বাবরকে টেস্ট দল থেকে বাদ দিচ্ছে পাকিস্তান
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পাকিস্তান দলে যে পরিবর্তন আসবে, সেই ইঙ্গিত গতকালই পাওয়া গেছে। স্কোয়াডের বাইরে থাকা চার ক্রিকেটারের নতুন করে ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কামরান গুলাম, জাহিদ মেহমুদ, ইমাম-উল-হক ও নোমান আলীকে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ডাকা থেকেই অনুমান করে নেওয়া যায়, এখান থেকে কাউকে হয়তো দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে রাখা হবে।
১৫ অক্টোবর শুরু মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়বেন কে বা কারা—এমন প্রশ্ন ঘুরছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। মুলতানেই ইনিংস ব্যবধানে হেরে যাওয়া টেস্ট চলাকালে অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন স্পিনার আবরার আহমেদ। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফিটনেস পরীক্ষা উতরাতে পারলে আবরারের জায়গায় হয়তো খেলতে পারেন নোমান। এ ছাড়া ক্রিকইনফোর খবর দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন ছন্দহীন বাবর আজম।
ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে—আলিম দার, আকিব জাভেদ ও আজহার আলীর সমন্বয়ে নতুন যে নির্বাচক কমিটি করা হয়েছে; সেই কমিটি দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাবরকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। শুক্রবার প্রথম টেস্ট হারার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচক কমিটির সদস্যরা লাহোরে আলোচনায় বসেছিলেন। শনিবার পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি এবং দলের পাঁচ মেন্টরসহ আরও একবার আলোচনায় বসেছিল নির্বাচক কমিটি।
মুলতানে প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়ার পর অনেকেই শান মাসুদের নেতৃত্ব আর বাবরের ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছিলেন। বিশেষ করে সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলী বাবরকে বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ বাবরকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে কথা বলেন। কোচ জেসন গিলেস্পির দর্শনও বলে, খেলোয়াড়দের সময় দিতে হবে।
কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে টেস্টে ফিফটির দেখা না পাওয়া বাবরকে কিছুদিন দলের বাইরে রাখলে তাঁরই ভালো হবে বলে মনে করে নির্বাচক কমিটি। এই নির্বাচক কমিটিতে দার, আকিব ও আজহার ছাড়াও আছেন আগের দুই সদস্য আসাদ শফিক আর হাসান চিমা।
ক্রিকইনফো ধারণা করছে, লাহোর ও মুলতানে দুবার নির্বাচক কমিটির যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে ছিলেন না অধিনায়ক শান মাসুদ ও কোচ গিলেস্পি। তবে শনিবারের আলোচনার পর নির্বাচকেরা কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। এও জানা গেছে যে কয়েকজন মেন্টর বাবরকে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে রাখার পক্ষে কথা বলেছেন। তবে বেশির ভাগই তাঁকে একাদশে না রাখার পক্ষে রায় দেন।