এবার মার্শের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ভারতীয় সমর্থকের অভিযোগ
বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে ছয় দিন হলো। মাঠের খেলা নিয়ে আলোচনা এখন নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপের পর এরই মধ্যে মাঠেও নেমেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পর মিচেল মার্শের উদ্যাপনের একটি ছবি নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। বিশ্বকাপের ট্রফির ওপরে পা দিয়ে বসে আছেন—এই ছবির জন্য এবার আলিগরের দিল্লি গেইট পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছেন ভারতের এক নাগরিক। এর আগে এমন ছবির জন্য তাঁর সমালোচনা করেছেন ভারতের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামিসহ অনেকেই।
বিশ্বকাপের ট্রফির ওপরে পা দিয়ে বসে আছেন মার্শ—এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়ে গেছে। এর পর থেকে অনেকেই মন্তব্য করে বলছেন, এভাবে ছবি তুলে মার্শ বিশ্বকাপের ট্রফি আর খেলাটিকে অসম্মান করেছেন!
পণ্ডিত কেশব নামের এক ব্যক্তিরও দাবি এমন। উত্তর প্রদেশের এই ব্যক্তির দাবি, মার্শের এই ছবি অনেক ভারতীয় সমর্থকের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তিনি পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, সেটার একটা কপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও পাঠিয়েছেন। দাবি করেছেন, ভারতে মার্শের খেলায় যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্র দিয়ে এ বিষয়ে যে খবরটি দিয়েছে, সেখানে কেশবের অভিযোগ দেওয়ার নিয়ে আলিগর পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্ট মৃগাঙ্ক শেখরকে উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘একটি অভিযোগ গৃহীত হয়েছে। কিন্তু কোনো মামলা রুজু করা হয়নি। সাইবার সেল থেকে প্রতিবদেন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এর আগে মার্শের সমালোচনা করে শামি বলেছিলেন, ‘আমি কষ্ট পেয়েছি। যে শিরোপার জন্য বিশ্বের সব দল লড়াই করে, যে ট্রফি আপনি মাথার ওপরে তুলে ধরেন, সেই ট্রফির ওপর পা রাখা আপনাকে আনন্দ দিতে পারে না।’
ভারতের অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও ইনস্টাগ্রামে মার্শের সমালোচনা করেছেন। ট্রফিতে চুমু খাওয়া একটি ছবি পোস্ট করে উর্বশী লিখেছেন, ‘ভাই, বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি কিছুটা সম্মান দেখাও।’
এই বিষয়ে এখনো মার্শের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিশ্বকাপ জিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেছেন। ছুটি নিয়েছেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে।
সংশোধনী: এবার মার্শের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ভারতীয় সমর্থক—এই শিরোনামের খবরটির সূত্র ছিল ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু পরে জানা গেছে, এফআইআর দায়ের করার তথ্যটি ছিল ভুল। ভারতীয় নাগরিক পণ্ডিত কেশব পুলিশের কাছে শুধু অভিযোগ করেছিলেন। কোনো মামলা হয়নি। শিরোনামসহ খবরের এই অংশটা সংশোধন করা হয়েছে।