লিটনদের দুর্দশার জন্য মিরপুরকে দুষছেন শোয়েব মালিক
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও হেরেছে বাংলাদেশ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে তিন নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দলটিই এখন বিশ্বকাপে এসে ভুগছে।
কেন? এর কারণ হিসেবে অনেকেই দেশের মাটিতে লো স্কোরিং ম্যাচ খেলে সিরিজ জেতাকে দায়ী করছেন। পাকিস্তান অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও এমনটাই মনে করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মালিক বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন একসময়ের পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে।
ইদানীং বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই যেন ব্যাটিং-ধসের গল্প। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, শুরুতে ব্যাটিং–দুর্দশার গল্প বদলাচ্ছে না। ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ৪৯ রানে হারিয়েছে প্রথম ৪ উইকেট।
কাল চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬ রান তুলতেই ৪ ব্যাটসম্যান আউট। এমন দুর্দশার কারণ খুঁজতে গিয়ে মালিক সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটে, ‘বাংলাদেশ যে সিরিজগুলো জিতেছে, সব কটিই ছিল লো স্কোরিং। তাদের স্পিনারদের পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টা নজরে আসে। এই ঘটনা কিন্তু আমাদের সঙ্গেও হয়েছিল। একসময় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে শুধু পেস–সহায়ক উইকেট বানানো হতো। তাতে ১৪০–এর বেশি গতিতে বোলিং করা পেসার আসা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এর ফলে স্পিনাররাও কম আসতে শুরু করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন। তাদের মিরপুর এমন একটা মাঠ যেখানে রান করা মোটেই সহজ নয়।’
গতকাল ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। নিউজিল্যান্ড দলের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইং সামলে নিতে ক্রিজের অনেকটা বাইরে স্টান্স নিয়েছিলেন এই ওপেনার। সেখান থেকেই দুই পা এগিয়ে স্কয়ার লেগের দিকে খেললেন ফ্লিক শট। টাইমিংও হয়েছিল ঠিকঠাক। কিন্তু বল স্কয়ার লেগে না গিয়ে যায় ফাইন লেগে। সেখানে একমাত্র ফিল্ডার ম্যাট হেনরি লাফিয়ে লুফে নেন ক্যাচটা। যে আউট নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না।
পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামও লিটনের আউট নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে শটটি ভিন্নভাবে খেলতে পারতেন অভিজ্ঞ লিটন, ‘লিটন দাস অনেক দিন ধরে খেলছে। সে এখন আর তরুণ নয়। বুঝতে পারলাম, বলটা বাজে ছিল। ন্যাচারালি শটটা চলে এসেছে। তবে এটা ৫০ ওভারের সংস্করণ। ফাইন লেগ যদি পিছে থাকে, তাহলে সিঙ্গেল নাও। এসব কি লিটনকে আমাদের বলতে হবে?’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক বাংলাদেশের ব্যাটিং সম্পর্কে সেই চিরচেনা কথাই বলেছেন, ‘দায়িত্ব নিতে হবে। ৩০-৪০ করলে আপনার দল জিতবে না। টপ অর্ডারের চারজনের থেকে সেঞ্চুরি আসতে হবে, সেটা হচ্ছে না। এটাই বাংলাদেশের সমস্যা।’