যেভাবে ৫৮ বলে ১৪৯ রান করে জিতল যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫ রানের লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো কন্ডিশন আর উইকেটেই এই রান তাড়া করা কঠিন। তবে ডালাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে কঠিন এ কাজটাই খুব সহজে করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রান তাড়া করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসের ৮ ওভার শেষে তো কঠিন কাজটা মহাকঠিনই হয়ে গিয়েছিল। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ৮ ওভারে ৪৮ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। তখন জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ৭২ বলে ১৪৭ রান।
ম্যাচটা তখন পুরোই হেলে ছিল কানাডার দিকে। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতেছে মোনাঙ্ক প্যাটেলের দল। আর সেটা করতে ৭২ বলও লাগেনি তাদের। মুখোমুখি হওয়া শেষ ৫৮টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ১৪৯ রান তুলেছে তারা।
বলা যায় ৮ ওভারের পর থেকে অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিস গুস ডালাসে কানাডা দলের ওপর দিয়ে রীতিমতো হ্যারিকেন বইয়ে দেন। আর এই ঝড়ের শুরুটা হয় ১৯ রানের একটি ওভার দিয়ে। স্পিনার নিখিল দত্ত ইনিংসের নবম ওভারে দুই ছক্কায় ১৯ রান দেন।
পরের ওভারে কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফর দেন ১৪ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারে ডিলন হেইলিগার খরচ করেন ১১ রান। আর পরের ওভারে স্পিনার পরগাত সিং দেন ১৫ রান। সেই সময় শেষ ৮ ওভারে ৮৯ রান প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
পরের দুই ওভারেই মূলত খেলা শেষ করে দেন জোন্স ও গুস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে সাদের এক ওভারে জোন্সের ৩ ছক্কায় রান ওঠে ২০। পরের ওভারে পেসার জেরেমি গর্ডন দেন ৩৩ রান। সেই ওভারে গর্ডন বল করেন ১১টি। ৩টি ওয়াইডের সঙ্গে দেন দুটি নো বল।
তৃতীয় বলে গুস আউট হন, তবে সেটি ছিল নো বল। সেই ওভারে ৩ ছক্কা ও ২টি চার মারেন জোন্স ও গুস। এই ঝড়ের পর শেষ ৬ ওভারে মাত্র ৩৬ রানের সহজ সমীকরণ দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। এরপর কানাডা টানা তিনটি ওভার ১০ রানের নিচে রাখলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম বলে চারের পর টানা দুই ছক্কা মেরে যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যাচ জেতান জোন্স। ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।