বড় দলকে হারানোর ‘মজার’ অপেক্ষায় তাইজুলরা
দরজায় কড়া নাড়ছে জয়। নিউজিল্যান্ড দলকে প্রতিদিন তো টেস্টে হারানোর সুযোগ আসে না। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পর বাংলাদেশের সামনে এখন আরও একবার সে সুযোগ অপেক্ষা করছে।
সিলেট টেস্টে ৩৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ১১৩ রানে। জয়ের জন্য পঞ্চম ও শেষ দিনে কিউইদের দরকার ২১৯ রান, বাংলাদেশের ৩ উইকেট। নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে ক্রিকেটাররাও আগামীকালের রোমাঞ্চকর সকালের অপেক্ষায় থাকবেন।
দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাইজুল ইসলাম সম্ভাব্য জয়ের রোমাঞ্চ নিয়ে বলছিলেন, ‘বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা। এখনো জিতিনি, তবে ইনশা আল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বড় দলকে হারালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দল বদলে যাওয়ার আভাস থাকে। পুরো বছর যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারি। কয়টা ম্যাচ জিতব বা জিতব না, তা জানি না। তবে বাংলাদেশকে যেন ভালো কিছু দিতে পারি।’
নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেটের ৬টিই বাংলাদেশ দলের তিন স্পিনার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। চতুর্থ দিনের উইকেট হলেও ব্যাটিং অতটা কঠিন মনে হয়নি। তবু বাংলাদেশ দল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়েছে। বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের সামর্থ্যের ছবিটা এতে ফুটে ওঠে। তাইজুলই বলছিলেন, ‘সকালেও উইকেট এত কঠিন মনে হচ্ছিল না। আমাদের বোলাররা অনেক দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওরা বড় ব্যাটারদের দ্রুত হারানোয় চাপে পড়েছে। বলব না উইকেট খুব খারাপ।’
সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই প্রতিপক্ষ দলের সেরা ব্যাটসম্যান কেইন উইলিয়ামসনকে আউট করেছেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান করা উইলিয়ামসনকে ব্যাট-প্যাডের মাঝখানের জায়গা খুঁজে নিয়ে বোল্ড করেন তাইজুল। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ রান করা উইলিয়ামসনকে প্রায় একই ডেলিভারিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এ নিয়ে উইলিয়ামসনকে তিন ইনিংসে বল করে তিনবারই আউট করেছেন তাইজুল।
উইকেটের আশপাশে থাকা বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররাও তাইজুলকে উইলিয়ামসনের উইকেট নিতে অনুপ্রাণিত করেছেন। প্রতিপক্ষ দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করার অনুভূতিটা আজ সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়। তাইজুল বললেন, ‘৯ বছর খেলেছি। ওদের মধ্যে আস্থা ছিল, হয়তো আমি কোনো সেটআপ করে আউট করতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ হয়েছে।’