ধোনির ৫ হাজার ছোঁয়ার ম্যাচে চেন্নাইয়ের জয়
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের। ক্রিজে ছিলেন পেসার আবেশ খানের বদলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ুশ বাদোনি। অন্য প্রান্তে কৃঞ্চাপ্পা গৌতম। লক্ষ্যটা বেশ কঠিন তবে স্লো ওভাররেটের কারণে বৃত্তের মধ্যে চেন্নাই সুপার কিংস একজন খেলোয়াড় বেশি রাখতে বাধ্য হওয়ায় দুর্দান্ত কিছু করার সুযোগও ছিল বাদোনি ও গৌতমের সামনে।
টানা ওয়াইড ও নো বলে শেষ ওভার শুরু করেন চেন্নাইয়ের ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে নামা পেসার তুষার দেশপাণ্ডে। কিন্তু লক্ষ্ণৌ শেষ পর্যন্ত পারেনি। বৈধ তৃতীয় বলে বাদোনি আউট হওয়ার পর মার্ক উড শেষ দু্ই বলে চার-ছক্কায় মোট ১০ রান নিলেও লাভ হয়নি। ১২ রানের জয় তুলে নেয় চেন্নাই। প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের কাছে হারা মহেন্দ্র সিং ধোনির দল প্রথম জয়ের দেখা পেল ।
চেন্নাই অধিনায়ক ধোনির জন্য আজকের ম্যাচটি ছিল মাইলফলকের। ৩ বলে ১২ রানের ইনিংসে আইপিএলে ৫ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান ধোনি। তবে চেন্নাই আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২১৭ রান তুলেছে উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে। ৫৬ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৩১ বলে ৫৭ রানে আউট হন রুতুরাজ। কনওয়ে করেন ২৯ বলে ৪৭ রান।
১৪ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকা আম্বাতি রাইড়ুর বদলি হয়ে বল করেছেন ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ তুষার দেশপাণ্ডে। লক্ষ্ণৌও তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল। ৫.৩ ওভারে কাইল মায়ার্স আউট হওয়ার আগে ওপেনিং জুটিতে ৭৯ রান তুলেছে দলটি। কিন্তু চেন্নাইয়ের রানপাহাড় তাড়া করতে পারেনি শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে না পারায়। ৭ উইকেটে ২০৫ রানেই থেমেছে লক্ষ্ণৌর ইনিংস।
মায়ার্স ২২ বলে ৫৩ রান করে মঈন আলীর শিকার হন। ছয়ে নামা নিকোলাস পুরান ১৮ বলে ৩২ রান করে পাল্টা স্রোতে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন। ১৬তম ওভারে পুরান যখন আউট হলেন তখনো ২৪ বলে ৬২ রান দরকার ছিল লক্ষ্ণৌর।
বাদোনি ও গৌতম মিলে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিলেও কাজের কাজটা করতে পারেননি। শেষ ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে চেন্নাইকে জিতিয়েছেন বোলাররা। চেন্নাইয়ের হয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন মঈন। ২৫ রানে ২ উইকেট তুষার দেশপাণ্ডের। লক্ষ্ণৌর হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মার্ক উড ও রবি বিঞ্চয়।