বিসিবিতে বহিরাগতদের আনাগোনায় অস্বস্তি
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে চলছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলন। ক্রিকেটারদের কয়েকজন ফিল্ডিং অনুশীলন করছিলেন। ব্যাটিং–বোলিং অনুশীলন চলছিল ইনডোরে। তাসকিন আহমেদ সেখান থেকে ফিরছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। ততক্ষণে গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে জড়ো হয়েছেন একদল বহিরাগত মানুষ। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের কয়েকজন তাসকিনের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেন।
বহিরাগতদের আরেকটি দলকে দেখা গেল স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটের ভেতরে। যিনি যেভাবে পারছেন, স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়ছেন। বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীদের চোখেমুখে অসহায়ত্ব। পরে তাঁদের একজন বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে তারা দলবল নিয়ে ঢুকে পড়ে। কিছু বলা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ আগে নিজেদের মধ্যে আবার ঝগড়াও করছিল। বিসিবি থেকে কাউকে আটকানোর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
হঠাৎ বিসিবিতে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে ক্রিকেটাররা। নিরাপত্তাহীনতাও আছে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও বহিরাগতদের আগমনে ক্রিকেটারদের অস্বস্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আগেও দেখেছি, যখন ক্ষমতার পালাবদল হয়, তখন এমন হয়। আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছি। সারা দেশে কিন্তু পরিস্থিতি একটু অনিশ্চিত। আমরা আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে সারা দেশ যেমন স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে, ক্রিকেট বোর্ডেও স্বাভাবিক গতিতে চলবে।’
আজ বহিরাগতরা বিসিবিতে আসার আগেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টহল দিয়ে গেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। নাফীস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আর্মির যে প্যাট্রল টিম আছেন, ওনারা ৬ আগস্ট থেকে আমাদের এখানে একবার ঘুরে যান। এটা তাঁদের রুটিনওয়ার্ক। নিরাপত্তার কোনো হুমকির জন্য নয়। তাঁরা যেভাবে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন, এটা সেটারই একটা অংশ।’