‘শহর থেকে শহরে’ ঘোরা ইংল্যান্ডের চেয়ে ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন ব্রড
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের মতে, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতবে ইংল্যান্ড। যুক্তি হিসেবে জস বাটলারের দলের টপ ও মিডল অর্ডারে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি, দুই-তিনজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আর অভিজ্ঞ পেসারদের উপস্থিতির কথা বলেছেন গাভাস্কার।
তবে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ব্রড বাটলারদের এগিয়ে রাখতে পারছেন না। এ বছর অ্যাশেজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই পেসারের মতে, নিজেদের মাটিতে ভারতই শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার। ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে রাখার অন্যতম কারণ লিগ পর্বে তাদের ভ্রমণঝক্কি।
১০ দলের বিশ্বকাপে প্রতিটি দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে মোট ৯টি ম্যাচ খেলবে। বিশ্বকাপের সূচিতে ইংল্যান্ডের লিগ পর্বের ৯ ম্যাচ রাখা হয়েছে ৮টি ভেন্যুতে। এর মধ্যে যে একটি ভেন্যুতে (আহমেদাবাদে) দুটি ম্যাচ রাখা হয়েছে, তাও পরপর নয়। একটি ৫ অক্টোবর, আরেকটি ৪ নভেম্বর। আবার প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যুও ভিন্ন। অর্থাৎ লিগ পর্বের ৯টি ম্যাচ খেলার জন্য প্রতিবারই এক শহর থেকে আরেক শহরে দৌড়াতে হবে বাটলারদের।
এই শহর থেকে শহরে দৌড়ানোর ঝক্কি ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ওঠার পথকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করেন ব্রড। ডেইলি মেইলে লেখা কলামে সাবেক এই ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘আমি অজুহাত দিচ্ছি না, তবে সত্যি বলতে ইংল্যান্ডের জন্য সূচিটা কঠিন হয়ে গেছে। একই জায়গায় একসঙ্গে দুই ম্যাচ নেই। এর বদলে শহর থেকে শহরে ভ্রমণ করতে হবে। অন্য দলগুলোর এক শহরে এক সপ্তাহ অবস্থান করে দুটি ম্যাচ খেলার বিলাসিতা আছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের নেই।’
তবে টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে বলে ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে না উঠলে তা হতাশারই কারণ হবে বলে মনে করেন ব্রড।
বাটলারদের ফাইনালে আশা করলেও রোহিতদের দুটি কারণে শিরোপার বড় দাবিদার মনে করছেন ব্রড। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের তুলনা টেনে ব্রড লিখেছেন, ‘বাটলাররা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং দল। বড় রান তোলার সামর্থ্য আছে। তবে স্বাগতিক এবং ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে ভারতই মোকাবিলার জন্য সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ।’
ভারত ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনালে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে দেখছেন ব্রড। পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখার কারণ, শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফে গড়া বোলিং-আক্রমণ এবং ব্যাটিংয়ে বাবর আজমের উপস্থিতি। আর অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখার যুক্তি হিসেবে বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড সব সময়ই টুর্নামেন্টের দল।’
৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রডের ইংল্যান্ড।