স্বাগতম!
হারারেতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এর আগে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজে আজ প্রথম ম্যাচ জিতে কি এগিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ?
নিয়াউচির অভিষেক
অভিষেক হচ্ছে ভিক্টর নিয়াউচির।
একাদশ
রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), লুক জঙ্গুয়ে, তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো, ওয়েসলি মাধেভেরে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, টারিসাই মুসাকান্দা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগাভারা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা
টস!
টস জিতে আগে ফিল্ডিং করবে জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে।
দলে ফিরলেন এনামুল
প্রথম ওয়ানডেতে নাজমুল হোসেন শান্তকে বাইরে রেখে একাদশ গঠন করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় এনামুল হককে রাখা হয়েছে একাদশে। ২০১৯ সালের পর বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলেন এনামুল। চোট পাওয়া নুরুল হাসানের জায়গায় ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম , মোস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন।
মুখোমুখি লড়াইয়ে তাঁদের পরিসংখ্যান
ব্যাটিং-বোলিং, দুই বিভাগেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আধিপত্য। তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ও সেরা বোলিং জিম্বাবুইয়ানদের।
মেডেনে শুরু নিয়াউচির
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৪৯তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে খেলছেন ভিক্টর নিয়াউচি। দ্বিতীয় ওভার করতে এসেছিলেন এ পেসার। লিটন দাস তাঁর ওভারে রান নিতে পারেননি কোনো। এর আগে প্রথম ওভারে এনগারাভার শেষ বলে ফ্লিক করে একটি চার মেরেছেন তামিম ইকবাল।
সতর্ক শুরু তামিম-লিটনের
দুই পেসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন দুই ওপেনারকে। হারারের উইকেটে হালকা মুভমেন্ট আছে, বিশেষ করে বাঁহাতি পেসার এনগারাভা সেটি কাজে লাগিয়ে সমস্যায় ফেলছেন তামিমকে।
প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দেওয়া নিয়াউচি নিজের তৃতীয় ওভারের শুরুতেই অবশ্য করেছেন ওয়াইড, সেটি আবার হয়েছে চার। প্রথম ১৮ বলে লিটন করেছেন ৭ রান। তামিম এখনো বেশ সতর্ক—২৪ বলে তাঁর রান ১৭।
৭ ওভারে ২৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৫০
নিয়াউচি মানতেই পারছিলেন না। হতাশাও প্রকাশ্যই ছিল তাঁর। লিটন দাস অবশ্য হাসছিলেন। ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বলের পর দেখা গেল এমন দৃশ্য। নিয়াউচির লাইন ধরে রাখা বলটিতে ব্যাট বাড়িয়েছিলেন লিটন, তবে ঠিক সংযোগ ঘটাতে পারেননি। নিয়াউচিদের কট বিহাইন্ডের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে। নিয়াউচির হতাশা সে কারণেই।
টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সিরিজেও নেই রিভিউ।
ঠিক পরের ওভারের প্রথম বলেই ভালো একটি কাভার ড্রাইভে এনগারাভাকে চার মেরেছেন তামিম। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লান্স করে নিয়াউচিকে চার মেরেছেন তামিম। নিয়াউচির বাইরের বল তাড়া করতে গিয়েছিলেন এরপর তামিম, যদিও বিপদ ঘটেনি। পরের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করে মেরেছেন ইনিংসে নিজের পঞ্চম চার। ওই চারেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫১/০।
তামিম-লিটনের সপ্তম
আরেকটি ফিফটি জুটি হলো তামিম ও লিটনের। ওয়ানডে ওপেনিংয়ে দুজনের এটি সপ্তম ৫০ রানের জুটি। ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ ওপেনারদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি ৫০ রানের জুটি আছে দুটি। দুটিতেই আছেন তামিম, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের সঙ্গে তাঁর ৫০ রানের জুটির সংখ্যা ১১টি করে।
ব্রেকথ্রুর দেখা এখনো পায়নি জিম্বাবুয়ে। বোলিংয়ে দুই প্রান্তেই এসেছে পরিবর্তন। লুক জঙ্গুয়েরে সঙ্গে এসেছেন স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরে। দুটি বলেরই বয়স এখন ৭ ওভার করে। তবে পাওয়ারপ্লের পরের ৪ ওভারে এসেছে ১৩ রান। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৪ রান।
চোট পেয়ে উঠে গেলেন বার্ল
জিম্বাবুয়ের পঞ্চম বোলার হিসেবে এসেছেন লেগ স্পিনার রায়ান বার্ল। প্রথম ওভারে তাঁর লং হপে চার মেরেছেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল করার পরই পাঁজরে হাত দিয়ে বসে পড়েন বার্ল, চোখেমুখে অস্বস্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। ফিজিওর সঙ্গে এরপর উঠে গেছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক।
বার্লের অসম্পূর্ণ ওভার করতে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার মিল্টন শুম্বা।
তামিমের ৫৪তম ৫০
৪৮ রানে দাঁড়িয়ে ৯টি ডট বল খেলেছেন তামিম। ২২তম ওভারে প্রথমবারের মতো আসা সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে সে খরা কাটিয়েছেন তিনি।
পরের ওভারে মিল্টন শুম্বাকে স্কুপ করে ডাবলস নিয়ে ক্যারিয়ারের ৫৪তম অর্ধশতক পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাইলফলকে যেতে তাঁর লাগল ৭৯ বল।
পরের ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
তামিম-লিটনের চতুর্থ
২৪তম ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখনো অবিচ্ছিন্ন তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি।
ওয়ানডেতে এ নিয়ে চতুর্থবার ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি গড়লেন এ দুজন। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি শতরানের জুটিতে তামিম-সৌম্য সরকারের জুটিকে ছুঁয়ে ফেললেন তাঁরা। ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শতরানের জুটি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের (৬)।
তামিমের ৮ হাজার
আরেকটি মাইলফলকে প্রথম বাংলাদেশি হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান পূর্ণ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এ কীর্তি গড়া ৩৩তম ব্যাটসম্যান তিনি। ওপেনার হিসেবে নবম।
ফিরলেন তামিম
ফিফটি হলো। ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান হলো। এরপর সিকান্দার রাজার ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফিরে গেলেন তামিম। শর্ট লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ধরা পড়েছেন ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে।
৮৮ বলে ৬২ রান করে ফিরেছেন তামিম, বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে ১১৯ রানে।
লিটনের ৫০
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৩০তম ওভার শুরুর আগে লিটনের রান ছিল ৭৪ বলে ৪৯। সে ওভার শেষে লিটনের রান ৭৯ বলে ৬২। ৪ বলের মধ্যে লিটন মেরেছেন ৩টি চার—মিডউইকেট দিয়ে দুটি, পয়েন্ট দিয়ে একটি। লিটন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৭৫ বলে। গতি বেড়েছে এরপরই, পরের ওভারে এনগারাভাকে পুল করে মেরেছেন আরেকটি চার। ক্যারিয়ারে এর আগে ৬টি ফিফটির সঙ্গে লিটনের আছে ৫টি শতক। আজ পেয়ে যাবেন ষষ্ঠ শতকটি?
শর্ট বাউন্ডারি যখন ‘অভিশাপ’
মোহাম্মদ জুবাইর, হারারে থেকে
সিকান্দার রাজার বলটি ঘুরিয়ে খেলতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন তামিম। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের স্কয়ারে শর্ট বাউন্ডারি তাক করতে গিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের একদম কোণার উইকেটে খেলা হচ্ছে আজ। যে কারনে মাঠের যে দিকটাকে স্থানীয়টা ‘টিক্সার’ বলে থাকে, সেদিকটায় স্কয়ারে বাউন্ডারি মাত্র ৬৬ মিটার দীর্ঘ। উল্টো দিকের নাম এমবাঙ্কম্যান্ট। সেদিকের বাউন্ডারি প্রায় ৯০ মিটার।
তামিম ও লিটন শুরু থেকেই শর্ট বাউন্ডারি তাক করে খেলছিলেন। সফল হয়েছেন, তবে তামিমকে ফিরতেও হয়েছে সে কারণেই।
ছুটতে ছুটতে ‘থমকে’ গেলেন লিটন
৭৫ বলে অর্ধশতক ছুঁয়েছিলেন। পরের ১৪ বলে লিটন করেছেন ৩১ রান। সর্বশেষ নিয়াউচির বলে ‘ক্ল্যাসিক’ লিটন শটে লং অফ দিয়ে মেরেছেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। ছক্কার পর লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে আরেকটি চার।
পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পরই হ্যামস্ট্রিং চেপে ধরে শুয়ে পড়েছেন লিটন। ৩৩.১ ওভারে ১ উইকেটে ১৭১ রান বাংলাদেশ, ইনিংসে দ্বিতীয় পানি পানের বিরতি ডেকেছেন আম্পায়াররা। লিটনের সঙ্গী তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল হক অপরাজিত আছেন ২২ বলে ১৭ রান করে। দুজনের জুটি পেরিয়েছে ৫০।
স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন লিটন
সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ছুটছিলেন, ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই ব্যথা অনুভব করেছেন লিটন দাস। স্ট্রেচারে করে এরপর মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ ওপেনারকে। ফিফটির পর ছুটছিলেন, তবে থামতে হলো আপাতত। আপাতত ৮৯ বলে ৮১ রান করে উঠে গেলেন তিনি।
এর আগে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল।
শর্ট বাউন্ডারিতে এনামুলের ছক্কা
আগের বলে ইনসাইড-এজে চার পেয়েছিলেন। তবে পরের বলে নিয়াউচিকে যে শট খেললেন এনামুল, তাতে পুরো নিয়ন্ত্রণই ছিল। শর্ট লেংথের বল আগেভাগেই পড়ে ফেলে মিডউইকেট দিয়ে ছয় মেরেছেন এনামুল। তিনিও ৬৬ মিটারের শর্ট বাউন্ডারির সুবিধা আদায় করেছেন ভালোভাবেই। পরের ভয়ারে রাজাকে ড্রাইভ করে আরেকটি চার মেরেছেন এনামুল।
এ ম্যাচে আর ব্যাটিং করা হবে না লিটনের
লিটনের চোট হ্যামস্ট্রিংয়েই। হারারে থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, এ ম্যাচে আর ব্যাটিং করতে নামা হবে না লিটনের। একটু পর স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে বাংলাদেশ ওপেনারকে।
৪০ ওভারে ২১৩/১
১০ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ২১৩ রান, ওভারপ্রতি এখন পর্যন্ত উঠেছে ৫.৩৩ করে রান। অর্ধশতকের পথে এগোচ্ছেন এনামুল, ভালো শুরু পেয়েছেন মুশফিকও।
আগের ওভারে রাজার বলে এনামুলের বিপক্ষে জোরাল আবেদন হয়েছিল এলবিডব্লুর। তবে তাতেও সাড়া দেননি আম্পায়ার।
ফিরেই অর্ধশতক এনামুলের
প্রথম খেলানো হয়েছিল টেস্ট। এরপর টি-টোয়েন্টি। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যে সংস্করণে রেকর্ডগড়া মৌসুম কাটিয়ে এসেছেন এনামুল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সুযোগ পাননি সেই ৫০ ওভারের ম্যাচেই। আজ হারারেতে পেলেন। তিন বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে সে সুযোগ কাজেও লাগালেন দারুণভাবে।
মিল্টন শুম্বাকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে দারুণ শটে ছয় মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন এ ডানহাতি। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পেতে এনামুলের লেগেছে ৪৮ বল।
জীবন পেলেন এনামুল, ২৫০ পেরোল বাংলাদেশ
৪৪তম ওভারে ২৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ২০০ থেকে ২৫০—এই ৫০ রান করতে বাংলাদেশের লেগেছে ৩৭ বল।
এনগারাভার করা ৪৫তম ওভারের প্রথম ২ বলে মুশফিক মেরেছেন দুটি চার। এরপর জীবন পেয়েছেন এনামুল। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন। ডিপ পয়েন্টে একেবারে হাতে গিয়ে পড়েছিল মাধেভেরের। সেটিই ফেলে দিয়েছেন তিনি। ফিল্ডিংয়ে আজ বেশ পিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে।
সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলে ফিরলেন এনামুল
এ ওভারে চাপ তৈরি করছিলেন নিয়াউচি। প্রথম ৪ বলে দিয়েছিলেন ৩ রান। এরপর স্লটে পেয়ে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি এনামুল। ৬২ বলে ৭৩ রান করে ফিরলেন এনামুল। তিনি ব্যাটিং করেছেন ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে। ক্যারিয়ারে ৫০ পেরিয়েছেন, এমন ইনিংসগুলোতে এটিই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। এর আগে কখনোই ৫০-পেরোনো ইনিংসে ১০০ বা এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেননি তিনি। সর্বোচ্চ ছিল ৮২.৭৫, ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৫ বল খেলে করেছিলেন ১২০ রান।
চার ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩০৩
শেষ ৩ ওভারে উঠেছে ২২ রান। শুরুর মতো শেষটাও জিম্বাবুইয়ান বোলাররা একটু আঁটসাঁটই করেছেন। তবে বাংলাদেশ ঠিকই পেরিয়ে গেছে ৩০০ রান। তামিম ইকবাল, লিটন দাস, এনামুল হকের পর অর্ধশতক পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরের ওয়ানডের পর এই প্রথম বার বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পেলেন।
৪৯ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি, মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও। ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সপ্তম বারের মতো ৩০০ পেরোল বাংলাদেশ। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ২৫ বলে উঠেছে ৩৬ রান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন সতর্ক। তবে উইকেট হারাননি তাঁরা। দুজনের ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় শক্ত ভিত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৮ হাজার রান করার পর তামিম ফিরলেও এনামুলকে নিয়ে লিটন যোগ করেন মাত্র ৪৫ বলে ৫২ রান।
শুরুতে তুলনামূলক ধীরগতির ছিলেন লিটনই। তবে ফিফটির পরপরই গতি বাড়ান, ৫০ পেরোনোর পর মাত্র ১৪ বলে করেন ৩১ রান। শতকের পথে এগোতে থাকা লিটনকে উঠে যেতে হয় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। এ ম্যাচে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার, তাঁর ভবিষ্যত জানা যাবে স্ক্যানের পর।
লিটনকে ওই সময়ে হারালেও বাংলাদেশের সমস্যা হয়নি খুব একটা। তিন বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক ও মুশফিকুর রহিম যোগ করেন মাত্র ৭৬ বলে ৯৬ রান। এনামুল পুরো ইনিংসই খেলেন প্রায় একই গতিতে, শেষ পর্যন্ত ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন তিনি।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেটি মাঠের একেবারে কোণায়। ফলে একদিকে স্কয়ারের বাউন্ডারি বেশ ছোট। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা সেটি কাজে লাগিয়েছেন, আবার তামিমকে ফিরতেও হয়েছে ওদিকে খেলতে গিয়েই।
লিটনের মতো চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লও, ১.১ ওভার বোলিং করেই। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের সঙ্গে বার্লের চোট ও পিচ্ছিল ফিল্ডিং ভুগিয়েছে স্বাগতিকদের।
২ ওভারে ২ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের
প্রথম ওভারেই আঘাত করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়েছেন রেজিস চাকাভা। পরের ওভারে আঘাত করেছেন শরীফুল ইসলাম। তাঁকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তারিসাই মুসাকান্দা। ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মাঠে নেই লিটন ও মুশফিক
ব্যাটিংয়ের সময়ই উঠে গিয়েছিলেন লিটন দাস, আর নামেননি তিনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্ক্যানের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ডিংয়ে নামেননি তিনি। হারারে থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, মাঠে নামেননি মুশফিকুর রহিমও। এ দুজনের বদলে ফিল্ডিং করছেন নাজমুল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। উইকেটকিপিং করছেন এনামুল হক।
হারারে=ওয়েলিংটন+মেলবোর্ন
মাঠের যে দিকটায় ছোট বাউন্ডারি, স্থানীয় ব্যক্তিরা সেই দিকটাকে ‘টিক্সার’ বলে থাকেন। আজ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সেদিকটার বাউন্ডারি মাত্র ৬৬ মিটার দীর্ঘ। ব্যাটসম্যানদের কাট শটগুলো দ্রুতগতিতে বাউন্ডারিতে যেতে দেখলে মনে হবে না আপনি হারারেতে আছেন। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন, ক্রাইস্টচার্চের ছোট বাউন্ডারির কথা মনে পড়ে যাবে তখন।
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে
তিন পেসার মিলে ৯ ওভার করার পর প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ অফ স্পিনারের প্রথম ওভারে এসেছে ২ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে (১০ ওভার) জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৪৭ রান। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল ৫১ রান। রানের সংখ্যায় খুব বড় পার্থক্য নয়, তবে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ২৬তম ওভারে গিয়ে। জিম্বাবুয়ে সেখানে ২ উইকেট হারিয়েছে ২ ওভারের মধ্যেই।
হাতে ব্যথা পেয়েছেন মুশফিক
লিটন দাসের চোট হ্যামস্ট্রিংয়ে। আর মুশফিকের চোট হাতে। সে কারণেই মাঠে নেই তিনি, তাঁর বদলে উইকেটকিপিং করছেন এনামুল। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ২০১৪ সালে গ্লাভস হাতে নিয়েছিলেন এনামুল।
রানআউটে ভাঙল মাধেভেরে-কাইয়ার জুটি
প্রথম ২ ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর ওয়েসলি মাধেভেরে ও ইনোসেন্ট কাইয়ার জুটিটা এগোচ্ছিল ভালোই। সেটি ভাঙল বাজে ভুল বোঝাবুঝিতে। মিরাজের বলে মিডউইকেটে খেলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন কাইয়া। সেটিতেই সন্তুষ্ট ছিলেন তাঁরা। বিপত্তি ঘটলো তাইজুল ইসলাম মিসফিল্ড করায়। কাইয়া ডাবলস নিতে চাইলেন, তবে ব্যাটিং সঙ্গীর বদলে তখন বলের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন মাধেভেরে। চাইলে অবশ্য ক্রিজ ধরে রাখতে পারতেন, তবে সেটি করেননি। যে মুহুর্তে দৌড় শুরু করেছিলেন, তাতে ক্রিজে পৌঁছার সম্ভাবনা ছিল না। সেটি পারেননিও। তাইজুলের থ্রোয়ের পর স্টাম্প ভেঙেছেন মিরাজ। মাধেভেরে ও কাইয়ার জুটি থেমেছে ৪২ রানে। জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট।
২০ ওভারে ৯৯/৩
ওয়েসলি মাধেভেরে ও ইনোসেন্ট কাইয়ার জুটি আশা জোগাচ্ছিল জিম্বাবুয়েকে। এবার আশা জোগাচ্ছে কাইয়ার সঙ্গে সিকান্দার রাজার জুটি, যেটি ২০তম ওভার শেষে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানে। ফর্মে আছেন দুজনই।
২০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৯৯ রান। এ সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৮৯ রান। তবে প্রথম ১০ ওভারের মতো এবারও উইকেটের সংখ্যায় পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ ওই সময়ে উইকেট না হারালেও স্বাগতিকেরা হারিয়েছে ৩টি উইকেট।
কাইয়ার ফিফটি, ফিফটি জুটি
৩৯, ৬৩, ১৬, ৫০*—ইনোসেন্ট কাইয়ার ক্যারিয়ারের প্রথম চার ইনিংস এমন। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মুখোমুখি ৬৬তম বলে দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন তিনি। রাজার সঙ্গে তাঁর জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৫০ রান। রাজা ব্যাটিং করছেন ৩১ বলে ৩১ রান।
তিন পেসারের সঙ্গে একজন স্বীকৃত স্পিনার আছেন বাংলাদেশ একাদশে। পঞ্চম বোলারের ১০ ওভার তাই করাতে হবে মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে। মোসাদ্দেক এখন পর্যন্ত করেছেন ২ ওভার, বাকিদের কেউ আসেননি এখনো।
ইনিংসের মাঝপথে
উইকেট সে অর্থে গতিময় নয়। তাসকিন আহমেদ গুবলেট পাকালেন শর্ট বল করতে গিয়েই। নিজের ‘আর্কে’র মধ্যে পেয়ে সেটিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন রাজা, ইনিংসে এটি দ্বিতীয় ছয় তাঁর এটি। এরপর স্লটে পেয়ে তুলে মেরেছেন, সেটি গেছে মিড অফের নাগালের বাইরে দিয়েই। বাউন্ডারি না পেলেও এসেছে ২ রান।
ইনিংসের মাঝপথে জিম্বাবুয়ের রান ৩ উইকেটে ১২৭, বাকি ২৫ ওভারে প্রয়োজন ১৭৭ রান।
তাসকিনের ওই ওভারের প্রথম বলেই ইনসাইড-এজে হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন রাজা, ফিজিওর শরণাপন্ন হতে হয়েছে ওভারশেষে।
এ শুধু চোটের দিন
প্রথমে এনামুল হকের কাছ থেকে প্রাথমিক ‘সহায়তা’ নিলেন ইনোসেন্ট কাইয়া। এরপর এলেন ফিজিও। দেখে মনে হয়েছে হাতে ক্র্যাম্প হয়েছে তাঁর। এর আগে ফিজিও এসেছিলেন সিকান্দার রাজার জন্য, ইনসাইড-এজে হাঁটুতে আঘাত পান তিনি।
হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চোটের সারি আরেকটু দীর্ঘ হলো তাই। শুরুটা হয়েছিল রায়ান বার্লকে দিয়ে। ১.১ ওভার বোলিং করেই উঠে যান তিনি। মাঠে নামেননি আর। এরপর ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে উঠে যান লিটন দাসও, তিনিও নামেননি আর। ফিল্ডিং করতে নামেননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমও।
রাজাকে জীবন দিলেন তাইজুল
তাসকিনের বলে কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন রাজা। তবে বদলি ফিল্ডার তাইজুল ইসলাম নিতে পারেননি সেটি। সহজ ক্যাচই ছিল, জুটি ভাঙার দারুণ সুযোগও এসেছিল সামনে। তাইজুল সেটি নিতে পারলেন না। ৪৩ রানে ব্যাটিং করার সময় বেঁচে গেলেন রাজা।
কাইয়ার সঙ্গে রাজার জুটি এখন ৭৩ রানের।
রাজারও অর্ধশতক, কাইয়ার সঙ্গে শতরানের জুটি
মোস্তাফিজের স্লোয়ারে মিড অফ দিয়ে টেনে ছয় মেরে ক্যারিয়ারের ২১তম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করেছেন রাজা। পরের বলে ইনসাইড-এজে হয়েছে চার। পরের ওভারে মিরাজকে ড্রাইভ করে মেরেছেন আরেকটি চার, কাইয়ার সঙ্গে ১০০ রানের জুটি পূর্ণ হয়েছে তাতেই।
এর আগে রানআউটের হাত থেকে সূক্ষ্ণ ব্যবধানে বেঁচে গিয়েছিলেন রাজা, তবে আপাতত ছুটছেন তিনি।
এবার পড়ল কাইয়ার ক্যাচ
রাজার পর জীবন পেলেন কাইয়াও। এবার অবশ্য ততটা সহজ ছিল না, তবে থার্ডম্যান থেকে ছুটে এসে হাত লাগাতে পারলেও ক্যাচটি রাখতে পারেননি তাসকিন। কাইয়া জীবন পেলেন ৬৮ রানে, রাজা পেয়েছিলেন ৪৩ রানে।
৩৩তম ওভারের প্রথম ২ বলে ৬ রান দেওয়ার পর পরের ৪ বলে রান দেননি শরীফুল। ১৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৩৪ রান।
এবার স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন শরীফুল
আরেকবার মাঠে স্ট্রেচার। এবার সেটিতে করে উঠে গেলেন শরীফুল ইসলাম। নিজের সপ্তম ওভারের শেষ বলে নিজেই ফিল্ডিং করতে যাওয়ার পর চোট পেয়েছেন তিনি। লিটনের মতো তাঁকেও যেতে হলো বাইরে। এর আগে ৭ ওভার করেছেন শরীফুল, দিয়েছেন ৩৯ রান।
ব্যাটিং করবেন বার্ল
ম্যাচে চোটের প্রথম শিকার ছিলেন তিনি। ১.১ ওভার বোলিং করেই উঠে গিয়েছিলেন। তবে ব্যাটিংয়ে নামবেন তিনি। হারারে থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, প্যাড পরে প্রস্তুত আছেন বার্ল।
অবশ্য শরীফুল আবার নামতে পারবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নয়। না নামতে পারলে তাঁর ৩ ওভার করতে হবে অন্য কাউকে। এখন পর্যন্ত পঞ্চম বোলার হিসেবে আসা মোসাদ্দেক করেছেন ৫ ওভার।
জিম্বাবুয়ের ২০০
৩৬তম ওভারে ২০০ ছুঁয়ে ফেলল জিম্বাবুয়ে। ১৫০-২০০—এ ৫০ রানের জন্য তাদের লেগেছে মাত্র ৩২ বল। বাংলাদেশ ২০০ ছুঁয়েছিল ৩৮তম ওভারের শেষ বলে।
রাজা ও কাইয়া, দুজনই পেরিয়েছেন ৮০ রান, দুজনের জুটি ৩৬তম ওভার শেষে অবিচ্ছিন্ন ১৪১ রানে। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য ৮৪ বলে প্রয়োজন ১০১ রান।
কাইয়া-রাজার রেকর্ড জুটি
কাইয়া ও রাজার জুটি পেরিয়েছে ১৫০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটি সর্বোচ্চ জুটি এখন। আগের সর্বোচ্চ ছিল দুই ভাই—অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের ১৪৮ রান, ২০০১ সালে বুলাওয়েতে। কাইয়া-রাজার এ জুটি হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠেও চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ ইউসুফের।
জুটির রেকর্ড হওয়ার আগে বোলিংয়ে ফিরেছেন শরীফুল ইসলাম। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেও চোট ততটা গুরুতর নয়, আপাতত সেটিই মনে হচ্ছে।
কাইয়ার প্রথম শতক, রাজার চতুর্থ
শরীফুল ইসলামের বলে মিড অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিলেন। ড্রেসিংরুম মাতল উল্লাসে, ইনোসেন্ট কাইয়া উল্লাসে মাতালেন হারারেকেও। পঞ্চম ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পেলেন তিনি। ১১৫ বলে মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন। কাইয়ার উদ্যাপনে যেন বেশি মিশে ছিল স্বস্তি।
তবে রাজার উল্লাসটা হলো ক্ষীপ্রই। ডাবলস নেওয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যাপন শুরু করে দিলেন তিনি। রাজার ক্যারিয়ারের এটি চতুর্থ শতক। তাঁর লেগেছে মাত্র ৮১ বল। একই ওভারে দুইবার উল্লাসে মাতল হারারে।
দুজনের জুটি শুরু হয়েছিল ৬২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। দুজন শতকের দেখা পেলেন একই ওভারে।
জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় বার এক ম্যাচে দুজন শতক পেলেন। প্রথম এমন ঘটেছিল ২০০৪ সালে, অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে।
জীবন পাওয়ার পর ফিরলেন কাইয়া
মোসাদ্দেকের আগের বলেই স্টাম্পিং থেকে বেঁচেছেন। পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন কাইয়া, এবার ফাইন লেগে ভুল করেননি শরীফুল ইসলাম। অবশেষে বাংলাদেশ ভাঙতে পেরেছে কাইয়া ও রাজার ১৯২ রানের জুটি। কাইয়া ফিরেছেন ১২২ বলে ১১০ রান করে।
আবার উঠে গেলেন শরীফুল
একবার স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন শরীফুল ইসলাম। ফিরে এসে বোলিং করলেও আবার উঠে যেতে হলো তাঁকে। ৪৩তম ওভারে ৪ বল করেই উঠে যেতে হয়েছে তাঁকে।
৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন এখন ৩৮ রান।
আরও কাছে জিম্বাবুয়ে
৩০ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৯ রান। সিকান্দার রাজাকে দেখে মনে হচ্ছে, চোট ভোগাচ্ছে তাঁকেও। লুক জঙ্গুয়েকে নিয়ে অবশ্য এগোচ্ছেন তিনি।
জীবন পেলেন জঙ্গুয়েও, হাতছোঁয়া দূরত্বে জিম্বাবুয়ে
লুক জঙ্গুয়ের যেন তর সইছে না জয়ের জন্য। মোস্তাফিজুর রহমানকে ছয় মারার পর আবার তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন। তবে ফাইন লেগে সেটি ফেলেছেন তাসকিন আহমেদ। পরের বলে দারুণ এক ড্রাইভে মেরেছেন চার। মোস্তাফজিএর ওভারে উঠেছে ১৩ রান। জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন মাত্র ৮ রান।
ফিরলেন জঙ্গুয়ে
মিরাজের বলে মিডউইকেটে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৯ বলে ২৪ রান করা জঙ্গুয়ে। রাজার সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৪২ রান।
দুর্দান্ত কাইয়া, দুর্দান্ত রাজা, দুর্দান্ত জিম্বাবুয়ে
বলটা তখনো আকাশে। স্টাম্প মাইকে সিকান্দার রাজার গর্জন শোনা যাচ্ছিল তখনোই। সে বল কই যাচ্ছে, সেটি তো নিশ্চিতই! রাজার মারা ওই ছক্কাতেই নিশ্চিত হলো, বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয়। রাজা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১৩৫ রানে। মাত্র ১০৯ বলে এ রান করেছেন তিনি, ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছক্কা।
এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ হারিয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ মে, বুলাওয়েতে। এরপর টানা ১৯ ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে হেরেছে তারা। অবশেষে কাটল সে খরা। হারারেতে তারা ৩ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
অথচ ৩০৫ রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোর এক সময় ছিল এমন—২ ওভার, ৬ রান, ২ উইকেট। ওয়েসলি মাধেভেরে ও ইনোসেন্ট কাইয়ার জুটি খুব বড় হওয়ার আগেই যখন ভাঙল, জিম্বাবুয়ের রান তখন ৬২। হারারেতে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে তখন এক সমুদ্র দূরত্ব।
ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা এরপর খেললেন দুর্দান্ত দুটি ইনিংস, গড়লেন ১৯২ রানের রেকর্ড জুটি। বাংলাদেশের পিচ্ছিল ফিল্ডিং সহায়তা করেছে তাঁদের, তবে হার না মানা ব্যাটিং করেছেন দুজনই। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুজন ইনিংস গড়েছেন দারুণভাবে।