‘আমাদের সামর্থ্য আছে, এর চেয়ে ভালো করতে পারি’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বড় হারের পেছনে মাঝের ওভারগুলোতে এলোমেলো বোলিংয়েরই বেশি দায় দেখছে বাংলাদেশ দল। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অস্ট্রেলিয়া তোলে ২১৩ রান। তবে নিজেদের সামর্থ্য এর চেয়েও বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ নারী দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তার। বোলিংয়ে সেই ব্যর্থতার পর ব্যাটিং ধসে ৯৫ রানেই গুটিয়ে ম্যাচটি স্বাগতিকেরা হেরেছে ১১৮ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ চাপে রাখলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার শেষ দিকের ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টো নিজেরাই চাপে পড়ে গেছে ম্যাচের মাঝপথেই।
দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সহ-অধিনায়ক নাহিদা হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বললেন, ‘(দুই দলের) পার্থক্য যদি বলি—বোলিং একটু খারাপ হয়েছে। আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি। আর ব্যাটিংয়ে ২-৩টা রানআউট হওয়াতে পিছিয়ে গিয়েছিলাম।’
এরপর বললেন, ‘মাঝে ওরা থিতু হয়ে গিয়েছিল, জুটি হয়ে গিয়েছিল। সেটা আগে ভাঙতে পারলে চিত্রটা আলাদা হতো।’
ফিল্ডিংয়ের কথা তখনো আলাদা করে বলেননি নাহিদা। শুধু ৩টি ক্যাচ হাতছাড়া করা নয়, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও বেশ হতশ্রী ছিল বাংলাদেশ। তবে এ দিকটা ঠিক বড় করে দেখতে চান না নাহিদা, ‘ক্যাচ তো মিস হতেই পারে। মিস হওয়ার পরও যাদের ক্যাচ পড়েছে, তারা বেশিক্ষণ খেলতে পারেনি।’
সেটি অবশ্য ঠিক। ৮ রানের মধ্যে দুবার বেঁচে যাওয়া অ্যালিসা হিলি শেষ পর্যন্ত করেন ২৪ রান, আর ১৬ রানে বেঁচে যাওয়া অ্যাশলেই গার্ডনার আউট হন ৩২ রানে। যে ম্যাচে ১১৮ রানে হেরেছে দল, তাতে এমন কিছুকে তেমন বড় করে না দেখলেও হয়তো ক্ষতি নেই।
কিন্তু ফিল্ডিংয়ে অমন কিছু যে দলের চাপে পড়ার লক্ষণ, সেটিও অস্বীকার করার উপায় নেই। ২১৪ রানের মতো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ে দ্রুত ২ উইকেট হারানোর চাপ একটু সামাল দেওয়া গেলেও ৩টি রানআউটের পর ধসটা আটকানো যায়নি।
তবে এমন উইকেটে যে একটু সময় নিতে হবে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ম্যাচসেরা অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার অ্যালানা কিং। শেষ দিকে ৩১ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর কিং ১০ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলের মনোভাব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু জুটি গড়তে চেয়েছি। আমাদের বার্তা এসেছে, যত বেশি থাকতে পারব, তত ব্যাটিংটা সহজ হয়ে যাবে। যখন অনেক সহায়তা আছে পিচে। আমার মনে হয়ে অ্যানাবেল (সাদারল্যান্ড) দারুণভাবে দেখিয়েছে এটি। কঠিন সময়ে নেমেছিল, প্রথম ৩০ বলের মতো দাঁত কামড়ে পড়ে ছিল। এরপর আপনি হাত খুলে খেলতে দেখেছেন। এমন পিচে আপনাকে নেমে শুরুতে কঠিন কাজগুলো করতে হবে, এরপর আপনি শেষে পুরস্কার পাবেন।’
বাংলাদেশ ব্যাটাররা যে তা করতে পারেননি, সেটি জানা কথাই। ম্যাচটি তো আসলে প্রথম ইনিংসেই হেরে বসেছে স্বাগতিকেরা।