‘আহত অস্ট্রেলিয়া’ খুব বিপজ্জনক—বিপৎসংকেত ডি ভিলিয়ার্সের
বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪২৮ রান করেছে তারা। এরপর তারা ম্যাচ জিতেছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে। এ জয়ের পর দলটি এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তবে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা দলই নয়, কিংবদন্তি প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সও দারুণ আত্মবিশ্বাসী। নিজেরা যা করতে পারেননি, দলটিকে দিয়ে সেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছেন ডি ভিলিয়ার্স।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা পরের ম্যাচ খেলবে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে। ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, প্রথম ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা খাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ কিছু করার সামর্থ্য আছে প্রোটিয়াদের।
তবে আহত অস্ট্রেলিয়া যে ভয়ংকর, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। আইসিসির ওয়েবসাইটে কলামে তিনি লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াইটা খুব কঠিন হবে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন অনেক পরীক্ষা নেবে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা সেটা সামলে ভালো কিছু করতে পারব। বোলিংয়েই আমি মনে হয়, আমরা ম্যাচটা জিততে পারি।’
ভারতের বিপক্ষে হেরে চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়া কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, তা মনে করিয়ে দিয়ে ডি ভিলিয়ার্স আরও বলেছেন, ‘ভারতের বিপক্ষে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকবে। কিন্তু আহত অস্ট্রেলিয়া দল খুবই বিপজ্জনক। তাদের চাপে রাখার জন্য দ্রুত কিছু উইকেট তুলে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে এই কাজ আমরা ভালোভাবে করতে পরিনি।’
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে নিয়ে বিশেষ সকর্তবার্তাও দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘স্টিভ স্মিথের উইকেটটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে। সে অস্ট্রেলিয়া দলকে দারুণ আগলে রেখেছে। যদি আমরা তাকে তাড়াতাড়ি আউট করি, আমার বিশ্বাস, আমরা কাজটা ঠিকঠাক সম্পন্ন করতে পারব।’
এ সময় বোলারদের নিজের প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘সব মনোযোগ ব্যাটসম্যানদের ওপর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের জন্যও বড় পরীক্ষা হবে। আইনরিখ নর্কিয়া না থাকায় কাগিসো রাবাদার ওপর বাড়তি চাপ থাকবে। আমি তার সঙ্গে গত সপ্তাহে কথা বলেছি। সে দারুণ কিছু করতে প্রস্তুত এবং বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চায়। আমার কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা এগিয়ে থাকবে। আর প্রোটিয়াদের জয় দেশের মানুষকে এটা বোঝাবে যে দলটি চ্যাম্পিয়নও হতে পারে।’