- তৃপ্তি মিলবে আজ?
- টস
- ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
- পেসারের জায়গায় ব্যাটারকে নিল জিম্বাবুয়ে
- চোটে তাসকিন
- ছক্কায় শুরু সৌম্যর
- পুল করতে গিয়ে আউট তানজিদ
- সৌম্যও গেলেন
- ফিরলেন হৃদয়, ধস শুরুতেই
- চার, চার, চার
- শুরুর ধস
- পাওয়ারপ্লেতে ৩৩/৩
- ভিন্ন পথে মাহমুদউল্লাহ-নাজমুল
- ইনিংসের মাঝপথে
- ৪, ১, ৬, নাজমুল আউট
- ১০০/৪
- মাহমুদউল্লাহর ৫০
- ক্যাম্পবেলের দারুণ ক্যাচ
- থামলেন মাহমুদউল্লাহ
- জাকেরের ক্যামিওতে বাংলাদেশের ১৫৭
- কঠিন সুযোগ
- দুই প্রান্তেই স্পিন
- মেহেদীর ওপর চড়াও বেনেট
- প্রথম ব্রেকথ্রু সাকিবের
- ৪১/১, ৬ ওভার
- রাজার ছক্কা, অবশেষে!
- রিশাদের ওভারে ১৬
- বেনেটের ৫০
- সাকিব ১/৯
- বোলিংয়ে সৌম্য, ভুগছেন রাজা
- থামলেন বেনেট
- ফেবারিট জিম্বাবুয়ে
- রাজার ফিফটি
- সাইফউদ্দিনের ওভারে ১৯, জিম্বাবুয়ের দরকার ৫
- ৮ উইকেটের বড় জয়ে জিম্বাবুয়ের ‘সান্ত্বনা’
- বলছেন জিম্বাবুয়ে
- ম্যাচসেরা বেনেট
- সিরিজসেরা তাসকিন
- উন্নতির সুযোগ দেখেন নাজমুল
তৃপ্তি মিলবে আজ?
পঞ্চম ম্যাচের আগে সিরিজের অবস্থানটা এমন—বাংলাদেশ ৪, জিম্বাবুয়ে ০। এরপরও বাংলাদেশ যেন ঠিক তৃপ্তিতে নেই। চারটি ম্যাচ জিতলেও খেলার ধরনের এক ধরনের খচখচানি থেকেই গেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি আজ। সকাল ১০টায় শুরু হচ্ছে ম্যাচ, টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য যেটি ঠিক নিয়মিত ঘটনা নয় বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে দিনে ম্যাচ আছে, সেটির কথা ভেবেই এমন সূচি। কিছুক্ষণ পরই টস, প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
আলোচনায় 'ফিজ'
সেটি মিলেছে সর্বশেষ ম্যাচে। বেশ ভালো আইপিএল কাটিয়ে আসা মোস্তাফিজকে জাতীয় দলেও দেখা গেছে ছন্দে।
টস
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এমন উইকেটে বাংলাদেশকে আগে চাপে ফেলার আশা তাদের।
উইকেটে দেখে ভালো মনে হচ্ছে নাজমুলের, তাতে আগে ব্যাটিং করতে তাই আপত্তি নেই তাঁর।
ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন
দলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও তানভির ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান
পেসারের জায়গায় ব্যাটারকে নিল জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে দলে একটিই পরিবর্তন। রিচার্ড এনগারাভার জায়গায় ফিরেছেন শন উইলিয়ামস।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
চোটে তাসকিন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচের আগে চোটে পড়েছেন তাসকিন আহমেদ। সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশেও নেই এই পেসার। জানা গেছে, ম্যাচ শুরুর আগে অনুশীলনের সময় চোটে পড়েন তিনি। তবে চোট কতটা গুরুতর তা জানা যায়নি।
ছক্কায় শুরু সৌম্যর
টসের সময় নাজমুল হোসেন বলেছিলেন, এ উইকেটে ভূমিকা রাখবে স্পিন। জিম্বাবুয়ের হয়ে বোলিং উদ্বোধনে এসেছেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। সৌম্য সরকার স্লটে পেয়ে স্লগ সুইপে মেরেছেন বড় ছক্কা। প্রথম ওভারে বাউন্ডারি একটিই।
১ ওভারে ৯/০।
পুল করতে গিয়ে আউট তানজিদ
বাড়তি বাউন্স, বল যতটা শর্ট লেংথে ভেবেছিলেন তানজিদ ততটা ছিলও না। ব্লেসিং মুজারাবানিকে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন তানজিদ। সেটির মাশুলও দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের, স্কোরবোর্ডে ৯ রানই।
মুজাবারানির সে ওভারে রান আসেনি কোনো।
২ ওভারে ৯/১।
সৌম্যও গেলেন
তানজিদের পর সৌম্য, ৩ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনারকে হারাল বাংলাদেশ। ব্রায়ান বেনেটের বলটি বেশ শর্ট লেংথেই ছিল, অফ স্টাম্পের বাইরে। সেটিতে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সৌম্য সরকার। আলগা শট।
৩ ওভারে ৯/২।
ফিরলেন হৃদয়, ধস শুরুতেই
তানজিদ, সৌম্যর পর এবার তাওহিদ হৃদয়ও নেই। বেনেটের বলে সেভাবে জায়গা ছিল না, সেটিতে কাট করতে গিয়েছিলেন। হয়েছেন কট বিহাইন্ড। ৪.১ ওভারে ১৫ রান তুলতে বাংলাদেশের নেই ৩ উইকেট, এর মধ্যে দুটিই নিলেন ব্রায়ান বেনেট। স্বাগতিকেরা চাপে শুরুতেই।
চার, চার, চার
উইকেট, ডট। এরপর টানা তিন চার। বেনেটের ওপর চড়াও হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। যে ওভারে প্রথম বলে উইকেট নিয়েছিলেন বেনেট, সেটি শেষ হয়েছে ১২ রানে। শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণ মাহমুদউল্লাহর।
৫ ওভারে ২৭/৩
শুরুর ধস
পাওয়ারপ্লেতে ৩৩/৩
ফারাজ আকরামকে মিড অনের ওপর দিয়ে চার নাজমুলের। পাওয়ারপ্লে শেষ হলো এভাবে। প্রথম ৬ ওভারে উঠেছে ৩৩ রান, তবে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। আপাতত সে ধাক্কা সামলে এগোনোর চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল।
ভিন্ন পথে মাহমুদউল্লাহ-নাজমুল
যে তিন জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন, সবাই জোরের ওপর শট খেলতে চেয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল এগোচ্ছেন ভিন্ন পথে। দুজনই নির্ভর করছেন টাইমিংয়ের ওপর। পাওয়ারপ্লের পর সর্বশেষ ২ ওভারে এসেছে ৩টি বাউন্ডারি, উঠেছে ২২ রান। অষ্টম ওভারে ৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুলের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানে।
৮ ওভারে ৫৫/৩
ইনিংসের মাঝপথে
মাঝে রাজার ওভারে এসেছিল মাত্র ৪ রান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা দশম ওভার মাহমুদউল্লাহ শুরু করেন ইনসাইড-আউটে চার মেরে, যদিও আরেকটু ভালোভাবে চেষ্টা করলে সেটি হয়ত আটকাতে পারতেন লং অফে থাকা মুজারাবানি। এ ওভারে বেঁচেও গেছেন নাজমুল। সামনে এসে খেলতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ক্যাচ গিয়েছিল শর্ট থার্ডে। তবে সেখানে বেসামাল হয়ে পড়েন লুক জঙ্গুয়ে। যে বলে আউট হতে পারতেন, তাতে চার রান পেয়ে গেছেন নাজমুল।
১০ ওভারে ৭০/৩
৪, ১, ৬, নাজমুল আউট
আগের বলে টেনে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন। এবার সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। ২৮ বলে ৩৬ রান করে থামলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভাঙল ৬৩ রানের জুটি। পরিস্থিতি বিবেচনায় নাজমুলের ইনিংসকে গুরুত্বপূর্ণই বলতে হবে।
১২ ওভারে ৮৫/৪
১০০/৪
১৪তম ওভারের শেষ বলে ১০০ রানে পৌঁছাল বাংলাদেশ। ১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ইনিংস মেরামতের কাজটি হয়েছে বেশ ভালোভাবেই। এখন শেষের লাফের অপেক্ষা। তাতে গুরুত্বপূর্ণ মাহমুদউল্লাহ, যিনি অপরাজিত ৪৭ রানে। সাকিব এখনো খোলস ছেড়ে বেরুতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহর ৫০
১৬তম ওভারে প্রথমবারের মতো শন উইলিয়ামস। প্রথম বলে স্লগ সুইপে ছক্কা সাকিবের, ইনিংসে তাঁর প্রথম বাউন্ডারি। সেটি ১১তম বলে গিয়ে।
তৃতীয় বলে লেগ সাইডে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করলেন মাহমুদউল্লাহ। লাগল ৩৬ বল। সর্বশেষ ৫ ইনিংসে এটি তাঁর দ্বিতীয় ফিফটি। ১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন। তবে তিনিও জানেন, কাজ এখনো বাকি।
১৬ ওভারে ১১৭/৪।
ক্যাম্পবেলের দারুণ ক্যাচ
জঙ্গুয়েকে তুলে মেরেছিলেন সাকিব। জোনাথন ক্যাম্পবেল ছিলেন ওয়াইড লং অনে। সেখান থেকে মিডউইকেটের দিকে ছুটে গিয়ে সামনে ডাইভ নিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। সাকিবকে ফিরতে হয়েছে ১৭ বলে ২১ রান করে।
১৭ ওভারে ১২৪/৫।
থামলেন মাহমুদউল্লাহ
২ ওভার বাকি। এমন সময়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। মুজারাবানিকে টেনে মারতে গিয়েছিলেন। এবার কাভার থেকে পেছন দিকে গিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ৪৪ বলে ৫৫ রানে থেমেছে মাহমুদউল্লাহর ইনিংস।
১৮ ওভারে ১২৮/৬
জাকেরের ক্যামিওতে বাংলাদেশের ১৫৭
শুরুতে ধস। এরপর মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণ। নাজমুল ও সাকিবের সঙ্গে জুটি। শেষে জাকের আলীর ঝড়।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গতিপথটা এমন। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নাজমুলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির পরপরই থামেন। তার আগে সাকিবকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।
সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফেরায় শেষ দিকেও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে অবশ্য ১৫০ পেরিয়ে ভালো একটা সংগ্রহই পেয়েছে স্বাগতিকেরা। শেষ ২ ওভারে উঠেছে ২৯ রান।
জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করতে যথেষ্ট হবে সেটি?
কঠিন সুযোগ
জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম ওভার করেছিলেন রাজা। বাংলাদেশের হয়ে সেটি করতে এলেন আরেক অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। কাট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন বেনেট, তবে স্লিপে কঠিন সুযোগটা নিতে পারেননি সৌম্য। বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়েও প্রথম ওভারে তুলেছে ৯ রান।
দুই প্রান্তেই স্পিন
মেহেদীর পর আরেক প্রান্তে সাকিব। বেনেটকে প্রথম ৪ বলে কোনো রান নিতে দেননি। পঞ্চম বলে একটি সিঙ্গেল নেন বেনেট, এ ওভারে এসেছে ১ রানই। স্পিনে এমন উইকেটে বেশ ভালো চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। উৎরে যেতে পারবে সেটি তারা?
২ ওভারে ১০/০
মেহেদীর ওপর চড়াও বেনেট
চার। ছক্কা। ছক্কা।
শর্ট বলে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারার পর টেনে লং অন দিয়ে মেহেদীকে দ্বিতীয় ছক্কাটি মারেন বেনেট। তার আগে কাভার দিয়ে মেরেছিলেন চার। সাকিব ১ রান দেওয়ার পর মেহেদীর করা তৃতীয় ওভারে এসেছে ১৭ রান। ভালো শুরু জিম্বাবুয়ের।
৩ ওভারে ২৭/০
প্রথম ব্রেকথ্রু সাকিবের
তাদিওয়ানাশে মারুমানি ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটিং দেখার কাজটিই করছিলেন তিনি। এবার সাকিবের ওপর চড়াও হতে গেলেন, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। ঘুরে ক্রিজে ফিরেছিলেন, কিন্তু তার আগেই স্টাম্প ভেঙেছেন জাকের আলী। বাংলাদেশ উইকেটকিপার বল সংগ্রহ করেছেন বুকের কাছ থেকে। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ৩৮ রানে।
৪১/১, ৬ ওভার
পাওয়ারপ্লেতে ২ ওভার বোলিং করে সাকিব দিয়েছেন মাত্র ২ রান। এরপরও প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৪১ রান। বেনেট শুরুটা ঝোড়ো করলেও আরেক প্রান্তে সেভাবে সমর্থন পাননি। ৬ ওভারশেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩/৩।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারটি করেছেন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও দিয়েছেন ২ রান।
রাজার ছক্কা, অবশেষে!
সময়টা ভালো যাচ্ছে না সিকান্দার রাজার। আগের ৬ ইনিংসে ৩৯ রান নিয়ে আজ নেমেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। সর্বশেষ ৬ ইনিংসে কোনো ছক্কাও মারেননি। আজ সে খরা কাটালেন। সাইফউদ্দিনের শর্ট বলে টেনে মিডউইকেট দিয়ে সেটি মেরেছেন। পরের বলে এক্সট্রা কাভারে ড্রাইভ করে মেরেছেন চার। মাঝে ৩ ওভারে ৭ রান আসার পর এবার সাইফউদ্দিনের ওভারে এসেছে ১৪ রান। তাতে চাপ একটু হলেও কমেছে জিম্বাবুয়ের।
৮ ওভারে ৫৭/১।
রিশাদের ওভারে ১৬
সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ—তিন জনের বোলিংয়ে চাপে ছিল জিম্বাবুয়ে। তাঁদের ৬ ওভারে তারা তুলেছিল মাত্র ১৩ রান। পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও বেনেট, শর্ট লেংথে পেয়ে প্রথম বলে মারেন ছক্কা। পরে রাজা মেরেছেন আরেকটি। শেষ পর্যন্ত রিশাদের তৃতীয় ওভারে এসেছে ১৬ রান।
১১ ওভারে ৭৮/১। ৫৪ বলে দরকার ৮০ রান।
বেনেটের ৫০
মোস্তাফিজের বলে লেগ সাইডে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করলেন বেনেট। লাগল ৩৬ বল। শুরুটা ঝোড়ো করেছিলেন, মাঝে গতি কমে আসে। অধিনায়ক রাজার সঙ্গে এগোচ্ছেন এখন। ১২ ওভারে ৮৭/১
সাকিব ১/৯
৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান দিলেন সাকিব। ১৪তম ওভারেই শেষ সাকিবের কোটা। ক্রিজে দুই ডানহাতির বিপক্ষে স্পিনার হিসেবে নাজমুলের হাতে থাকলেন মেহেদী।
১৪ ওভারে ১০৩/১।
বোলিংয়ে সৌম্য, ভুগছেন রাজা
দুই ডানহাতির বিপক্ষে অফ স্পিনার মেহেদীকে আনার ঝুঁকি নেননি নাজমুল। আনা হয়েছে সৌম্যকে। প্রথম বলে ছক্কা মেরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন বেনেট। রাজা এরপর হাতছাড়া করেছেন সৌম্যর ফুলটসে বাউন্ডারির সুযোগ। জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক ক্র্যাম্পে পড়েছেন আগেই। সৌম্যর ওভারে এসেছে ১০ রান।
৩০ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ৪৫ রান।
থামলেন বেনেট
রাজা ভুগছেন। রান-বলের পার্থক্যটা কমাতে দায়িত্বটা নিতে হয়েছিল বেনেটকে। সাইফউদ্দিনের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন ৪৯ বলে ৭০ রান করে। ২৯ বলে দরকার ৪৫ রান।
ফেবারিট জিম্বাবুয়ে
২৪ বল, ৩২ রান। জিম্বাবুয়ের সমীকরণ এখন। সাইফউদ্দিনের করা ১৩তম ওভারে এসেছে ১৩ রান। অবশ্য শেষ ৪ ওভারের মধ্যে মোস্তাফিজের বাকি ২টি।
রাজার ফিফটি
মোস্তাফিজকে পুল করে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি পেলেন রাজা, আগের ৬ ইনিংসে যিনি করেছিলেন মাত্র ৩৯ রান। ফর্ম ফিরে পেতে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক বেছে নিলেন দলের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ সময়। মোস্তাফিজের ওভারে এসেছে ৮ রান। ১৮ বলে দরকার ২৪।
সাইফউদ্দিনের ওভারে ১৯, জিম্বাবুয়ের দরকার ৫
সাইফউদ্দিনের প্রথম ৩ বলে ৩ রান। চতুর্থ বলটি ছিল স্লোয়ার। রাজা আগেভাগেই সেটি পড়ে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মেরেছেন ৯৯ মিটার ছক্কা। পরের বল ছিল ফুললেংথে। এবার এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। প্রয়োজনীয় রান তাতে কমে এসেছে বাকি থাকা বলের সংখ্যার চেয়ে। শেষ বলে পুল করে রাজা মেরেছেন আরেকটি চার। সাইফউদ্দিনের করা ১৮তম ওভারে এসেছে ১৯ রান। ম্যাচ কার্যত শেষ এখানেই।
৮ উইকেটের বড় জয়ে জিম্বাবুয়ের ‘সান্ত্বনা’
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৭/৬
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৮/২
ফল: জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে জয়ী
৫ রান দরকার, মোস্তাফিজকে আর আনেননি নাজমুল। অফ স্পিনার মেহেদীর প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচ টাই করেন ক্যাম্পবেল। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিশ্চিত করেন ৮ উইকেটের জয়। রাজা অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৭২ রানে।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়েকে ভালো শুরু এনে দেন ব্রায়ান বেনেট। পাওয়ারপ্লেতে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও বাংলাদেশ পরের উইকেটের দেখা শিগগির পায়নি। রাজা ও বেনেটের ৭৫ রানের জুটি গড়ে দেয় ভিত। রাজা শুরুতে সময় নিলেও পরে তা পুষিয়ে দেন দারুণভাবে। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিয়েছেন। হয়ত বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই ছিল তাঁর শেষ ম্যাচ।
এর আগে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো একটা স্কোর এনে দিয়েছিলেন পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ। ফিফটি করেছিলেন তিনি। কিন্তু টপ অর্ডারেই জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেছে দুটি ফিফটি, দুটি বড় ইনিংস। টি-টোয়েন্টির নিয়ম মেনে তাই জয়ী দলের নাম জিম্বাবুয়েই।
আর ধবলধোলাই করতে এসে উল্টো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রশ্নগুলো আরও বড় হয়েছে শেষ ম্যাচে এসে। বিশ্বকাপের আগের সিরিজের ফল বলবে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তাতে অতৃপ্তির পাল্লাই যেন ভারি, যাতে যুক্ত হলো আজকের হার।
বলছেন জিম্বাবুয়ে
অধিনায়ক হয়ত আরও ২-১টি ম্যাচ জিততাম। তবে আমাদের দলটা তরুণ। শেষ পর্যন্ত একটা জয় নিয়ে যেতে পারছি। আগেও বলেছিলাম, দলে আমি অবদান রাখতে পারছিলাম না। আলহামদুলিল্লাহ। আজ পেরেছি। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও আমি অনেক গর্বিত দলকে নিয়ে।
ম্যাচসেরা বেনেট
সিরিজসেরা তাসকিন
৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আজ চোটের কারণে খেলেননি এ পেসার।
উন্নতির সুযোগ দেখেন নাজমুল
যেভাবে সিরিজ খেলেছি, তাতে (মনে হয়েছে) অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা আজ ভালো শুরু করেছি। তবে মাঝে ভালো করেছি। বিশ্বকাপে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিব।