বিপিএলে নতুন, তবে ঢাকা পুরোনো ইজাজ আহমেদের কাছে

দুর্বার রাজশাহীর প্রধান কোচ ইজাজ আহমেদপ্রথম আলো

বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয়টি ওয়ানডে খেললেও কখনো টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। ২০০১ সালের মার্চে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ইজাজ আহমেদ। তবে পাকিস্তানের সাবেক এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান টেস্টে তাঁর একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটা করেছেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই।

১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৫ রানে জেতা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২১১ রান করেছিলেন ইজাজ। ৫৭ বছর বয়সী স্মৃতিতে কিছুটা মরচে ধরাতেই হয়তো নিজের সেরা ইনিংসের রান সংখ্যাটাকে ইজাজ বললেন ‘২০৯’, তবে ঢাকায় এসে সেই স্মৃতি উঁকি না দিয়ে পারে না তাঁর মনে।

আরও পড়ুন

এবারের বিপিএলে ইজাজ এসেছেন দুর্বার রাজশাহীর কোচ হয়ে। আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পাকিস্তান ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন অতীতে, ‘এটা আমার পঞ্চম বা ষষ্ঠ বাংলাদেশ সফর হবে। টেস্টে আমার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ঢাকা স্টেডিয়ামে, ২০৯ (আসলে ২১১)। এখানে আমি বেশ পরিচিত ছিলাম। এরপর এখানে এশিয়া ইমার্জিং কাপে খেলতে (কোচ হিসেবে) আসি, সেটাও আমরা জিতি। আমার সময়ে যেসব ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে খেলেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে।’

দুর্বার রাজশাহীর অনুশীলনে সহকারী কোচ মেহরাব হোসেনের সঙ্গে প্রধান কোচ ইজাজ আহমেদ
প্রথম আলো

বয়স ষাটের কাছাকাছি চলে গেলেও শারীরিকভাবে এখনো বেশ ফিটই দেখায় ইজাজকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই হেসে বলেছেন, ‘১৫ বছর ধরে কোচিং ক্যারিয়ারে আছি, হয়তো সে কারণেই…।’

আরও পড়ুন

অভিজ্ঞ এই কোচের পরামর্শ এবার পাবে বিপিএলের দল দুর্বার রাজশাহী। কোচ হিসেবে ইজাজও বেশ রোমাঞ্চিত তারুণ্যনির্ভর দলটা নিয়ে, ‘এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এখানে কিছু ভালো ইনিংস বা ভালো বোলিংই আপনাকে জেতাবে। যেকোনো একজন খেলোয়াড়ই আপনাকে জেতাতে পারে। আমাদের দলটা বেশ তরুণ এবং ভালো। কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে...যেমন ইয়াসির, তাসকিন, এনামুল হক। সবাই দারুণ ক্রিকেটার।’ রাজশাহীর প্রধান কোচ আরও জানিয়েছেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্যই থাকবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।

দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইজাজ আহমেদ (বাঁ থেকে তৃতীয়)
প্রথম আলো

স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট মনে হলো ইজাজকে। তাঁর আশা, ‘আমরা ভালো খেলব এবং আমার কোচিং ও ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করব। এর আগে পিএসএলে কাজ করেছি। প্রথমবার বিপিএলে কাজ করছি, এটা আমার জন্য সম্মানের। মালিকেরা সম্ভবত পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সাজিয়েছে। আশা করি, পরের বছরও আসতে পারব।’