বিপিএলে ‘দরজা’ খুলতে চান মোসাদ্দেক
সকালের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে উড়ে এসেছেন সিলেটে। এসেই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামসংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন। মোসাদ্দেক হোসেন এই বিপিএলে এখন ঢাকা ক্যাপিটালসের ক্রিকেটার।
গত মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক। তবে এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে কোনো দলই তাঁকে নেয়নি। মোসাদ্দেকের আশা ছিল, একটা না একটা দল পেয়ে যাবেন। সেই দল নায়ক শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস, যার কোচ খালেদ মাহমুদ।
শুরুতে দল না পেলেও মোসাদ্দেক যে আশাবাদী ছিলেন, সেটি বলেছেন আজ সিলেটে তাঁর প্রথম অনুশীলন শেষেও, ‘আশা ছিল, হয়তো একটা সুযোগ আসতে পারে। সেটা যখন আসছে, অবশ্যই ভালো লাগছে। একটা সুযোগ নতুন করে আবার ভালো খেলার। এখানে ভালো খেলতে পারলে অবশ্যই সামনে ভালো সুযোগ আসবে।’
কিন্তু মোসাদ্দেক যে দলে শেষ পর্যন্ত নাম লেখালেন, এবারে বিপিএলে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে। বিপিএল সিলেটে আসার আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া বিপিএলের প্রথম অংশে কোনো জয় না পাওয়া একমাত্র দল তারা।
তবে মোসাদ্দেক আশা দেখাচ্ছেন, একবার মোমেন্টাম পেয়ে গেলে ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন হবে না তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য, ‘দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে আমার মনে হয়। যদি আমি সুযোগ পাই, আমার ইচ্ছা আছে দলকে শতভাগ দেওয়ার।’
বিপিএলের গত আসরটা একদমই ভালো যায়নি মোসাদ্দেকের। ৯ ম্যাচে রান করেছিলেন মাত্র ৯১। তাঁর চোখে অবশ্য এতে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই, ‘একজন খেলোয়াড়ের একটা বছর বা মৌসুম খারাপ যেতেই পারে। ওটা নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। আমি চিন্তা করছি, এখানে যতটুকু ভালো খেলব, পরবর্তী দরজাগুলো খুলবে।’
টুর্নামেন্টের মাঝপথে মোসাদ্দেককে দলে নেওয়া নিয়ে ঢাকার কোচ মাহমুদ আজ বলেছেন, ‘আমাদের অফ স্পিনার ছিল না। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা এলে আমাদের বাঁহাতি স্পিনার বা পেসারদের ওপর নির্ভর করতে হয়। সে আসায় বৈচিত্র্য এলো বোলিংয়ে। টিম কম্বিনেশনের জন্যই এটা প্রয়োজন ছিল।’
একই কথা বলেছেন দলের পেসার আবু জায়েদও, ‘আমাদের একটা অফ স্পিনারের কমতি ছিল। টি-টোয়েন্টিতে অফ স্পিনার প্রয়োজন। আমার কাছে মনে হয় মোসাদ্দেক যদি তার স্পিন কাজে লাগাতে পারে, তাহলে দলের জন্য ভালো হবে।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগামীকাল রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে মোসাদ্দেকের দল ঢাকা ক্যাপিটালস।