হার দিয়ে ২৬তম জাতীয় লিগ শেষ করল চ্যাম্পিয়ন সিলেট। এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি শেষ রাউন্ডে হেরেছে রাজশাহীর কাছে। শেষ রাউন্ডে জিতেছে বরিশালও। আর নাটকীয় ড্র দেখেছে খুলনা-রংপুর ম্যাচ।
১৬ বলের দিন
চট্টগ্রামে সিলেটকে হারাতে শেষ দিনে ২ উইকেট দরকার ছিল রাজশাহীর। সেই প্রয়োজন ১৬ বলের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলে ফরহাদ রেজাকে বিদায়ী উপহার দেয় দলটি। ৮ উইকেটে ১৪২ রান নিয়ে দিন শুরু করা সিলেট অলআউট আর ৪ রান যোগ করেই। রাজশাহী জিতেছে ৫৪ রানে। ম্যাচ শেষে সিলেটকে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
বরিশালের প্রথম জয়, রুয়েলের ৬ উইকেট
শেষ রাউন্ডে এসেই প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বরিশাল। বগুড়ায় ঢাকা বিভাগকে ১২২ রানে হারিয়েছে দলটি। ৫ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ২৪১ রানে। ম্যাচ জিততে ২২১ রানের লক্ষ্য পায় ঢাকা। তবে দলটি ৩৮.২ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ৯৮ রানে। বরিশালে পেসার রুয়েল মিয়া ২৮ রানে নেন ৬ উইকেট।
নাটক শেষে ড্র খুলনা-রংপুর ম্যাচ
২৫৯ রানের লক্ষ্যে রংপুর ৫৮ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার তানভীর হায়দার সেখান থেকে দলকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। আলোকস্বল্পতায় যখন খুলনায় খুলনা-রংপুর ম্যাচটি শেষ হলো জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে আর তানভীর অপরাজিত ৭৮ রানে।
ষষ্ঠ উইকেটে খালিদ হাসানকে (২৭) ৪৪ রান যোগ করা তানভীর সপ্তম উইকেটে নবীন ইসলামকে (৩২) নিয়ে যোগ করেন আরও ৫৯ রান। দলকে ১৬১ রানে রেখে নবীন ফেরার পর আরিফুল হককে নিয়ে ৮১ রান যোগ করেন তানভীর। আরিফুল অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান রানা এবার পেয়েছেন ৪ উইকেট। ৪০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার এই প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন মেহেদী রানা। তাঁর দল দিনটা শুরু করেছিল বিনা উইকেটে ৬ রান নিয়ে। দলটি ৬ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে ছেড়ে দেয় দ্বিতীয় ইনিংস। এরপর শেষের সেই নাটক।