- ১০ বছর পর এক পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ
- সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত তাইজুল
এবার ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ
‘ডেড রাবার’। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে সিরিজে এ ব্যাপারটি দেখা যায় না। বিশ্বকাপ সুপার লিগের কারণে প্রতি ম্যাচেই প্রাপ্তির কিছু থাকে দলগুলোর। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের এ সিরিজটি সুপার লিগের অংশ নয়। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর গায়ানার এ ম্যাচটি তাই ‘ডেড রাবার’ই।
তবে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করার। আর স্বাগতিকদের সামনে হারের ধারা আটকানোর। সফর, সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত, কিছুক্ষণের মধ্যেই হবে টস।
আবার টস জিতলেন তামিম
টানা তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তৃতীয়বারের মতো ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
১০ বছর পর এক পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ
২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর, মিরপুর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে ছিলেন মাত্র একজন পেসার—শফিউল ইসলাম। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে একজন পেসার বোলিং করেছেন, এমন ঘটনা আছে মাত্র পাঁচটি। সর্বশেষটি দশ বছর আগের ওই ম্যাচে।
গায়ানায় আবার এক পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। গত ম্যাচে তাসকিন আহমেদকে বাদ দিয়ে খেলানো হয়েছিল অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। তৃতীয় ম্যাচে দলে রাখা হয়নি আরেক পেসার শরীফুল ইসলামকেও। তাঁর বদলে আরেকজন স্পিনার খেলাচ্ছে বাংলাদেশ। টসের সময় তামিম সেই স্পিনারের নাম না বললেও স্কোয়াডে গত ম্যাচের একাদশের বাইরে আছেন শুধু তাইজুলই।
তাইজুল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রায় আট বছরের ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে এ বাঁহাতি স্পিনার ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ৯টি, আজ দশম ম্যাচ তাঁর।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
বাদ পড়লেন মায়ার্স
আগের দুই ম্যাচে ১০ ও ১৭ রান করেছেন। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকিরা যে সুবিধা করতে পেরেছেন, তা-ও নয়। তবে তৃতীয় ম্যাচে দলে রাখা হয়নি কাইল মায়ার্সকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান কিসি কার্টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আছে এই একটিই পরিবর্তন।
একাদশ
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ, রোভম্যান পাওয়েল, শামার ব্রুকস, ব্রেন্ডন কিং, কিসি কার্টি, রোমারিও শেফার্ড, কিমো পল, গুড়াকেশ মোটি, আলজারি জোসেফ, আকিল হোসেন।
‘বেঞ্চ’ দেখার চিন্তা থেকে ‘ইউটার্ন’
দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পরই অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ম্যাচে তাঁরা বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চান।
তবে সে ভাবনা থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় ম্যাচের ফল কী হবে?
এক প্রান্তে নাসুম, অন্য প্রান্তে মোস্তাফিজ
প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদের পর দ্বিতীয় ওভারে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজের বলে একটি চার মেরেছেন ব্রেন্ডন কিং। ২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৯/০।
দুই বছর পর নেমে প্রথম বলেই উইকেট তাইজুলের
একটি ওয়ানডে খেলতে আপনি অপেক্ষা করলেন দুই বছরেরও বেশি সময় পর। এরপর নেমে প্রথম বলেই করলেন যে কোনো বাঁহাতি ফিঙ্গার স্পিনারের জন্য স্বপ্নের ডেলিভারিটি। ফল—উইকেট!
তাইজুল ইসলামের গল্পটা এমনই। নাসুমকে সরিয়ে তাঁকে আনলেন তামিম। তাইজুলের প্রথম বলটা মিডল-লেগে পড়ে টার্ন করল, গিয়ে ভাঙল ব্রেন্ডন কিংয়ের অফ স্টাম্প! ৯ বলে ৮ রান করে ফিরলেন কিং, ৯ রানে প্রথম উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
২ ওভারে তাইজুলের ২ উইকেট
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেকটি উইকেট তাইজুলের। এবার টার্নে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পড হয়েছেন শাই হোপ। আবার ধুঁকছে উইন্ডিজ, আবার শুরুতেই নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ।
এবার মোস্তাফিজের আঘাত
মোস্তাফিজের বলটা আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন শামার ব্রুকস। মিস করে হয়েছেন এলবিডব্লু। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। রিভিউ অক্ষত আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তবে ফিরতে হয়েছে ব্রুকসকে।
৬ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রানআউটের হাত থেকে বাঁচলেন পুরান
মোস্তাফিজের বল পয়েন্টে খেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন কিসি কার্টি। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হতে পারতেন নিকোলাস পুরান। মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রো অবশ্য লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি, পুরানও বেঁচে গেছেন।
অন্যপ্রান্তে মোস্তাফিজের জায়গায় এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা পুরান-কার্টির
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুরান ও কার্টি। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ২৬ রান। এরই মধ্যে ৫ জন বোলারকেই এনেছেন তামিম।
সিরিজে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ জুটিটি ৩৯ রানের, প্রথম ম্যাচে দশম উইকেটে যোগ করেছিলেন জেইডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
১৫ ওভারে ৪৬/৩।
ব্যাটসম্যানদের 'কঠিন সময়'
গায়ানার মতো গলেও কঠিন সময় পার করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই পড়েছে ১২ উইকেট।
সিরিজে সর্বোচ্চ জুটি উইন্ডিজের
পুরান-কার্টির জুটি পেরিয়ে গেছে ৪০ রান। সিরিজে এখন এটিই সর্বোচ্চ জুটি স্বাগতিকদের। সিরিজে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন আফিফ হোসেন। ইনিংসে ষষ্ঠ বোলার ও পঞ্চম স্পিনার হিসেবে এলেন তিনি। প্রথম ওভারে আফিফ তাঁর অফ স্পিনে দিয়েছেন ২ রান।
১৯ ওভারে ৫৮/৩।
প্রথম ছয়, ফিফটি জুটি
মিরাজের ওপর চড়াও হয়েছেন কার্টি। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অন দিয়ে মেরেছেন ম্যাচের প্রথম ছয়। ওই ছয় দিয়েই পুরানের সঙ্গে তাঁর জুটি পেরিয়ে গেছে অর্ধশতক। সিরিজে বাংলাদেশ স্পিনারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এ জুটিতে। বাংলাদেশ অপেক্ষায় আরেকটি ব্রেকথ্রুর।
২৩ ওভারে ৭১/৩।
কার্টিকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দিলেন নাসুম
হতাশ নিকোলাস পুরান। হতাশ কিসি কার্টিও!
নাসুম আহমেদের বলটা ছিল গুডলেংথে, তবে সেটিতে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন কার্টি। লং অনে তামিম ইকবাল ভুল করেননি, ৬৬ বলে ৩৩ রান করে উইকেট ছুড়ে এলেন কার্টি। ভাঙল পুরানের সঙ্গে তাঁর ৬৭ রানের জুটি।
২৭তম ওভারে ৮৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আবার চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিসি কার্টিকে নাসুম আহমেদ ফেরানোর পর আবার রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাগতিকেরা। কার্টি ফেরার পর ৭.১ ওভারে পুরান ও রোভম্যান পাওয়েলের জুটিতে উঠেছে ১৭ রান। ৩৪তম ওভারে অবশ্য উঠেছে ৫ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুঁয়েছে ১০০ রান।
খরুচে মিরাজ
প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। পরের ম্যাচে ২৯ রানে ৪ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশ্য এখন পর্যন্ত নিজেকে খুঁজে পাননি মিরাজ।
৩৬তম ওভারে ফিরেছেন, প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লং অফ দিয়ে তাঁকে ছক্কা মেরেছেন রোভম্যান পাওয়েল। পরের ৩ বল অবশ্য ডট করেছেন মিরাজ। তবে ওভারে এসেছে ৯ রান। প্রথম ৬ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৪৪ রান।
পাওয়েলকে থামালেন তাইজুল
আগের ওভারে মিরাজকে ছয় মেরে আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাওয়েল। পরের ওভারে তাইজুলের বলে ফিরতে হলো তাঁকে।
দ্রতগতির বলে বেশ তীক্ষ্ণ টার্ন ছিল, জায়গা বানিয়ে পেছনের পায়ে ভর করে খেলতে যাওয়া পাওয়েল বেসামাল হয়ে পড়েন তাতেই। ২৯ বলে ১৮ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাইজুল নিলেন নিজের তৃতীয় উইকেট, ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে আরেক দফা চাপে পড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পুরানের অর্ধশতক
যখন নামেন, ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিকোলাস পুরান এরপর সতীর্থদের দেখানোর চেষ্টা করলেন, এমন উইকেটে কীভাবে ব্যাটিং করা যায়। কিসি কার্টি অসময়ে ফিরেছেন, ইনিংস বড় করতে পারেননি রোভম্যান পাওয়েলও। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ঠিকই পেয়ে গেলেন অর্ধশতক। মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন এ বাঁহাতি। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে এটি প্রথম অর্ধশতক তাঁর।
এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা সুবিধার নয়, তবে পুরান টিকে আছেন এখনো।
তাইজুলের আরেকটি উইকেট
শাই হোপ স্টাম্পড ব তাইজুল ইসলাম।
কিমো পল স্টাম্পড ব তাইজুল ইসলাম।
তাইজুলের নবম ওভারের প্রথম বলে তাঁকে চার মেরেছিলেন পল। তবে এক বল পরই প্রতিশোধ নিলেন তাইজুল। টার্নে পরাস্ত হয়েছেন বেশ খানিকটা পা বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা করা পল। বল ব্যাটে লাগেনি, তবে পা পপিং ক্রিজের বাইরেই ছিল পলের। উইকেটের পেছনে দারুণ কাজ করেছেন নুরুল। ইনিংসে তাইজুলের বলে দ্বিতীয় স্টাম্পিং করলেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার। তাইজুল পেলেন চতুর্থ উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
মিরাজের ওভারে পুরানের ১৬
এক পাশে সঙ্গীরা ফিরে যাচ্ছেন। সামনে আবার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে বোলার মিরাজ। দুইয়ে মিলে চড়াও হওয়ার সিদ্ধান্তই নিলেন পুরান!
৪০তম ওভারের প্রথম দুই বলে এল দুই ছক্কা, পরের তিন বল ডট, শেষ বলে গিয়ে চার। প্রথম ছয়টি সোজা সাইটস্ক্রিনের ওপর দিয়ে, পরেরটি মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন পুরান। চারটিও এসেছে মিডউইকেট দিয়েই।
মিরাজ ৮ ওভারে দিলেন ৬১ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০ ওভারে ১৪১/৬।
নিজের শেষ ওভারে আকিলকে ফেরালেন মোসাদ্দেক
আগের ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেন করেছেন আরও আঁটসাঁট বোলিং, তবে উইকেট পাচ্ছিলেন না। অবশেষে সেটির দেখা পেলেন এ অফ স্পিনার। স্টাম্প লাইনের বলটা মিস করে বোল্ড হয়েছেন আকিল হোসেন, সামনের পায়ে ভর দিয়ে খেলার দরকার থাকলেও ক্রিজে আটকে ছিলেন তিনি। নিজের শেষ ওভারে এসে প্রথম উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক। বোলিং শেষ করেছেন ২২ রানে ১ উইকেটের ফিগার নিয়ে।
৮ ওভার বাকি থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৪৮, উইকেট বাকি ৩টি।
পুরানকে ফিরিয়ে তাইজুলের ৫ উইকেট!
এক পাশে অটল ছিলেন নিকোলাস পুরান। নিজের শেষ ওভারে এসে তাঁকে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। উইন্ডিজ অধিনায়ক বোল্ড হয়েছেন ৭৩ রান করে। নিজের দশম ওয়ানডেতে প্রথম বারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাইজুল।
সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত তাইজুল
এমনিতে টেস্ট ছাড়া বাকি দুই সংস্করণে জায়গা মেলে না তাঁর। তবে বিদেশের মাটিতে টেস্টেও জায়গা পাওয়া কঠিন তাইজুল ইসলামের জন্য। সাকিব আল হাসানের উপস্থিতি, সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ—তাইজুলের জন্য কাজটা হয়ে পড়েছে আরও কঠিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজেই বাইরেই বসে ছিলেন টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টিতে দলেই ছিলেন না এখন পর্যন্ত এ সংস্করণে ২টি ম্যাচ খেলা তাইজুল। তাইজুল ছিলেন না প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ওয়ানডে দলেও।
সাকিব আল হাসান ছুটি নেওয়ার পরই মূলত ওয়ানডে সিরিজেও রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। গায়ানায় স্পিন সহায়ক কন্ডিশন হলেও প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ মেলেনি। তৃতীয় ম্যাচে এসে সেটি পেলেন তাইজুল। ২০২০ সালের মার্চের পর আবার খেলতে নামলেন ওয়ানডে।
নেমে প্রথম বলেই পেলেন উইকেট। পরের ওভারে পেলেন আরেকটি। তাইজুল পরে পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট। শেষ ওভারে এসে ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরানকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেটের দেখা তাতেই পেয়ে গেছেন তাইজুল!
১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ওয়ানডেতে তাঁর সেরা বোলিং ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট। সেটিও অভিষেকেই, ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে।
রইল বাকি এক!
মোস্তাফিজের ধীরগতির বাউন্সারটি স্টাম্পে ডেকে এনেছেন গুড়াকেশ মোতি। ১৫৩ রানে নবম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মোস্তাফিজ পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।
১৭৮ রানে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
নাসুমকে ছয় মারার পর আবার তুলে মারতে গিয়ে লাইন পুরো মিস করে গেলেন রোমারিও শেফার্ড, হারালেন মিডল স্টাম্প। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের চিত্রটা ফুটে উঠল তাতেই। সিরিজে নিজেদের ‘সেরা’ ব্যাটিং পারফরম্যান্সটাই দেখিয়েছে স্বাগতিকেরা। তবে তাইজুলদের তোপে ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, পুরান করেছেন ৭৩ রান।
১৬ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে এসে সিরিজের ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন পুরান। তবে শেষ পর্যন্ত তাইজুলের কাছেই হার মানতে হয়েছে তাঁকে।
গায়ানায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও টসে জিতে ফিল্ডিং নেন তামিম। বাংলাদেশ নামে মাত্র একজন স্বীকৃত পেসার নিয়ে। শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন এরপর পুরান ও এ ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা কিসি কার্টি। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৭ রান।
পুরান অবশ্য স্পিনের বিপক্ষে জবাবটা দিয়েছেন ভালোই। কার্টি ফেরার পর আকিল হোসেনকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৪ রান। অন্যপ্রান্তে সঙ্গীদের ফিরে যাওয়া দেখে এরপর নিজেই চড়াও হন। আকিল হোসেনের সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ২১ রান। তবে পুরান-কার্টির ওই জুটির আগে-পরে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে এসে মোস্তাফিজের বলে তামিমের হাতে জীবন পাওয়া শেফার্ড ২২ বলে করেন ১৯ রান।
তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ ও নাসুম। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১টি নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২ ওভার করা আফিফ থাকেন উইকেটশূন্য। আগের ২ ম্যাচ মিলিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া মিরাজ উইকেটের দেখা পাননি। ৮ ওভারে ৬১ রান দিয়েছেন তিনি।
পরের এফটিপিতে থাকছে অস্ট্রেলিয়া সফর...
এফটিপির পরবর্তী চক্র বাংলাদেশকে ভুলে যাওয়া এক স্বাদ উপহার দিচ্ছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট খেলে এসেছিল বাংলাদেশ। এর পর আর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। ২০২৫-২০২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে সে দুঃখ দূর হবে বাংলাদেশের। ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট আছে বাংলাদেশের। বাকি দুই সফর অবশ্য বাংলাদেশের অতি পরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ।
আনুষ্ঠানিক এফটিপি প্রকাশিত হয়নি এখনো। তবে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকইনফো।
সতর্ক শুরু তামিম-নাজমুলের
আগের ম্যাচের মতোই তামিমের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে এসেছেন নাজমুল হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য প্রথম ৩ ওভারে স্পিনার আনেনি। আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ডের করা প্রথম ৩ ওভারে উঠেছে ৭ রান। জোসেফকে একটি চার মেরেছেন তামিম। ৮ বল খেলে রান করেননি নাজমুল।
নাজমুলকে ‘মুক্তি’ দিলেন জোসেফ
নাজমুল হোসেন রানই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। প্রথম ১২ বলে করেছিলেন মাত্র ১ রান। ১৩তম বলে গিয়ে আউটই হয়ে গেলেন এ বাঁহাতি। আলজারি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে ফিরেছেন তিনি। আগের ম্যাচে তামিমের সঙ্গে তাঁর জুটি বাংলাদেশকে ভালো একটা ভিত এনে দিলেও আজ বেশিক্ষণ টিকলেন না নাজমুল। সপ্তম ওভারে ২০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত লিটন, বাংলাদেশের ৫০, উঠে গেলেন পাওয়েল
ফুললেংথের বল। কাউ কর্নার দিয়ে ছয়। এটুকু বললে আদতে পুরোটা বলা হয় না। আকিল হোসেনের ওই বলে লিটন ছক্কা মেরেছেন ফ্লিকের মতো এক শটে, যে শটের পুরোটিই ছিল টাইমিং নির্ভর। এরপর কাট করে মেরেছেন আরেকটি চার। সে বলের লাইনও ঠিক কাটের জন্য ছিল না, তবে বেশ দেরি করে দুর্দান্ত টাইমিং পেয়েছেন লিটন!
পরের ওভারে রোভম্যান পাওয়েলকে ফ্লিক করে আরেকটি চার মেরেছেন তামিম। তবে ওই বলের পরই উঠে গেছেন পাওয়েল, বেশ অস্বস্তির ভাব ছিল তাঁর শরীরী ভাষায়। তামিমের ওই চারেই ৫০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন
আকিল হোসেনের বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন লিটন দাস। আম্পায়ার দিয়েছিলেন এলবিডব্লু। তবে ইমপ্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন লিটন।
এর আগে একটা বল বেশ নিচু হয়েছিল, লিটন ডিফেন্ড করতে পেরেছেন সেটিও। তারও আগে কাট করে আরেকটি চার মেরেছিলেন তিনি।
১৬ ওভারে ৬৭/১।
৫০ রানের জুটির পরই ফিরলেন তামিম
৫০ রানের জুটি হলো। এরপরই গুড়াকেশ মোতিকে স্লগ সুইপ করতে গেলেন তামিম। বল পড়ার পর টার্ন করেছিল, লেংথটিও ঠিক এমন শটের উপযুক্ত ছিল না। সেটির মাশুল গুণলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৩৪ রান করে।
লিটনের অর্ধশতক
রোমারিও শেফার্ডকে দারুণ অন ড্রাইভে চার মেরে ৪৯ রানে গেলেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করলেন লিটন দাস, মাত্র ৬২ বলে। এ উইকেটে ৬২ বলকে আসলে ‘মাত্র’ বলতেই হয়। এখন পর্যন্ত লিটন খেলেছেন দারুণ ইনিংস--শট নির্বাচন থেকে টাইমিংয়ে। ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছয়। ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ষষ্ঠ অর্ধশতক, সঙ্গে আছে ৫টি শতক।
মোতির দারুণ ক্যাচে ফিরলেন লিটন
লিটন যেমন ছন্দে ছিলেন, তাঁকে ফেরাতে দারুণ কিছুই দরকার ছিল। গুড়াকেশ মোতি করে দেখালেন অমন কিছুই। অন ড্রাইভ করেছিলেন লিটন, টাইমিং-ও ভালো ছিল। তবে নিজের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন মোতি। অর্ধশতকের পর আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি লিটন। ২৫তম ওভারে ৯৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৩ বল, ২ উইকেট!
আফিফ হোসেনের সামনে সুযোগ ছিল কার্যকরী এক ইনিংস খেলার। তবে সে সময়টা নিজেকে দিলেন না তিনি। মোতির বলে সামনে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হলেন। কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন তিনি। জোড়া উইকেটসহ মেডেন করেছেন মোতি। হুট করেই চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ১০০
৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে তুলনামূলক নতুন দুই ব্যাটসম্যান। আফিফের আউটের পর সর্বশেষ ১৯ বলে উঠেছে ৫ রান। এর মধ্যে অবশ্য ১০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ২২ ওভারে প্রয়োজন ৭৮ রান, বাকি ৬ উইকেট।
মোসাদ্দেকের চার-ছয়
মোতিকে মাথার ওপর দিয়ে মারলেন চার, ৭.৪ ওভার পর প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেল বাংলাদেশ। পরের ওভারে পুরানকে টেনে মিডউইকেট দিয়ে ছয় মারলেন মোসাদ্দেক। ১৮ ওভারে এখন ৬৪ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
মোতির শেষ ওভারে ফিরলেন মোসাদ্দেক
দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার তিনি, স্পেলে বাকি বাকি ২ বল। তবে গুড়াকেশ মোতিকে ওই সময়ও আক্রমণ করতে গেলেন মোসাদ্দেক। ইনসাইড-আউটে খেলা শটটা সোজা গেছে ফিল্ডারের হাতে। শেফার্ডের হাত থেকে একবার বেরিয়ে এলেও দ্বিতীয় দফাই ঠিকই ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। ঠিক যে সময়ে মনে হচ্ছিল মোসাদ্দেক ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন, তখনোই ফিরে গেলেন তিনি। ২৫ বলে তিনি করেছেন ১৪ রান।
মোতির শেষ বলের আগে বেশ সময় নিয়ে ফিল্ডিং সাজিয়েছেন পুরান। নুরুল অবশ্য ডিফেন্ড করেছেন সেটি। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ঘরের মাঠে বোলিং শেষ করলেন মোতি।
নুরুলের প্রতি-আক্রমণ
লিটন, আফিফ ও মোসাদ্দেককে হারিয়ে বেশ চাপের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। প্রতি-আক্রমণে সেটি কমানোর চেষ্টা করছেন নুরুল। সর্বশেষ ৩ ওভারে ৩টি চার মেরেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১১ বলে করেছেন ১৫ রান। জয়ের জন্য ৭৮ বলে এখন ৪৩ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
উইকেট ছুড়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ
অন্য প্রান্তে নুরুল বেশ স্বচ্ছন্দেই ব্যাটিং করছিলেন। তবে মাহমুদউল্লাহও আক্রমণ করতে গেলেন। তাঁকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে লেগ সাইডে ওয়াইড করলেন পুরান, যেটি মিস করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। শাই হোপ স্টাম্প ভাঙার সময় ক্রিজে বেশ বাইরেই ছিলেন তিনি। ৬১ বলে ২৬ রান করেছেন স্টাম্পড হওয়ার আগে। জয় থেকে ৩২ রান দূরে থাকতে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আকিলের টানা ২ মেডেন
টানা ২ ওভার মেডেন করলেন আকিল হোসেন, তাঁর বাকি আছে ১ ওভার। গুড়াকেশ মোতির বোলিং শেষ, রোভম্যান পাওয়েল উঠে গেছেন ১.৫ ওভার করে। শেফার্ড, জোসেফেরও বাকি ১ ওভার করে।
বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪২ বলে ২৩ রান।
টানা ৩ মেডেনে বোলিং শেষ করলেন আকিল
প্রথম ৭ ওভারে ৪৫ রান। আকিল হোসেন বোলিং শেষ করলেন ওই ৪৫ রান দিয়েই। সর্বশেষ ৩ ওভারই মেডেন করেছেন তিনি। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫ রান।
২৪ বল, ১২ রান
২৪ বল, ১২ রান, বাকি ৪ উইকেট—জয়ের জন্য বাংলাদশের সমীকরণ এখন এমন। মোতি, আকিলের পর বোলিং শেষ জোসেফের। ১০ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
পুরানের ওভারে ৫, শেফার্ডের ওভারে ৪
পুরানের ষষ্ঠ ওভারে এসেছে ৫ রান। এরপর শেফার্ড দিয়েছেন ৪ রান। ১২ বলে বাংলাদেশের দরকার ৩ রান।
৪ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
১৪৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। তিন ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করল তামিম ইকবালের দল। ক্যারিবীয়দের এ নিয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয়বার ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
ম্যাচ রিপোর্ট
তারেক মাহমুদ, গায়ানা থেকে
বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় থেকেই প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ভুভুজেলা বেজেছে। সেটা বাজিয়েছেন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খেলা দেখতে আসা স্থানীয় দর্শকেরাই। তাইজুলের স্পিন–নৃত্যের সে আবহ সঙ্গীত ছিল পুরো ম্যাচ জুড়েই। আসলে এটাই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট। হার–জিত যাই হোক উৎসব থামবে না। আর ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেটি যেন উৎসর্গকৃত হয়ে থাকল বাংলাদেশের জন্য।
এক দিকে স্পিন সহায়ক উইকেট, অন্যদিকে গ্যালারির বাদ্য–বাজনা। প্রভিডেন্স নয়, বাংলাদেশ যেন খেলল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই!