জেমস অ্যান্ডারসনকে টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা পেসার বলাই যায়। মুত্তিয়া মুরলিধরন (৮০০) ও শেন ওয়ার্নের (৭০৮) পর টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট (৭০৪) এই ইংলিশ পেসারের। ‘কিংবদন্তি’ শব্দটা অ্যান্ডারসনের নামের আগে সহজেই বসিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু গতকাল লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অ্যান্ডারসন নিজেকে কিংবদন্তি বা বড় মাপের (গ্রেট) বোলার হিসেবে চিন্তা করেননি।
২১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি শুধু ছোট ছোট লক্ষ্যের পেছনে ছুটেছেন। নিজের বোলিংয়ে প্রতিনিয়ত উন্নতি আনার চেষ্টা করে গেছেন। স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলছিলেন, ‘(একটা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে) অনেক উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কোনো সিরিজে নিজেকে খুব দুর্দান্ত মনে হয়, আরেক সিরিজে সে রকম কিছু নয়। ভালো করতে থাকলে সেই ভালোটাই আবার ক্ষতি করতে থাকে।’
কথায় কথায় বিরাট কোহলির উদাহরণও টেনেছেন তিনি। গত এক দশকে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ মানেই অ্যান্ডারসন-কোহলির লড়াই নিয়ে সবার বাড়তি কৌতূহল। অ্যান্ডারসন কখনো সে লড়াইয়ে দাপট দেখিয়েছেন, কখনো ব্যর্থ হয়েছেন। অবসরের মাধ্যমে সে লড়াইয়ে ইতি টানা অ্যান্ডারসন পুরো ব্যাপারটিকে উল্লেখ করলেন এভাবে, ‘বিরাট কোহলির বিপক্ষে শুরুতে যখন খেলতাম, মনে হতো তাঁকে প্রতি বলে আউট করতে পারব। কিন্তু গত কিছুদিন খেলতে নেমে মনে হতো, আমি তাঁকে কখনই আউট করতে পারব না। নিজেকে তখন খুব ছোট মনে হয়।’
পরে যোগ করেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে নিজেকে কখনো গ্রেট বোলার মনে হয়নি। আমি জানি, এটা শুনতে অনেকের অদ্ভুত লাগবে। তবে আমি সব সময় এটাই ভেবেছি, আমি কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করতে পারি। আমার ক্যারিয়ার লম্বা করতে এটাই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে।’ বড় ম্যাচের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে প্রিয় বন্ধু স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিজের থেকে এগিয়ে রেখেছেন অ্যান্ডারসন, ‘আমার মনে হয় না আমি স্টুয়ার্টের মতো বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে পেরেছি। কিছু কিছু সময় আমি অনেক চেষ্টা করেছি ঠিকই, কিন্তু হয়নি।’