বাংলাদেশে স্বপ্নপূরণ আফগানিস্তানের ‘নতুন মুজিবে’র
বয়স ১৮। অভিজ্ঞতাও তেমন নেই। তবে কী করতে পারেন, তা তো গতকালের বাংলাদেশের ম্যাচেই স্পষ্ট। আল্লাহ গজনফর শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২৬ রানে ৬ উইকেট।
সবচেয়ে বড় বিষয়, বাংলাদেশের ‘নামীদামি’ ব্যাটসম্যানেরা ছেলেটির সামনে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছেন, তাতে গজনফরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর সেই স্বপ্নপূরণে আফগানিস্তানের ‘নতুন মুজিব’ কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই তারকা রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীকে।
শারজায় গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট নেন গজনফর। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফেরানোর পর গজনফর নিয়েছেন বাংলাদেশের শেষ সাত উইকেটের পাঁচটি। ৩৩তম ওভারেই ফিরিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে।
রিশাদ ও তাসকিন তো পরপর দুই বলে আউট হয়েছেন। চলতি বছরের মার্চে অভিষেক হওয়া গজনফর এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৫টি, উইকেট পেয়েছিলেন ৪টি। প্রথম ৫ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট, স্বপ্নপূরণের প্রসঙ্গ আসাই তো স্বাভাবিক।
ম্যাচ শেষে গজনফর তাঁর স্বপ্নপূরণের কথা বলেছেন এভাবে, ‘প্রথম স্পেলে যখন বোলিং করতে আসি, ছন্দ ভালোই ছিল। একটি উইকেট পাই। কিন্তু ওই উইকেট পাওয়ার পর ভালো বোলিং করতে পারিনি। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে শক্তিশালী হয়ে ফেরার কথা চিন্তা করেছি এবং আমি তা পেরেছি। চেষ্টা করেছি, দলের জয় আনতে পেরেছি। দলের হয়ে ৫-৬ উইকেট নেওয়া যেকোনো বোলারের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন ছিল, যেটা আজ পূরণ হয়েছে।’
আফগান ক্রিকেট দলে রশিদ-নবী খেলছেন দীর্ঘদিন। রশিদ তো অন্যতম সেরা স্পিনারই। নিয়মিত পারফর্ম করেন নবীও। গতকালও খেলেছেন ৮৪ রানের ইনিংস। বল হাতে দুজন নিয়মিত গজনফরকে পরামর্শ দেয়, ‘রশিদ ও নবীর ভূমিকা আমার বোলিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা সব সময় আমাকে কার্যকর পরামর্শ দেন, যা ম্যাচে ভালো ফল এনে দেয়।’