ভারতকে সিরিজ হারের যন্ত্রণা দিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া
আইপিএল শুরুর আগে এটিই ছিল ভারতের শেষ ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ঝালাই করে নেওয়ার ভালো সুযোগই ছিল হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজাদের সামনে। বিশেষ করে, লক্ষ্যটা যখন ছিল শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৬ রানের। কিন্তু চেন্নাইয়ের রাতটা ভারতের ছিল না!
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৯ রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মার দল ৪৯.১ ওভারে অলআউট ২৪৮ রানে!
২১ রানে হেরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও হেরেছে রোহিত শর্মার দল। এ নিয়ে ভারতের মাটিতে দশম একাধিক ম্যাচের সিরিজ খেলে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজ জয়ের সুবাদে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুইয়ে নেমে গেছে ভারত।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে বড় অংশজুড়ে জয় দেখছিল ভারত। রান তাড়ার শুরুতে ওভারপ্রতি দরকার ছিল সাড়ে পাঁচ রানের কিছু বেশি। রোহিত শর্মা ও শুবমান গিলের উদ্বোধনী জুটি ৯ ওভারেই এনে দেয় ৬৫ রান।
ভালো শুরুর পর দুজনই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিন ওভারের মধ্যে। রোহিত (১৭ বলে ৩০) শেন অ্যাবটের বলে আর শুবমান (৪৯ বলে ৩৭) অ্যাডাম জাম্পার বলে। তৃতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের ধারা বজায় রাখেন বিরাট কোহলি। রাহুলকে অ্যাবটের ক্যাচ বানিয়ে ৬৯ রানের জুটিটি ভাঙেন জাম্পা।
তবে কোহলি ছিলেন বলে ভারত জয়ের পথে ছিল ভালোমতোই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৫তম ফিফটি তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হুমকি হয়ে খেলছিলেন সাবেক অধিনায়ক।
৩৬তম ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন অ্যাস্টন অ্যাগার। ৭২ বলে ৫৪ রান করা কোহলি অ্যাগারকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং অফে। পরের বলে বোল্ড হন সূর্যকুমার যাদব। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল্ডেন ডাক সূর্যকুমারের।
অ্যাগারের জোড়া উইকেটে উজ্জীবিত অস্ট্রেলিয়া ভারতকে আর ম্যাচে ফিরতে দেয়নি। পান্ডিয়া, জাদেজাদের মতো ব্যাটসম্যানও হিমশিম খেয়েছেন জাম্পা, অ্যাগারদের স্পিনে।
পরপর দুই ওভারে পান্ডিয়া (৪০ বলে ৪০) আর জাদেজাকে (৩৩ বলে ১৮) তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে নিয়ে যান জাম্পা। ৪৫ রানে ৪ উইকেট ম্যাচসেরাও এই লেগস্পিনার।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ছাড়া আর কেউ এক অঙ্কের ঘরে আউট হননি। প্রথম আটজনের সাতজনই কমপক্ষে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন।
তবে একজনও পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৪৭ রান মিচেল মার্শের। এ ছাড়া অ্যালেক্স ক্যারি ৩৮, ট্রাভিস হেড ৩৩ ও মারনাস লাবুশেন ২৮ রান করেন।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদব। তবে ভারতের জয়ের জন্য তাদের বেশি দরকার ছিল ব্যাট হাতে, যেখানে ছড়ি ঘুরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনাররা। প্রথম ম্যাচ হেরেও টানা দুই জয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছেন স্মিথরা।