পন্তের অনুপস্থিতিতে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ কিষান-সূর্যকুমারকে চান পন্টিং
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে প্রথমে ঈশান কিষান ছিলেন না। লোকেশ রাহুলের চোটের পরই ডাকা হয় তাঁকে। সূর্যকুমার যাদব তো ১৫ জনের চূড়ান্ত দলেও নেই, আছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। তবে এই দুজনকেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতীয় দলের একাদশে দেখতে চান রিকি পন্টিং। সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের মত, টেস্টটি জিততে গেলে যতজন সম্ভব ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ ধরনের খেলোয়াড়কে নামাতে হবে। কিষান ও সূর্যকুমারকে সে শ্রেণিতেই ফেলেন আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের এখনকার প্রধান কোচ।
ঋষভ পন্ত ফিট থাকলে তাঁকেই ভারত দলে দেখা যেত। তাঁর অনুপস্থিতিতে ওই ঘরানার কাউকে দরকার বলে মনে করেন পন্টিং, ‘আমি যদি ভারতীয় দলে থাকতাম, ম্যাচটি যেহেতু জিততেই হবে, সেটির গুরুত্ব বুঝে কিষানকে এ ম্যাচে খেলাতাম। যখন কোনো দল টেস্ট জিততে চাইবে, তখন তাঁর মতো খেলোয়াড় “এক্স-ফ্যাক্টর” হয়ে উঠতে পারে। অবশ্যই ঋষভ পন্ত ফিট থাকলে সে-ই খেলত, ভারতের “এক্স-ফ্যাক্টর” হয়ে উঠত।’
পন্তের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলে কিষান ছাড়াও উইকেটকিপার হিসেবে আছেন শ্রীকর ভরত। তবে জয়ের জন্য গ্লাভস হাতে কিষানই পন্টিংয়ের পছন্দ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা—দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারকেই একাদশে দেখতে চান পন্টিং। তবে জাদেজাকে তিনি চান মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই, যিনি ৬ নম্বরে খেলবেন। ৫ নম্বরে পন্টিংয়ের চাওয়া সূর্যকুমারকে। কারণ, ‘অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে আমি যতজন সম্ভব “এক্স-ফ্যাক্টর” খেলোয়াড়কে নামাতাম।’
সূর্যকুমার গত ফেব্রুয়ারিতে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই একমাত্র টেস্টটি খেলেছেন ক্যারিয়ারে। একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করে তিনি করেন ৮ রান। কিষানের এখনো টেস্ট অভিষেকই হয়নি। প্রথম শ্রেণিতে সূর্যকুমারের গড় ৪৪.৪৫, কিষানের ৩৮.৭৬।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দলে অজিঙ্কা রাহানেকে দেখেও খুশি হয়েছেন পন্টিং। দল থেকে বাদ পড়ার পর মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ভালো একটি মৌসুম কাটিয়েছেন রাহানে, এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলেও আলো ছড়িয়েছেন।
তবে আইপিএলে দারুণ সময় কাটানোর পর রাহানের দলে ফেরা নিয়ে পন্টিংয়ের মন্তব্য, ‘জিংকস (রাহানে) আইপিএলেও দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছে। ব্যাপারটা মজার। কীভাবে আইপিএলে রান করে টেস্ট দলে ফেরা যায়! গত কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে একটু দূরেই চলে গিয়েছিল সে, তবে সবাই জানে তাকে কতটা আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। আইপিএলে কতটা ভালো খেলেছে সে। দলে ফিরতে সেটিই তার জন্য যথেষ্ট হয়েছে।’
আগামী ৭ জুন থেকে ওভালে শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এই ভেন্যু নিয়ে পন্টিং বলেছেন, ‘আগে থেকেই ওভালের উইকেট ব্যাটিং–সহায়ক। প্রথম দিন সাধারণত ফাস্ট বোলারদের জন্য একটু সহায়তা থাকে, তবে বেশি না। তবে সেখানে কয়েকটি ম্যাচ খেলে দেখেছি, বেশ টার্ন থাকে। যদি পিচ একটু শুকাতে শুরু করে, তাহলে অনেক টার্নের দেখা মিলবে।’
অশ্বিন ও জাদেজা দুজনকেই তাই খেলাতে বলছেন পন্টিং, ‘আমার মনে হয় তারা জাদেজা ও অশ্বিনকে নেবে। কারণ, জাদেজা ৬ নম্বরের জায়গাটা নিতে পারবে। ব্যাটিংয়ে তার এতটাই উন্নতি হয়েছে যে এখন তাকে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানোই যায়। অশ্বিন যে জাদেজার চেয়ে বেশি ভালো স্কিলড ও উন্নত মানের টেস্ট বোলার, তা নিয়ে সংশয় নেই। তবে জাদেজা যদি ব্যাটিংয়ে জায়গাটা ধরে রাখতে পারে, একই সঙ্গে চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে গিয়ে যদি টার্নের দেখা মেলে, তাহলে আপনার বিশ্বমানের স্পিন অপশন থাকবে আপনার।’