আর্চারের বিধ্বংসী বোলিং দেখে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাতে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স
‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছি। আর্চারের বোলিং স্পেল শেষ হলে আমাকে জানিয়ো!’ এটা দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের টুইট। জফরা আর্চারের বলে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের আত্মসমর্পণ দেখতে পারছিলেন না বলেই হয়তো এমন টুইট করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স! গতকাল কিম্বার্লিতে ফর্মে থাকা প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ধসিয়ে দিয়েছিলেন আর্চার।
নিয়েছেন ৪০ রানে ৬ উইকেট। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন আর্চার। ওয়ানডে ক্রিকেটেও প্রথমবার পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন। আর্চারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৫৯ রানে।
চোটের হতাশা পেছনে ফেলে এই সিরিজ দিয়ে ৬৫৮ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন আর্চার। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ১ উইকেট নিতে রান দিয়েছিলেন তিনি ৮১। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলা হয়নি। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়ে আর্চার আবারও জানান দিলেন তাঁর সামর্থ্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনকেই ফিরিয়েছেন আর্চার। ৩৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২৫ ওভার ঠিক পথেই ছিল টেম্বা বাভুমার দল। ২৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ১৫৬/৩। এরপর জোড়া আঘাত হানেন আর্চার।
পরপর দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন মার্করাম (৩৯) ও ডেভিড মিলারকে। সপ্তম উইকেটে ওয়েন পার্নেলের সঙ্গে জুটি গড়েন হেনরি ক্লাসেন। তবে ক্লাসেনের বিদায়ে ৫৪ বলে ৮৫ রানের জুটি ভাঙার পর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুই ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়েছেন আর্চারই।
গতকাল শর্ট বল করেই বেশি সফল হয়েছেন আর্চার। এই পেসার ৯ ওভার ১ বলের মধ্যে ২৮টি বলই করেছেন শর্ট লেংথে, যেখানে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় অংশের নায়ক যদি হন আর্চার, তবে তাদের ব্যাটিং ইনিংসের নায়ক জস বাটলার ও ডেভিড ম্যালান। ১৪ রানেই নেই ৩ উইকেট হারানোর পর দুজন মিলে গড়েছেন ২৩২ রানের মহাকাব্যিক জুটি, যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও এটা কোনো দলের চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ম্যালান খেলেন ১১৪ বলে ১১৮ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছয়। বাটলারের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৭টি ছয়, ১২৭ বল খেলে করেন ১৩১ রান। ম্যাচ এবং সিরিজসেরাও হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার লুঙ্গি এনগিডি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ইংলিশদের তিন দফা ধাক্কা দেওয়ার পর ইনিংসের শেষ দিকে ভয়ংকর হয়ে ওঠা মঈন আলীকেও ফেরান এই পেসার।