ওয়ানডেতে টানা ৩ সেঞ্চুরির পরও যেখানে ফখরের খুঁত দেখছেন রমিজ

ফখরের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন রমিজছবি : এএফপি

লক্ষ্যটা বড়ই ছিল—৫০ ওভারে পাকিস্তানকে করতে হতো ৩৩৭ রান। ফখর জামানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এ লক্ষ্যকেও খুব বড় মনে হয়নি। ১৭টি চার ও ৬টি ছয়ে ১৪৪ বলে ১৮০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে ১০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতিয়েছেন ফখর।

শুধু এই অপরাজিত ১৮০ রানই নয়, ফখর সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ানডেতে তাঁর আগের দুই ম্যাচেও। নিউজিল্যান্ডেরই বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয়ে খেলেছেন ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংস। তার আগের ম্যাচে জানুয়ারিতে পাকিস্তান না জিতলেও এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ১২২ বলে করেছিলেন ১০১ রান।

ওয়ানডেতে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করার পরও ফখরের ব্যাটিংয়ে কিছুটা ‘খুঁত’ খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ও বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজা। কিছু জায়গায় ফখরের উন্নতি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন রমিজ।

ফখরের ব্যাট তাঁর হয়ে কথা বলছে
ছবি : এএফপি

কোন সেই জায়গা, যেখানে ফখরকে উন্নতি করতে হবে? শোনা যাক রমিজ রাজার কণ্ঠেই, ‘ফখরকে শর্টপিচ বল নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে শর্টপিচ বোলিংয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে তাকে। (আগের ম্যাচগুলোয় যেমন দেখা গেছে) সে পুল শট খেলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ঠিকভাবে পারেনি।’

আরও পড়ুন

এই খুঁতের কারণেই একটা ঘটনা ফখরের ক্যারিয়ারে অনেকবার ঘটতে দেখা গেছে বলেও মনে করেন রমিজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধানের কথা, ‘আমি তার ক্যারিয়ারে অনেকবারই দেখেছি যে বল হেলমেটে আঘাত করেছে। এই জায়গায় তাকে ইতিবাচক হতে হবে।’

রমিজ এখানেই থামেননি। কীভাবে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবেন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন ফখরকে, ‘হয় তাকে নির্দিষ্ট ওই ডেলিভারি এড়িয়ে যেতে হবে অথবা যত বেশি সম্ভব পুল শট অনুশীলন করতে হবে।’

আরও পড়ুন

ফখর তাঁর ক্যারিয়ারে ৬৭টি ওয়ানডে খেলে ৪৯.৭০ গড়ে ৩০৮২ রান করেছেন। ১৫টি ফিফটি ও ১০টি সেঞ্চুরি করা ফখরের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস অপরাজিত ২১০ রানের। যেটা করেছিলেন ২০১৯ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে। পাকিস্তানের হয়ে ফখর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৭৬টি, ২১.৭১ গড়ে করেছেন ১৪৩৩ রান। আর তিনটি টেস্ট খেলে দুটি ফিফটিতে করেছেন ১৯২ রান, গড় ৩২।