বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচনে অপরাজনীতির অভিযোগ
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ভারতে হওয়া ২৯ ম্যাচের তিনটি ভেন্যুর একটি ছিল পাঞ্জাবের মোহালি স্টেডিয়াম। এক যুগ পর এবার এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। তবে এবারের আসরে কোনো ম্যাচই পায়নি সেই মোহালি।
ইন্দোর ও নাগপুরের মতো ভেন্যুগুলোও পায়নি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ। এসব স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের ম্যাচ না পাওয়ার পেছনে অপরাজনীতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতের অভ্যন্তরে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের দাবি, বিশ্বকাপ ভেন্যু হওয়ার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি স্টেডিয়ামগুলো।
বিশ্বকাপের ১০০ দিন আগে গতকাল বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করা হয়। এবারের বিশ্বকাপের শুরু ৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, ১৯ নভেম্বরের ফাইনালও একই মাঠে। দর্শক ধারণক্ষমতায় এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, একসঙ্গে খেলা দেখতে পারেন এক লাখের বেশি মানুষ। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যু ছিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।
এবার সেখানে একটি সেমিফাইনাল রাখা হয়েছে। আরেকটি সেমিফাইনাল হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। এ ছাড়া পুনে, লক্ষ্ণৌ, ধর্মশালাসহ সব মিলিয়ে মোট ১০টি মাঠে হবে বিশ্বকাপের ৪৮টি ম্যাচ। এই ১০ ভেন্যুর মধ্যে মোহালির মতো প্রতিষ্ঠিত ভেন্যু না থাকায় পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমিত সিং অপরাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে পাঞ্জাবের মোহালিকে বিশ্বকাপের ভেন্যু তালিকায় রাখা হয়নি। পাঞ্জাব সরকার বিষয়টি বিসিসিআইয়ের সামনে তুলবে।’
ভারতের কংগ্রেস পার্টির এমপি শশী থারুরও বিসিসিআইয়ের ভেন্যু নির্বাচনের সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, পাঞ্জাবের পাশাপাশি ঝাড়খন্ডেও ম্যাচ রাখার দরকার ছিল, ‘অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। তারা টুর্নামেন্টটা আরও প্রসার করতে পারত। থিরুভানান্থাপুরাম, মোহালি , রাঁচিতে ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুর চার-পাঁচ ম্যাচ পাওয়া জরুরি নয়। বিসিসিআই এটা ভুল করেছে।’
তবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজীব শুক্লা। তাঁর দাবি, বিশ্বকাপের ভেন্যু ঠিক করার পেছনে আইসিসিরও ভূমিকা আছে। রাজীব শুক্লা বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের জন্য ১২টি (অনুশীলন ভেন্যুসহ) মাঠ ঠিক করা হয়েছে। গত বছরে বিরাট কোহলির ১০০তম টেস্ট ম্যাচ মোহালিতে দেওয়া হয়েছিল। মুল্লানপুর স্টেডিয়াম এখনো প্রস্তুত হচ্ছে। যদি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুত থাকত, বিশ্বকাপের ম্যাচ মোহালি পেত। মোহালির বর্তমান স্টেডিয়াম আইসিসির মানদণ্ড পূর্ণ করতে পারেনি। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ তাদের দেওয়া হবে। এটা একটা চক্রাকার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। বিশ্বকাপের ভেন্যু হতে আইসিসির অনুমতি জরুরি।’