শ্রেয়াস ফিরলেও বাংলাদেশকে হতাশ করছেন অশ্বিন-কুলদীপ
প্রথম দিন শেষে চেতেশ্বর পূজারা বলেছিলেন, ৩৫০ রানের স্কোর চট্টগ্রামের এ উইকেটে ভালোই। সকালে শ্রেয়াস আইয়ার থামলেও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে সেটি প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত।
দ্বিতীয় দিন ৭ উইকেটে ৩৪৮ রানের সংগ্রহ নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে তারা। এখন পর্যন্ত দিনের একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন ইবাদত হোসেন।
এ উইকেটে সময়ের সঙ্গে ব্যাটিং কঠিন হবে, পূজারা বলেছিলেন এমন। সে হিসেবে ভারতের এমন সংগ্রহ, অষ্টম উইকেটে এমন জুটি বাংলাদেশকে তীব্রভাবেই বিদ্ধ করার কথা। এখন পর্যন্ত অশ্বিন ও কুলদীপের জুটিতে উঠেছে ৫০ রান। অশ্বিন অপরাজিত আছেন ৪০ রানে, কুলদীপ ব্যাটিং করছেন ২১ রানে।
৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ভারত। বাংলাদেশের দিনটা অবশ্য শুরু হয় আক্ষেপ নিয়েই। রিভিউ কাজে আসেনি, পড়েছে ক্যাচ। অবশেষে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইবাদত। দিনের অষ্টম ওভারে তাঁর লাইন ধরে রাখা বলটি ফাঁকি দেয় শ্রেয়াস আইয়ারের রক্ষণ, সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতেই ভারত ব্যাটসম্যান হন বোল্ড।
আগের দিন ইবাদতই ফেলেছিলেন শ্রেয়াসের সহজতম ক্যাচ, ইবাদতের বল স্টাম্পে লাগলেও বেঁচে গিয়েছিলেন বেল না পড়াতে। আজ সেই ইবাদতের বলেই আরেকবার বেঁচে যান ডিপ ফাইন লেগে লিটন ক্যাচ ফেলায়। শ্রেয়াস তবুও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ৪ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি।
শ্রেয়াসকে ফিরিয়ে আরেকবার ভারতকে আগেভাগেই আটকে দেওয়ার সম্ভাবনা ভালোভাবেই তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে অশ্বিন ও ‘প্রমোশন’ পাওয়া কুলদীপ হতাশ করে গেছেন স্বাগতিকদের। মুখোমুখি ১৯তম বলে গিয়ে প্রথম রান করা কুলদীপ পরে তাইজুলকে চার মেরেছেন রিভার্স সুইপ করে।
টেস্টে ৫ সেঞ্চুরির মালিক অশ্বিন অবশ্য খেলেছেন তাঁর ব্যাটিং সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েই। দিনে ভারতের প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনিই। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন মিরাজকে। দেখেশুনে খেলেছেন, তবে আলগা বল পেলে রান করার সুযোগ ছাড়েননি।
আগের দিন রিভিউ নিয়ে একটি উইকেট পাওয়ার সুযোগ হারানো বাংলাদেশ আজ সকালেই হারায় দুটি রিভিউ। ইবাদতের বলে অশ্বিন ও পরে খালেদের বলে কুলদীপের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিলেও সফল হয়নি কোনোটিই। লাঞ্চের আগে অশ্বিনের বিপক্ষে হয়েছিল আরেকটি রিভিউ। তবে তাইজুলের বলটি লেগ স্টাম্প শুধু ছুঁয়ে যেত, বল ট্র্যাজেকটরি এমন দেখানোয় সফল হয়নি সেটিও। আম্পায়ার্স কল হওয়াতে অবশ্য শেষ রিভিউটি অক্ষতই আছে।
ভারত আবার সকালে পেয়েছে ৫টি পেনাল্টি রান। ইয়াসির আলীর থ্রো এসে মাটিতে থাকা হেলমেটে সরাসরি আঘাত করাতেই এই পেনাল্টি।