টানা জয়ে হুদা, টানা হারে হাবিবুল
অবশেষে হারের স্বাদ পেলেন দীপক হুদা!
এশিয়া কাপের দলে থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পান হুদা। দুবাইয়ের ম্যাচটিতে কৌশলগত কারণে তাঁকে দলে আনা হলেও ঠিক কাজে আসেনি তা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ভারত হেরেছে ৫ উইকেটে। ক্যারিয়ারের ১৮তম ম্যাচে এসে হুদাও পেয়েছেন প্রথম হারের স্বাদ।
২০২২ সালে আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক অফ স্পিনিং এ অলরাউন্ডারের। ওই ম্যাচ ভারত জেতে ৬ উইকেটে। এর পর থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটির আগে হুদা খেলেছেন এমন ১৭টি ম্যাচই জিতেছে ভারত—৮টি ওয়ানডে, ৯টি টি-টোয়েন্টিতে।
ক্রিকইনফোর নিয়মিত বিভাগ ‘আস্ক স্টিভেন’-এ স্টিভেন লিঞ্চ লিখেছেন, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হুদার প্রথম ১৭ ম্যাচ জয় আদতে রেকর্ড। রোমানিয়ার সাতভিক নাদিগোতলার টানা ১৫ জয়ে শুরুর রেকর্ড আগেই ভেঙেছিলেন হুদা। নাদিগোতলার সতীর্থ শান্তনু ভাশিস্ত ক্যারিয়ার শুরু করেন টানা ১৩ জয়ে। দুজনের ক্ষেত্রেই সব কটি ম্যাচ ছিল টি-টোয়েন্টি।
১৩টি জয়ের অংশে থেকে এ তালিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলিস কিং। মিলারের ম্যাচগুলো ছিল সীমিত ওভারের—ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ১৯৭৬ সালে অভিষেক হওয়া কিং খেলেছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে।
হুদা, মিলারদের রেকর্ড যেখানে টানা জয়ের, সেখানে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ না হেরে ক্যারিয়ার শুরু করার রেকর্ডটি কিথ মিলারের। ১৯৪৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্ট দিয়ে অভিষেক হওয়ার পর থেকে টানা ২৫টি টেস্টে হারের স্বাদ পাননি এ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। অবশ্য ওই সময়ে ৫টি টেস্ট ড্র করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মিলার প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছিলেন ১৯৫১ সালে, মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
তালিকায় মিলারের ঠিক পরই আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রজার হার্পার, ক্যারিয়ারের প্রথম ২৪টি ম্যাচে হারের স্বাদ পাননি তিনি। মিলারের অস্ট্রেলীয় সতীর্থ রে লিন্ডওয়াল ও আর্থার মরিস ক্যারিয়ার শুরু করেন ২৩টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে।
অবশ্য সবার ‘ভাগ্য’ তো হুদা-মিলারদের মতো নয়। তাঁদের ঠিক বিপরীত মেরুতে আছেন হাবিবুল বাশার, ব্রেন্ডন টেলররা।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক হাবিবুলের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, এশিয়া কাপে। এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন তিনি। তবে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০০৪ সাল পর্যন্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ, ৬১ রানের ইনিংসে অবদান রেখেছিলেন হাবিবুলও। ওই সময়ের মধ্যে ১৭টি ওয়ানডে ও ৫টি টেস্ট খেলেছিলেন হাবিবুল, বাংলাদেশ হেরেছিল ২২ ম্যাচের সব কটিতেই।
টানা হার দিয়ে ক্যারিয়ার শুরুর তালিকায় হাবিবুলের পরে আছেন তিনজন, তাঁদের মধ্যে দুজনই বাংলাদেশি। হাবিবুলের মতোই এখনকার আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন হেরেছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ২০ ম্যাচ, সংখ্যাটা একই ছিল পেসার শফিউল ইসলামের ক্ষেত্রেও। জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও শুরু হয়েছিল টানা ২০ ম্যাচ হেরে।