গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই দলটি হেরে যায় ধানমন্ডির কাছে। আজ রূপগঞ্জ জয়ে ফিরল শাইনপুকুরকে ১০ উইকেটে হারিয়ে। এই জয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠল দলটি। আজ দিনের অন্য দুই ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক লিটন দাসের গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ও গাজী গ্রুপ ধানমন্ডিকে হারিয়েছে।
লাঞ্চের আগেই রূপগঞ্জের জয়
প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই ঘটাল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে গাজী গ্রুপকে ৯৩ রানে অলআউট করেছিল তারা, এবার মিরপুরে প্রতিপক্ষকে থামিয়েছে আরও কম রানে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানে অলআউট শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। রান তাড়ায় নেমে ৯.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।
শাইনপুকুর অবশ্য প্রথম উইকেটটা হারায় নবম ওভারে। ২৬ বলে ১৮ রান করে ওপেনার মঈনুল ইসলাম ক্যাচ তুলে দেন। এরপরই রীতিমতো ধস নামে শাইনপুকুরের ইনিংসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে আরেক ওপেনার নিয়ন জামানের ব্যাট থেকে।
রূপগঞ্জের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ও পেসার রেজাউর রহমান ৩ উইকেট করে নেন, ২ উইকেট পেয়েছেন জাতীয় দলের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। রান তাড়ায় রূপগঞ্জের ওপেনার তানজিদ হাসান ২০ বলে ৩৫ ও সাইফ হাসান ৩৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
৩ ম্যাচে দুই জয়ে প্রাইম ব্যাংকের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় এখন পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে আছে রূপগঞ্জ।
গাজী গ্রুপের বড় জয়
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বেশ দাপুটে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ১৭৫ রানে হারিয়েছে এনামুল হকের দল। অধিনায়ক এনামুল হক (৯৪ বলে ৬৯) ও ওয়ানডাউনে নামা শামসুর রহমানের (৭২ বলে ৬০) ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান করে গাজী। শেষ দিকে আমিনুল ইসলাম ৩০ বলে ৪৪ রান করে রানটাকে ৩০০ ছুঁই ছুঁই বানিয়ে দেন।
রান তাড়ায় ৩৪.২ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ধানমন্ডি। ৩৩ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান। গাজী গ্রুপের হয়ে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকী
লিটনের গুলশানকে হারাল অগ্রণী ব্যাংক
প্রথম ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে চমকে দেওয়া গুলশান ক্লাব টানা দুই ম্যাচে হারল। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দলটি ৬ উইকেটে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে। দলটির জন্য অবশ্য আশার খবর, রান পেয়েছেন লিটন দাস। আবাহনীর বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১৪ রান করা লিটন গুলশানের পক্ষে ৫২ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন। এ ছাড়া ৪১ বল খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন মঈনুল ইসলাম। গুলশান ক্লাব ৪৯ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয়।
রান তাড়ায় নেমে অগ্রণী ব্যাংক ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে এরপর ১৩৪ রানের জুটি গড়েন ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান। ৯৮ বলে ৭৫ রান করেছেন ইমরানুজ্জামান ও অমিত ৯৪ বলে করেছেন ৬৩ রান। ১০ রানের ব্যবধানে দুজন বিদায় নিলেও মার্শাল আইয়ুব (৫৪ বলে ৪০*) ও তাইবুর রহমান (৩৯ বলে ৩৫) দলকে জিতিয়ে ফেরেন। তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল অগ্রণী।