বাবর আজমরা গতকাল মাঠে নেমেছিলেন একবার, প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস। তবে পাকিস্তান সমর্থকদের ম্যাচ ছিল আসলে ‘তিন’টি। পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস ছাড়াও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে আর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও তাকিয়েছিল পাকিস্তানিরা। সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে গ্রুপ ২-এর সব ম্যাচই যে এখন পাকিস্তানের জন্য দরকারি!
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। তার আগে বাংলাদেশ ৩ রানে জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুটি ফলই ছিল পাকিস্তানের অনুকূলে। পার্থে দিনের শেষ ম্যাচে দরকার ছিল ভারতের জয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন রোহিত শর্মারা।
ভারতের হারে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকা এখন মহা সংশয়ে। এখনো দুটি করে ম্যাচ বাকি গ্রুপের সব দলের। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে নিরাপদ অবস্থানে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দুটি ম্যাচের একটি জিতলেও সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।
কিন্তু পাকিস্তানকে শুধু শেষ দুটি ম্যাচ জিতলেই হবে না, অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও জিম্বাবুয়ে কেউই যেন তাদের শেষ দুটি ম্যাচ না জিততে পারে; বাংলাদেশ ও ভারত একটি ম্যাচ জিতলেও যেন রান রেট কম থাকে, এমন সব সমীকরণ পাকিস্তানের সামনে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে দুটি ম্যাচ বাকি আছে, সেখানেও জিততে হবে বড় ব্যবধানে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের হার পাকিস্তানকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছে।
পার্থে কোহলি-রোহিতরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সমীকরণটা জানত পাকিস্তান। যে কারণে ভারত ম্যাচে গভীর দৃষ্টি ছিল পাকিস্তানের। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারত ৪১ রানেই হারিয়ে ফেলে কোহলি-রোহিতসহ ৪ ব্যাটসম্যানকে।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার তখন টুইটার লাইভে এসে হা-হুতাশ শুরু করেন। লাইভে তিনি বলেছেন, ‘আমি বলেছিলাম পাকিস্তানের জন্য ভারতের জেতা উচিত। তারা তো পাকিস্তানকে শেষ করে দিচ্ছে। চার ব্যাটার আউট হয়ে গেল!’
বিশেষ করে, কোহলি আর রোহিতের অল্প রানে ফেরায় বেশি উদ্বিগ্ন মনে হয়েছিল শোয়েবকে। কেন তিনি সেই সময় উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন, সেটা ম্যাচ শেষেই স্পষ্ট হয়েছে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেননি কোহলিরা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলেতে পেরেছে মাত্র ১৩৩ রান। লক্ষ্যটা দক্ষিণ আফ্রিকা পেরিয়ে গেছে ২ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে।