৫ বল আগে বৃষ্টি না নামার ‘দুঃখ’ ইংল্যান্ডের, সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
ইশ, এই বৃষ্টি যদি আর কিছুক্ষণ আগে নামত! হ্যারি ব্রুক–আদিল রশিদরা এখন এমনটা ভেবে আক্ষেপ করতেই পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার এবারের ইংল্যান্ড সফরে ১–১ সমতা আসার পর তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলে ড্র হয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজও ছিল ২–২ সমতায়। ফলে ব্রিস্টলে আজকের পঞ্চম ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল অঘোষিত ফাইনাল। সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২০.৪ ওভারেই ১৬৫ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
এরপর সেই যে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো, তা একবারের জন্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে রূপ নিলেও পরে আর থামার নামগন্ধ নেই। ফলে যা হওয়ার তা–ই হলো। অস্ট্রেলিয়া ওই সময় ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৪৯ রানে এগিয়ে থাকায় তাদেরই জয়ী ঘোষণা করা হলো। এ জয়ে ৩–২ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল সফরকারীরা।
ওয়ানডে ম্যাচের ফল আসতে হলে দুই দলকেই কমপক্ষে ২০ ওভার করে ব্যাট করতে হয়—নিয়মটা কারও অজানা নয়। তার মানে, বৃষ্টি আর ৫ বল আগে নামলেই অস্ট্রেলিয়া ডিএলএস পদ্ধতিতে ঢের এগিয়ে থাকার পরও ম্যাচ পরিত্যক্ত হতো। সেটা হলে টি–টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সিরিজও ড্র হতো। কিন্তু আবহাওয়া বেরসিক হয়ে ওঠার আগে ম্যাচের ফল নির্ধারণের কাজটা করে দিয়েই গেছে!
এ নিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়ানরা; দুটিই ইংল্যান্ডের মাটিতে। তবে তিনটি পাঁচ অধিনায়কের নেতৃত্বে—২০২০ সালে অ্যারন ফিঞ্চ, ২০২২ সালে প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড এবং এবার মিচেল মার্শ ও স্টিভেন স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৪৯.২ ওভারে ৩০৯
(ডাকেট ১০৭, ব্রুক ৭২, সল্ট ৪৫; হেড ৪/২৮, হার্ডি ২/৩৮, ম্যাক্সওয়েল ২/৪৯, জাম্পা ২/৭৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ২০.৪ ওভারে ১৬৫/২
(শর্ট ৫৮, স্মিথ ৩৬*, হেড ৩১, ইংলিস ২৮*; কার্স ১/৩৬, পটস ১/৪৯)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৯ রানে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতিতে)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ৩–২ ব্যবধানে জয়ী।