‘করোনা’ নিয়ে খেলছেন আয়ারল্যান্ডের ডকরেল
হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের চতুর্থ উইকেটে পড়ল দশম ওভারের শেষ বলে। চামিকা করুনারত্নের বলে কার্টিস ক্যাম্ফার আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন জর্জ ডকরেল। করোনা ‘আক্রান্ত’ হয়ে এই প্রথম কেউ খেলতে নামলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
ডকরেলের করোনা আক্রান্তের খবরটি দিয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্তে ‘কোভিড আপডেট’ শিরোনামে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড একটি টুইট করে। যেখানে লেখা হয়, ‘ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড নিশ্চিত করছে যে জর্জ ডকরেল সম্ভাব্য কোভিড পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থানীয়, জাতীয় ও আইসিসির গাইডলাইন মেনে তাঁকে দেখভাল করা হচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই করোনা বিষয়ক বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারও কোয়ারেন্টিন এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বাধ্যতামূলক আইসোলেশনের বিধি তুলে নেয়। এমনকি ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষাও নেই এবার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোভিড-১৯ নিয়ে আইসিসির একমাত্র নির্দেশনা হচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় পজিটিভ হলে তাঁর দলের চিকিৎসকই নিশ্চিত করবেন, খেলোয়াড়টি মাঠে নামার জন্য উপযুক্ত কি না।
চিকিৎসক ছাড়পত্র দিলে করোনা নিয়েও খেলতে বাঁধা নেই। ডকরেলের বেলায়ও ঘটেছে সেটিই।
খেলা শুরুর আগেই ডকরেলের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে একটি বিবৃতি দেয় ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।
সেখানে বলা হয়, আক্রান্ত ব্যক্তির খেলা বা অনুশীলন করা নিয়ে বাঁধা না থাকলেও বাকি দল থেকে যতটা সম্ভব নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে তাঁকে, ‘ডকরেলের করোনার উপসর্গ খুবই কম। আইসিসি এবং হোবার্ট স্টেডিয়াম সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে উঠেছে আয়ারল্যান্ড। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জেতা ম্যাচের একাদশে আজ কোনো পরিবর্তন আনতে চায়নি আইরিশরা। ডকরেলেরও খেলতে সমস্যা হয়নি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। ১৬ বলে ১৪ রান করে বোল্ড হয়ে যান মহীশ তিকশানার বলে।
ক্রিকেটবিশ্ব অবশ্য এরই আগেও একবার করোনা নিয়ে খেলতে নামার ঘটনা দেখে ফেলেছে। আগস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে ঘটেছিল সেই ঘটনা।
কোভিড পজিটিভ হয়েও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তাহিয়া ম্যাকগ্রা। শুরুতে সতীর্থদের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলেও উইকেট ও জয় উদ্যাপনের সময় অবশ্য সেই দূরত্ব আর দেখা যায়নি।