পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হারাল বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে হারাল বাংলাদেশ নারী দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল। এর আগে চট্টগ্রামে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচটা অবশ্য ১০ উইকেটেই জেতার সুযোগ ছিল। রান তাড়ায় দুই ওপেনার ফারজানা ও মুর্শিদা উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৫ রান করেন। ওপেনিংয়ে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুকতারা ও শারমিন ১১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন।
ব্যক্তিগত ৬২ রানে ফারজানা আউট হওয়ায় ভাঙে রেকর্ড জুটি। ১১৩ বলে ৫টি বাউন্ডারি ছিল তাঁর ইনিংসে। এটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম অর্ধশতক। ফারজানার আউটের দুই ওভার পরেই আউট হন তাঁর সঙ্গী মুর্শিদাও। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০৬ বলে ৫৪ রান। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশত। পরের ওভারেই কোনো রান না করে রান আউট হন ফাহিমা খাতুন। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১৮) ও সোবহানা মোস্তারি (১৯) অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন। দুজন মিলে ৩৯ রান যোগ করে ম্যাচ শেষ করে আসেন।
এর আগে পাকিস্তানের হয়ে একাই লড়াই করেছেন সিদ্রা আমিন। তিনি একাই করেছেন ১৪৩ বলে ৮৪ রান। ৩টি বাউন্ডারি ছিল তাঁর ইনিংসে। পাকিস্তান ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সাদাফ শামসের ব্যাট থেকে। ১৪ রান করেন ওপেনার মুনিবা আলী। এ ছাড়া পাকিস্তান দলের কেউই দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। রাবেয়া খান নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিমা খাতুন, নিশিতা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১০ উইকেটে জিততে না পারার আক্ষেপ করেছেন। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে বলেছেন, ‘কিছুটা হতাশ। ওদের উচিত ছিল ম্যাচটা শেষ করে আসা। তবে সব মিলিয়ে সবার পারফরম্যান্সে খুশি।’ টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বোলারদের ভূমিকার কথাও বলেছেন নিগার, ‘আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি। উইকেট বরাবর যত বেশি বল করা যায়, সে চেষ্টা করেছি, যা কাজে দিয়েছে।’
পাকিস্তান দলের অধিনায়ক নিদা দার হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিং-ব্যর্থতার কথাই বলেছেন, ‘৩০-৪০ রান কম করেছি। করতে পারলে হয়তো ফল ভিন্ন হতে পারত।’ সিরিজ জুড়ে বাংলাদেশের দাপটের বিষয়টিও উঠে এসেছে নিদার কথায়, ‘এটাও ঠিক যে এই সিরিজটা আমাদের ছিল না। আমাদের ভুল থেকে শিখতে হবে, সামনে তাকাতে হবে।’