ভারতীয়দের হাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার টি–টোয়েন্টি লিগের ৬ দল
আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। নতুন সাজে, নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া এই টি–টোয়েন্টি লিগে খেলবে ছয়টি দল। এই ছয় দলেরই মালিক ভারতীয়রা। নির্দিষ্ট করে বললে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিমালিকেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকান টি–টোয়েন্টি লিগের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা এরই মধ্যে কিনে নিয়েছে আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, চেন্নাই সুপার কিংস, লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকেরা।
চেন্নাই সুপার কিংসের মূল প্রতিষ্ঠান চেন্নাই সুপারকিংস স্পোর্টস লিমিটেড সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে কিনেছে জোহানেসবার্গ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ কিনেছে কেপটাউন ফ্র্যাঞ্চাইজি। পোর্ট এলিজাবেথের দলটি কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালিক সান টিভি গ্রুপ।
এ বছরের আইপিএলে সাত হাজার কোটি রুপি দিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ কিনেছিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস দলটি। তারা দক্ষিণ আফ্রিকা লিগে কিনেছে ডারবানের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এ ছাড়াও রাজস্থান রয়্যালসের মালিকেরা কিনেছে পার্ল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। প্রিটোরিয়ার দলটি কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালসের সহস্বত্বাধিকারী জিন্দাল গ্রুপের জিন্দাল সাউথ ওয়েস্ট স্পোর্টস নামের প্রতিষ্ঠানটি।
টি–টোয়েন্টি লিগটি পরিচালনা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড ও সম্প্রচারকারী সংস্থা সুপারস্পোর্ট যৌথভাবে। শিগগিরই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নাম ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয় জানিয়ে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। লিগটির সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।
উল্লেখ্য, এর আগেও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড আরও দুবার ভিন্ন ভিন্ন নামে (গ্লোবাল লিগ টি–টোয়েন্টি ও এমজানসি সুপার লিগ) ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ চালু করেছিল। কিন্তু সেগুলো নানা কারণে তেমন সফলতার মুখ দেখেনি।
নতুন টি–টোয়েন্টি লিগ এখন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ আগ্রাধিকার। লিগটি সফল করতে তারা এতটাই মরিয়া যে জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে ১১তম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিয়া দলটি এখন যে অবস্থানে আছে, তাতে তারা আদৌ ২০২৩ বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। টি–টোয়েন্টি লিগটিকে ভবিষ্যতে টেকসই আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ব্যাপারে আইপিএলের মতো একটি আলাদা সময় বের করার কথা ভাবছে দক্ষিণ আফ্রিকা।