২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

লাবুশেন, স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে হেডের ১ রানের আক্ষেপ

লাবুশেন, স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরিছবি: এএফপি

পার্থ টেস্টে প্রথম দিন শেষেই ১৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মারনাস লাবুশেন। ৫৯ রানে অন্য প্রান্তে ছিলেন স্টিভ স্মিথ। আজ দ্বিতীয় দিনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন লাবুশেন। ২০৪ রানে লাবুশেন আউট হওয়ার পরই মধ্যাহ্নভোজে যায় অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্মিথ তখন ১১৪ রানে অপরাজিত।

পরে ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন তিনিও। তাতে অবদান আছে রোস্টন চেজ, জেইডেন সিলস ও কেমার রোচদের বাজে বোলিংয়েরও। স্মিথ-লাবুশেনের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে ১ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন ট্রাভিস হেড।

৪ উইকেটে ৫৯৮ রানের পাহাড়ে উঠে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এই পাহাড় টপকাতে নেমে ২৫ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৭৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭৯ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ওপেনার ক্রেগ ব্রাফেট। ৭৩ বলে ৪৭ রান তুলে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন অভিষিক্ত তেজনারায়ণ চন্দরপল।

দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির একটু আগে সেঞ্চুরিসংখ্যায় স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে ধরে ফেলেন স্মিথ। দুজনেরই সমান ২৯টি সেঞ্চুরি হয়ে গেল। স্মিথের লাগল ১৫৫ ইনিংস। তাঁর চেয়ে কম ইনিংসে ২৯ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন শুধু ব্র্যাডম্যান (৭৯) ও শচীন টেন্ডুলকার (১৪৮)। পরে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিও তুলে নেন স্মিথ। ৩১১ বলে স্মিথ ২০০ রানে অপরাজিত থাকতে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন
এক রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি হেড
ছবি: এএফপি

তৃতীয় উইকেটে ৩৯৮ বলে ২৫১ রানের জুটি গড়েন স্মিথ–লাবুশেন। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার এক ইনিংসে দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো দেখা গেল। সর্বশেষ ১০ বছর আগে ২০১২ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে এক ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্ক।

তবে দুঃখ থাকবে ট্রাভিস হেডের। বেচারা ডাবল সেঞ্চুরি না পান, সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। ১৫২.৪ ওভারে ব্রাফেটের বলে হেড বোল্ড হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯৯ রানে আউট হয়ে মনের মধ্যে অনন্ত এক আক্ষেপের জন্ম দিলেন হেড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৬৫ রানে ২ উইকেট নেন ব্রাফেট।

আরও পড়ুন

স্মিথ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ঘরের মাঠে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলকের দেখাও পান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্মিথের (৬৪.৫৩) চেয়ে ভালো ব্যাটিং গড় আছে শুধু ব্র্যাডম্যান (৯৮.২২) ও গ্যারি সোবার্সের (৬৬.৮)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড়ও ঈর্ষণীয়—২৩২.৩৩!

ক্যারিবীয় কিংবদন্তি শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ণ মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডদের অবশ্য ভালোভাবেই সামলেছেন পরে। অস্ট্রেলিয়ার এই দুই পেসারের বিপক্ষে শুরুতে ভুগলেও পরে সামলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

শক্ত মানসিকতা ও টেকনিকে বাবার সঙ্গে ভালোই মিল আছে তেজনারায়ণের। আর ব্রাফেট তো এমনিতেই দেখেশুনে খেলতে পছন্দ করেন। দুজনের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় দিনটা অন্তত মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে শেষ করতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।