার উইকেট!
ফুললেংথ। ইয়র্কারই। এবার বোল্ড মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ২৫ রান। বাকি ৪ উইকেট।
হৃদয়!
সাকিব-নাজমুলের উইকেট নেওয়ার পর একটু আশা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শেষ হয়ে যায় তা। এ দুজন ফেরার পর আবার একটু আশা। এবার তাওহিদ হৃদয়। প্যাডের ওপর পেয়ে ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তিনি। ওভারথ্রো ওয়াইড মিলিয়ে ৪০তম ওভারে এসেছে ১২ রান। জয়ের জন্য দরকার ১২।
এবার মিরাজ আউট
আবার নাটক। তিকশানার বলে মিরাজের লফটেড ড্রাইভ সোজাসুজি গেছে লং অফে আসালাঙ্কার হাতে। সপ্তম উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের। নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কাকে টপকাতে ৪১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে, এমন একটা সমীকরণ আছে। বাংলাদেশকে বড় শট খেলতে উৎসাহিত করছে সেটিই?
৩ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের লেগ সাইডের বলে চার। বাংলাদেশের ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে তাতে। খাতা-কলমে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কাও। এ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শ্রীলঙ্কাকে টপকে সাতে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পেতে গেলে থাকতে হবে শীর্ষ আটের মধ্যে। দুই দলেরই বাকি একটি করে ম্যাচ।
২৮০ রানের লক্ষ্যে ৪১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও সাকিব ও নাজমুলের ১৬৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে অনেকখানি। দিল্লিতে শিশিরের প্রভাব ছিল ভালোভাবেই, সে অর্থে বাংলাদেশের টসে জিতে সিদ্ধান্তটা ছিল ভালো। শেষ দিকে গুচ্ছাকারে কয়েকটি উইকেট হারালেও বাংলাদেশ পথ হারায়নি। নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কাকে টপকে যাওয়ার ব্যাপার ছিল, বাংলাদেশ সফল তাতেও।
যে ম্যাচে অনেক বড় আলোচনার বিষয় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড-আউট, তাতে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয়টি পেল বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে যেটি তাদের দ্বিতীয়।
ম্যাচসেরা সাকিব
বোলিংয়ে ২ উইকেটের পর ৮২ রানের পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ‘আপনার সঙ্গে একমত’, এমন পারফরম্যান্স একটু দেরিতে এলো কি না, পুরস্কার বিতরণীতে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন তিনি।