সফরের মাঝে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাড়তি প্রস্তুতি ম্যাচ চেয়ে নিল পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া সফরে বক্সিং ডে টেস্টের আগে পূর্বনির্ধারিত সূচির বাইরে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। পার্থে বড় ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তানের প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজ বলেছেন, বিশেষ করে বোলারদের ম্যাচ আবহে আরও অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে এ ম্যাচে আয়োজনের অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
পার্থে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৩৬০ রানে হেরেছে পাকিস্তান। ২৬ ডিসেম্বর এমসিজিতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট, এর আগে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর মেলবোর্নের জাংশন ওভালে সফরের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে পাকিস্তান। সেখানে শান মাসুদের দলের প্রতিপক্ষ ভিক্টোরিয়া একাদশ। পার্থে প্রথম টেস্টে হার নিশ্চিত হওয়ার একটু আগে নিশ্চিত করা হয়েছে এটি।
প্রথম টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল প্রথম শ্রেণির মর্যাদার। ফলে ১১ জনের বেশি খেলতে পারেননি সে ম্যাচে। তবে এবারের ম্যাচটির প্রথম শ্রেণির মর্যাদা নেই বলে চাইলেই ১১ জনের বেশি খেলোয়াড়কে ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করতে পারবে দুই দলই। পিটার হ্যান্ডসকমের নেতৃত্বে ভিক্টোরিয়া একাদশে খেলবেন মার্কাস হ্যারিস। ডেভিড ওয়ার্নার অবসরে যাওয়ার পর টেস্ট দলের অন্যতম সম্ভাব্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিনি। ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি টেস্ট খেলা আলোচিত ব্যাটসম্যান উইল পুকোভস্কিও।
এ ম্যাচ প্রসঙ্গে হাফিজ বলেছেন, ‘আগে ছিল না, আমরা এ ম্যাচটি সূচিতে অতিরিক্ত যোগ করেছি। একটি প্রস্তুতি ম্যাচের চেয়ে বেশি অনুশীলন করতে চেয়েছি। ওই (প্রথম) ম্যাচ প্রথম শ্রেণির মর্যাদার ছিল, ফলে আমরা সব বোলারকে সুযোগ দিতে পারিনি বলে মনে হয়েছে।’
এরপর হাফিজ যোগ করেন, ‘এ কারণেই আমরা এ প্রস্তুতি ম্যাচটি চেয়েছি, যাতে ছেলেরা ম্যাচ আবহ আরও বুঝতে পারে, আমাদের মনে হয়েছে এটি কাজে দেবে। সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা করব আমরা। পরিস্থিতি ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সব খেলোয়াড়েরই এ দুদিন ব্যবহার করা উচিত।’
এর আগে ক্যানবেরায় প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিষ্প্রাণ উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন হাফিজ। অবশ্য জাংশন ওভালের উইকেটও ঐতিহাসিকভাবে ফ্ল্যাট। তবে হাফিজের আশা, টেস্ট ম্যাচের মতোই কন্ডিশন পাবেন তাঁরা, ‘এটি আসলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আওতায় পড়ে। আমরা টেস্ট ম্যাচের মতো কন্ডিশনের অনুরোধ করেছি, যাতে আমাদের খেলোয়াড়েরা এর সুবিধা নিতে পারে। এটি সফরের সূচিতে ছিল না, কিন্তু আমি চেয়েছি যাতে ছেলেরা ম্যাচ আবহে অনুশীলনের সুযোগ পায়। আমাদের অনুরোধ রাখা ও এ সুবিধা দেওয়ার জন্য আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা যথাসম্ভব কার্যকরী উপায়েই শেখার চেষ্টা করব।’
প্রথম টেস্টে হারের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি দীর্ঘায়িতই হয়েছে। এ নিয়ে ‘ডাউন আন্ডার’-এ টানা ১৫টি টেস্ট হারল পাকিস্তান, সেখানে তাদের সর্বশেষ জয়টি এসেছিল ১৯৯৫ সালে।