পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে এবি ও কেপিকে ধুয়ে দিলেন গম্ভীর
ট্রলের শিকার হচ্ছেন, সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার শিকার হচ্ছেন, ব্যাটে-বলে সেরাটা নেই, দলও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে—হার্দিক পান্ডিয়ার সময়টা এমনই যাচ্ছে। এসবই শুরু হয় রোহিত শর্মাকে সরিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়ার নাম ঘোষণার পর।
এ সময় খুব বেশি মানুষকে পাশে পাননি পান্ডিয়া। তবে কলকাতার মেন্টর গৌতম গম্ভীর পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। গম্ভীর পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন পান্ডিয়ার সমালোচনা করা এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কেভিন পিটারসেনকে পাল্টা আক্রমণ করে।
এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচ খেলে মুম্বাইয়ের জয় মাত্র ৪টিতে। প্রথম দল হিসেবে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে তাঁর দল। তবে এবার ব্যর্থ হলেও পান্ডিয়া ২০২২ সালে নবাগত দল গুজরাট টাইটানসে শিরোপা জেতান। ২০২৩ সালে তোলেন ফাইনালে। অধিনায়ক হিসেবে এই অর্জন কম নয়।
গম্ভীর সেই প্রসঙ্গ তুলে স্পোর্টসক্রীড়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্গে আইপিএলে কোনো ট্রফি না জেতা ডি ভিলিয়ার্সের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন তারা অধিনায়ক ছিল, তাদের পারফরম্যান্স কী ছিল? আমার মনে হয় না কেভিন পিটারসেন ও এবি ডি ভিলিয়ার্স অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারে কোনো কিছু করতে পেরেছে। যদি রেকর্ড দেখেন, মনে হয় তারা সবার চেয়ে খারাপ। আমার মনে হয় না এবি ডি ভিলিয়ার্স নিজের কিছু রান করা ছাড়া আইপিএলে কিছু অর্জন করেছে। দলের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে সে কিছুই অর্জন করেনি।’
তিনি যোগ করে বলেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়া এখনো আইপিএলজয়ী অধিনায়ক। আপনার শুধু কমলার সঙ্গে কমলার তুলনাই করা উচিত। আপেলের সঙ্গে কমলার নয়।’
এই ভিডিও এক্সে শেয়ার করে পিটারসেন লিখেছেন, ‘সে ভুল বলেনি। আমি খুবই বাজে অধিনায়ক ছিলাম।’ পিটারসেন অবশ্য বেশি দিন নেতৃত্ব দেননি। ৩টি টেস্টে ও ১২টি ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সেই তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর অধীনে প্রোটিয়ারা খেলেছে ১০৩ ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ১৮ ম্যাচ ও ৩টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবি।
ডি ভিলিয়ার্স নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পান্ডিয়াকে ‘সহজাত অধিনায়ক নয়’ বলেছিলেন। পরে এ কথার ব্যাখ্যাও দেন ডি ভিলিয়ার্স। কথার অপব্যাখ্যা হচ্ছে দাবি করে আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘কেন আমি বলেছি সব সময় (পান্ডিয়ার অধিনায়কত্ব) আসল নয়, কারণ আমি নিজেও এভাবে খেলেছি। আমি কখনোই মৃদুভাষী ছিলাম না, যখন বাড়িতে থাকতাম, তখনই আসল ভিলিয়ার্সকে পাওয়া যেত। মাঠে যেটা দেখা যেত, সেটা অভিনয়। মাঝেমধ্যে মাঠে এমন কিছু করতে হয়, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাকে সমীহ করতে বাধ্য হয়। যেটা হার্দিক পান্ডিয়া করে।’
বিশ্বকাপে পান্ডিয়াই থাকছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক।