- তৃতীয় দিনে স্বাগত!
- ফারভিজ মাহরুফের দ্বৈত ভূমিকা
- বৃষ্টি ছাড়া কে ঠেকাবে বাংলাদেশের জয়
- মুমিনুল হতে পারবেন নাজমুল?
- ৪০০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
- জাকিরের রানআউটে ভাঙল জুটি
- নিজাত মাসুদের সাক্ষাৎকার
- নাজমুলের জোড়া সেঞ্চুরি
- ফিফটি জুটি
- নাজমুলময় সেশনে আরও বড় লিডের পথে বাংলাদেশ
- নাজমুল দেখিয়ে দিলেন
- কত রানে থামবে বাংলাদেশ?
- আরেকটি রেকর্ড
- অবশেষে থামলেন নাজমুল
- নাজমুলের পর নেই মুশফিকও
- মুমিনুলের ফিফটি
- টার্ন আর বাউন্স
- লিটনের তিন চার
- এবার ৬০০ রানের লিড
- মুমিনুলকে অপেক্ষায় রেখে চা-বিরতিতে গেল বাংলাদেশ
- লিটনের ফিফটি
- অনেক অপেক্ষার সেঞ্চুরি মুমিনুলের
- রেকর্ড
- আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
- রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের
- প্রথম বলেই নেই ইব্রাহিম
- প্রথম ওভারে সফল তাসকিনও
- দুই দিকেই স্পিনার
তৃতীয় দিনে স্বাগত!
৩৭০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনো বাকি ৯ উইকেট। অপরাজিত থেকে আজ দিন শুরু করবেন নাজমুল হোসেন ও জাকির হাসান। আজই কি মিলবে মিরপুর টেস্টের ফল?
তৃতীয় দিনের প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
ফারভিজ মাহরুফের দ্বৈত ভূমিকা
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্টে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন সাবেক শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চলমান সেই খেলা বাদ দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সাদা বলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে কী করছেন?
বৃষ্টি ছাড়া কে ঠেকাবে বাংলাদেশের জয়
এই টেস্টের আগে পেস-পেস বলে যে রব উঠেছিল, এখন পর্যন্ত সেটির যথার্থ প্রতিফলন ঘটছে ম্যাচে। আফগানিস্তানের সেরা বোলার একজন পেসার। বাংলাদেশেরও তা-ই। চার-চারবার স্যালুট পেল আফগানিস্তান। এর মানে কি বুঝিয়ে বলতে হবে? উইকেট পাওয়ার পর ইবাদত হোসেনের ট্রেডমার্ক উদ্যাপন তো এত দিনে সবার পরিচিতই। পঞ্চম স্যালুটটা আর দিতে পারেননি দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ শেষ ৩টি উইকেট নিয়ে নেওয়ায়।
মুমিনুল হতে পারবেন নাজমুল?
৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন নাজমুল। দ্রুতই ৭০ পেরিয়ে গেছেন তিনি। সর্বশেষ ইয়ামিন আহমেদজাইকে মেরেছেন টানা দুটি চার। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবারও তিন অঙ্কের দেখা পাবেন এ বাঁহাতি?
৪০০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
আমরা সারা দিন ব্যাটিং করতে চাই। দেখতে চাই এমন কন্ডিশনে কী করি। আর এটি একমাত্র টেস্টও।
বাংলাদেশ কোচের কথাতেই স্পষ্ট, শিগগির ইনিংস ঘোষণা করার কথা ভাবছে না স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ৪০০ পেরিয়ে গেছে। ১৪৭ রানে অবিচ্ছিন্ন নাজমুল-জাকিরের জুটি। গতকাল সকালে আফগানিস্তানের যেমন রঙিন সকাল কেটেছিল, আজ ঠিক তেমন কিছু হয়নি এখন পর্যন্ত। বরং হয়েছে উল্টোটাই। প্রথম ৫ ওভারে, প্রথম ৩০ মিনিটে উঠেছে ৩১ রান।
জাকিরের রানআউটে ভাঙল জুটি
যেভাবে খেলছিলেন, তাতে হয়তো এ ছাড়া এ জুটি ভাঙতও না! জাকির হাসান হলেন রানআউট।
থার্ডম্যানে খেলেছিলেন জাকির, তবে চেয়েছিলেন তৃতীয় রান নিতে। ডিপে নাসির জামালের দারুণ ফিল্ডিংয়ের পর ইব্রাহিম জাদরানের রিলে করা থ্রো যতক্ষণে স্ট্রাইক প্রান্তে উইকেটকিপার আফসার জাজাইয়ের কাছে পৌঁছেছে, জাকির ক্রিজের বেশ বাইরেই তখন। ডাইভ দিয়েছিলেন, তবে শেষরক্ষা হয়নি তাঁর। জাকিরের রানআউটে ভাঙল ১৭৩ রানের জুটি। জাকিরকেও হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরি, তবে ৭১ রানেই থামতে হলো তাঁকে।
নিজাত মাসুদের সাক্ষাৎকার
এই টেস্টে যে ৫ উইকেট নিলেন, তার মধ্যে মুশফিকুর রহিমের উইকেটটাই কি বেশি তৃপ্তি দিয়েছে? মুশফিক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, বলটাও ছিল দুর্দান্ত...
নিজাত: মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের অনেক বড় খেলোয়াড়। অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রায় ১০০টি (৮৬টি) টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। সব সংস্করণেই অনেক বছর ধরে খেলছেন, অনেক ভালো ভালো ইনিংস খেলেছেন। মুশফিকের মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়াটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের ব্যাপার।
নাজমুলের জোড়া সেঞ্চুরি
একই উদ্যাপন। উপলক্ষ্যও একই—সেঞ্চুরি!
এ টেস্টের প্রথম দিন, গত পরশু, ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন। আজ পেলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হয়ে গেলেন নাজমুল। এর আগে এ কীর্তি যাঁর ছিল, সেই মুমিনুল হক ক্রিজে থেকেই সাক্ষী হলেন এটির।
প্রথম ইনিংসে নাজমুলের সেঞ্চুরিতে যেতে লেগেছিল ১১৮ বল। আজ প্রয়োজন হলো ১১৫ বল। হাশমতউল্লাহর বলে লেগ সাইডে খেলে সিঙ্গেল নিয়ে হেলমেট খুলেছেন, এরপর দিয়েছেন লাফ। এরপর এসেছে ব্যাটে ভরে করে দেওয়া উড়ন্ত চুমু।
এখন পর্যন্ত নাজমুল মেরেছেন ১৩টি চার। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রান করতে ২৩টি চারের সঙ্গে মেরেছিলেন দুটি ছক্কা।
৫৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন নাজমুল। প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগ করেছিলেন ২১২ রান। এবার জাকির হাসানের সঙ্গে যোগ করেছেন ১৭১ রান।
এখন মুমিনুলকে নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের ৪০তম ওভারশেষে বাংলাদেশের লিড ৪৫০ রান।
উড়ছেন নাজমুল
ফিফটি জুটি
মুমিনুল হক প্রথম ইনিংসে বড় স্কোরের সুযোগ হারিয়েছিলেন, সেটি বলাই যায়। এবার বড় করতে পারবেন ইনিংস? আপাতত ৩৩ রানে অপরাজিত তিনি। নিজাত মাসুদের করা ৪৭তম ওভারে মুমিনুল মেরেছেন দুটি চার। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ রান উঠে গেছে। ৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের লিড ৪৮২ রান। মধ্যাহ্নবিরতির বাকি ৫ মিনিট।
নাজমুলময় সেশনে আরও বড় লিডের পথে বাংলাদেশ
মধ্যাহ্নবিরতি, বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫/২, ৪৯১ রানের লিড
গতকাল সকালে মাত্র ২০ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তৃতীয় দিন সকালে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। আফগান বোলাররাও একরকম অসহায় আত্মসমর্পণই করেছেন। এ সকালটা নাজমুলময়। টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পর তিনি অপরাজিত ১১২ রানে, তাঁর সঙ্গী মুমিনুল হক ব্যাটিং করছেন ৪৩ রান নিয়ে। ৪৯১ রানে এগিয়ে থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ তুলেছে ১২১ রান।
টেস্টের তৃতীয় দিনকে বলা হয় ‘মুভিং ডে’, মানে ম্যাচ কার দিকে হেলছে সেটি বোঝা যায়। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আগেই। এখন ফুলেফেঁপে উঠছে লিড। ঠিক কত রানে গিয়ে বাংলাদেশ থামবে, সেটি নিশ্চিত নয়। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দিনের খেলা শুরুর আগে বলেছেন, তখনো ইনিংস ঘোষণার ব্যাপারে কিছু ভাবতে চাননি তাঁরা। শুধু ব্যাটিং করে যেতে চেয়েছেন।
সেটি অবশ্য বাংলাদেশ করছে। প্রথম সেশনে আফগানিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি জাকির হাসানের উইকেট। সেটিও এসেছে রানআউটে। ৭১ রানে থেমেছেন তিনি। সেঞ্চুরি না পাওয়া আক্ষেপ থাকতেই পারে তাঁর। তবে নাজমুলকে এ টেস্ট দুহাত ভরেই দিচ্ছে বলতে হবে।
নাজমুল দেখিয়ে দিলেন
নাজমুল দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে একই ম্যাচে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। মুমিনুল হক ২০১৮ সালে এই কীর্তি গড়েছেন। সেই জোড়া সেঞ্চুরির একটা ইতিহাসও আছে। মুমিনুলের সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এসেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর আগে বাংলাদেশ দলের যখন কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহে, তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল মুমিনুলের।
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে সেই মুমিনুলই জোড়া সেঞ্চুরিতে হাথুরুসিংহেকে জবাব দিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, আজ নাজমুল যখন সেঞ্চুরির উদ্যাপনে হাওয়ায় উড়লেন, তখন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম থেকে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানালেন সেই হাথুরুসিংহে।
আজ শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ
মিরপুর টেস্টের মাঝেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের ঐতিহাসিক লড়াই। আজ বাংলাদেশ সময় ৪টায় শুরু এজবাস্টন টেস্ট।
কত রানে থামবে বাংলাদেশ?
আরেকটি রেকর্ড
৪৯১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এবার লিড হয়ে গেল ৫০০ রানের। প্রথমবারের মতো ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ৫০০ রানের লিড নিল বাংলাদেশ। এর আগে সর্বোচ্চ লিড ছিল ৪৭৬ রানের, ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে। সেবার ১ উইকেটে ২৮৪ রানের স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন খেলেছিলেন ১১৮ বলে ১১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাদমান ইসলামও। বাংলাদেশ সে টেস্ট জিতেছিল ২২০ রানে।
এ টেস্টে খুব দ্রুতই ইনিংস ঘোষণা করবে বাংলাদেশ, হাবভাবে সেটি মনে হচ্ছে না।
অবশেষে থামলেন নাজমুল
প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের পর এবার ১২৪ রানেই থামলেন নাজমুল হোসেন। দিনে প্রথম কোনো উইকেটের দেখা পেলেন কোনো আফগানিস্তান বোলার। জহির খানের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে অন সাইডে খেলেছিলেন নাজমুল, তবে সরাসরি ক্যাচ গেছে শর্ট মিড অনে থাকা অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির কাছে। অবশ্য সরাসরি আম্পায়ার আউট দেননি, বল মাটিতে পড়েছিল কি না ক্যাচের আগে তা দেখার জন্য যাওয়া হয় টেলিভিশন আম্পায়ারের কাছে। দারুণ একটি ইনিংসের সমাপ্তি ঘটল বেশ আলগা আউটে। ২৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
নাজমুলের পর নেই মুশফিকও
প্রথম বলে ডাবলস, এরপর স্লগ সুইপে ছক্কা, এরপর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট। মুশফিকুর রহিমের ইনিংস টিকল ৩ বল। জহির খান এক ওভারে পেলেন জোড়া সাফল্য। রিভার্স সুইপের চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক, গ্লাভসে লেগে ক্যাচ গেছে স্লিপে। বলের বাউন্স ছিল মুশফিকের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। শুরু থেকেই মুশফিক ছিলেন আক্রমনাত্মক, তাহলে কি ইনিংস ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো বার্তা ছিল তাঁদের কাছে?
মুমিনুলের ফিফটি
প্রথম ইনিংসে সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন, তা বলাই যায়। মুমিনুল হক এবার পেলেন ফিফটি। নিজাত মাসুদের ফুললেংথের ডেলিভারিটি মিডউইকেট দিয়ে ঘুরিয়ে টেস্টে নিজের ১৭তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুমিনুল, সর্বশেষ ৫ ইনিংসে এটি দ্বিতীয় ফিফটি। মাঝে ফর্মটা চরম বাজে গেছে, অবশেষে ছন্দে ফিরছেন। এবার তাঁর লেগেছে ৬৭ বল, এ পর্যন্ত মেরেছেন ৭টি চার। ১৭টি ফিফটির পাশাপাশি মুমিনুলের আছে ১১টি সেঞ্চুরি। ১২ নম্বরটির দেখা পাবেন এবার?
টার্ন আর বাউন্স
মুমিনুল হক একটু ভড়কেই গেলেন। জহির খানের বলে টার্ন তো ছিলই, ছিল বাড়তি বাউন্সও। দিনের খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে আতহার আলী খান বলেছিলেন, পিচের ফাটল উন্মুক্ত হয়েছে। জহিরের বলটিও হয়তো সেটিরই ইঙ্গিত। তবে ম্যাচের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে জহিরের ওই বলটি আফগানিস্তানের জন্য দুঃসংবাদই। তিন পেসারের সঙ্গে স্বীকৃত দুই স্পিনার—তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজকেও তো সামলাতে হবে তাদের।
আপাতত বাংলাদেশ এগিয়ে ৫৫১ রানে। ইনিংস ঘোষণার নামগন্ধ নেই এখন পর্যন্ত। মুমিনুল এগোচ্ছেন, সঙ্গে আছেন লিটন দাস। আফগানিস্তান আবার তিনটি রিভিউই হারিয়ে ফেলেছে। সর্বশেষ লিটন দাসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়েছিল তারা। তবে বলটি মিস করে যেত স্টাম্প, বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে এমন।
লিটনের তিন চার
দুটি পুলের পর কাট করে আরেকটি। আমির হামজা হোতাকের এক ওভারে ৪ বলের মধ্যে ৩টি চার মারলেন লিটন দাস। ৩০ বলে ২৫ রান ছিল এ ওভারের শুরুতে, এখন ৩৫ বলে ৩৭ রান হয়ে গেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। অন্যপ্রান্তে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন মুমিনুল, ৮৪ রানে অপরাজিত তিনি। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানে। বাংলাদেশ এগিয়ে ৫৯২ রানে।
এবার ৬০০ রানের লিড
নিজাত মাসুদের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন লিটন। তবে সেটি নেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। হয়েছে চার। বাংলাদেশের লিডও পেরিয়ে গেছে ৬০০ রান। এর আগে তৃতীয় ইনিংসে কখনো ৫০০ রানের লিডই ছিল না বাংলাদেশের।
মুমিনুলকে অপেক্ষায় রেখে চা-বিরতিতে গেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ৩৭৮/৪, ৬১৪ রানে এগিয়ে
প্রথম সেশনে ১২১ রান। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ তুলল ১২৩ রান। লিড ৬১৪ রানের। আফগানিস্তানকে কঠিন সময় উপহার দিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকেরা।
অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে চা-বিরতিতে গেছেন মুমিনুল হক। আপাতত নজর তাঁর দিকেই। এ বাঁহাতি অপরাজিত ৯৫ রানে। ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে তিনি। লিটন ফিফটি থেকে ২ রান দূরে দাঁড়িয়ে। দুজনের জুটি (৯৬ রান) সেঞ্চুরি ছোঁয়ার অপেক্ষায়।
এ সেশনে জোড়া সেঞ্চুরি করা নাজমুল ও মুশফিক—দুজনকে একই ওভারে হারায় বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান আর সাফল্যের দেখা পায়নি। বাংলাদেশও ব্যাটিং করেই যাচ্ছে। আপাতত তাই স্বাগতিকদের ইনিংস ঘোষণার অপেক্ষা করা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই যেন সফরকারীদের।
শেষ সেশনে কি ইনিংস ঘোষণা করবে বাংলাদেশ?
লিটনের ফিফটি
মুমিনুল সেঞ্চুরির অপেক্ষায়, তবে ফিফটি পেয়ে গেলেন লিটন। জহির খানকে প্যাডল সুইপে মারা চারে মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে ১৬তম ফিফটি এটি তাঁর।
অনেক অপেক্ষার সেঞ্চুরি মুমিনুলের
২০২৩ সালের জুন। মিরপুরে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ৯৪ রানে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করছিলেন, নিজাত মাসুদের বল গিয়ে আঘাত করল মুমিনুল হকের কাঁধে। ম্যাজিক স্প্রের পর বরফ প্রয়োজন পড়ল তাঁর। এত কাছে গিয়ে মুমিনুল হার মানতে চান না যেন! তবে তাঁর অপেক্ষা বাড়ে চা-বিরতিতে। ৯৫ রানে দাঁড়িয়ে তখন মুমিনুল।
অবশেষে ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের শর্ট বলে আপার কাটে চার মেরে মুমিনুল পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। তেমন কোনো উদ্যাপন করলেন না, হেলমেটটা খুলে ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরলেন শুধু। তবে তাতে মিশে থাকার কথা স্বস্তি। এ সেঞ্চুরিতে যে ফুরোল দীর্ঘ এক অপেক্ষা!
২০২১ সালের এপ্রিল। পাল্লেকেলেতে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন খেলেছিলেন ১৬৩ রানের ইনিংস। টেস্ট ক্যারিয়ারে নাজমুলের সেটি ছিল প্রথম সেঞ্চুরি। সেই নাজমুল আজ পেলেন জোড়া সেঞ্চুরির দেখা, মুমিনুলের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে। পাল্লেকেলেতে মুমিনুল করেছিলেন ৩০৪ বলে ১২৭ রান। ক্যারিয়ারে সেটি ছিল মুমিনুলের ১১তম সেঞ্চুরি, দেশের বাইরে প্রথম।
এরপর?
এরপর খরা। সেঞ্চুরি দূরের কথা, মুমিনুল হক যেন টেস্টে রান করাই ভুলে গেলেন। অধিনায়কত্বও হারালেন। মাঝে তো দল থেকে বাদও পড়েছিলেন টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। মাঝে ৯ ইনিংস এক অঙ্কে, মানে ১০ রান করার আগেই ফিরেছিলেন মুমিনুল। ‘কী হলো মুমিনুলের’, অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন ছিল তখন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে।
অবশেষে ২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি-খরা কাটালেন মুমিনুল। এর আগে গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরির বেশ কাছে গেলেও ৮৪ রান করেই থামতে হয়েছিল এ বাঁহাতিকে। আফগানিস্তানের এমন অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ, সঙ্গে ব্যাটিংয়ের জন্য খুব কঠিন নয় ধরনের উইকেটে প্রথম ইনিংসে ১৫ রানেই আউট হয়ে মুমিনুল সুযোগ হারিয়েছিলেনই বলতে হবে।
এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও যে খুব স্বচ্ছন্দ্যে ছিলেন, বলা যাবে না। তবে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন। সেঞ্চুরিতে যেতে তাঁর লাগল ১২৩ বল। এখন পর্যন্ত মেরেছেন ১২টি চার। বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারে করেছেন অনেক রান।
টেস্টে আজ মাত্র তৃতীয় দিন, ইনিংস ঘোষণার চেয়ে ব্যাটসম্যানদের সুযোগ করে দেওয়াই লক্ষ্য। ফলে সেদিক থেকেও মুমিনুলের ওপর কোনো চাপ ছিল না। মুমিনুল সে সুযোগ কাজে লাগালেন দারুণভাবে। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে মুমিনুলের সঙ্গে ঠিক ‘মধুর সম্পর্ক’ ছিল না চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। সেই হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদে এবার আরেকটি সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ৩১ বছর বয়সী কক্সবাজারের ব্যাটসম্যান। হয়ত ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কাঙ্খিত সেঞ্চুরি তাঁর এটিই।
রেকর্ড
৭৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪০৫ রান। ওভারপ্রতি উঠেছে ৫.৪০ করে রান। এর আগে কখনোই এত রান রেটে ৪০০ বা এর বেশি রান তোলেনি বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
৮০ ওভার শেষ, আফগানিস্তান চাইলে নতুন বল নিতে পারবে— এমন সময়ে ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামল ৪ উইকেটে ৪২৫ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসের ২৩৬ রানে এগিয়ে থাকায় দুই ইনিংস মিলিয়ে লিড দাঁড়িয়েছে ৬৬১ রানে। জিততে হলে আফগানিস্তানকে তুলতে হবে ৬৬২ রান। লিটন ৮১ বলে ৬৬ ও মুমিনুল ১৪৫ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষকে দেওয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ লক্ষ্য এটি। এর আগে ২০২১ সালে হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুইয়ানদের ২৫৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতেছিল ২২০ রানে।
রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের
সফরের একমাত্র টেস্টে জিততে হলে রেকর্ডই গড়তে হবে আফগানিস্তানকে। মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সফল তাড়ার সর্বোচ্চ ইনিংস ২০৯ রানের, যা ২০১০ সালে ইংল্যান্ড খেলেছিল।
প্রথম বলেই নেই ইব্রাহিম
৬৬২ রানের লক্ষ্য। সেই রান তাড়ায় আফগানিস্তান উইকেট হারাল ইনিংসের প্রথম বলেই! শরীফুল ইসলামের ফুললেংথের বল মিস করে যান ইব্রাহিম জাদরান। আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন। তবে সেটি কাজে আসেনি।
আফগানিস্তান ০.১ ওভারে ০/১।
প্রথম ওভারে সফল তাসকিনও
প্রথম ইনিংসটা তাসকিন আহমেদের ভালো যায়নি। এবারও প্রথম বলেই ফুললেংথে পেয়ে চার মারেন আব্দুল মালিক। তবে পঞ্চম বলে গিয়ে উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেন তাসকিন। এবার লেংথ কমিয়ে এনেছিলেন, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তবুও ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন মালিক। আউটসাইড-এজ হয়েছে, উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। রহমত শাহর সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম ২ ওভারেই ২ উইকেট নেই আফগানিস্তানের!
শেষ বলে অবশ্য তাসকিনকে আবার চার মেরেছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।
উঠে গেলেন হাশমতউল্লাহ
তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে ডাক করতে গিয়েছিলেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। তবে বলের লাইন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেননি, বল সরাসরি আঘাত করে হেলমেটে। হাশমতউল্লাহ পড়ে যান সঙ্গে সঙ্গেই। ফিজিও ছুটে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছেন, তবে হাশমতউল্লাহ ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। আশার কথা হলো, স্ট্রেচার মাঠে নেওয়া হলেও আফগানিস্তান অধিনায়ক মাঠ ছেড়েছেন হেঁটেই। আপাতত নাসির জামাল নেমেছেন ব্যাটিংয়ে। সুযোগ আছে কনকাশন বদলির। তবে আপাতত হাশমতউল্লাহর জন্য শুভকামনা। আমরা আশা করি তিনি ঠিকঠাকই থাকবেন।
মিরপুরের আকাশ
গত দুই দিনই বর্ধিত সেশনে খেলা হয়েছে। তবে আজ আকাশের যে অবস্থা, তাতে ফ্লাডলাইট জ্বালানো হয়েছে আগেভাগেই।
দুই দিকেই স্পিনার
আকাশ মেঘলা, ফ্লাডলাইট জ্বালানো হয়েছে আরও আগেই। দুই প্রান্ত থেকেই আনা হয়েছে স্পিনারকে, তাইজুল ইসলামের পর বোলিংয়ে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর আগে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের আলোচনাও করতে দেখা গেছে। দিনে যত ওভার হবে, এখন আর পেসারের না আসার সম্ভাবনাই বেশি।
বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট, আফগানিস্তানের ৬১৭ রান
দুই প্রান্ত থেকে স্পিনারদের ৩ ওভার পরই আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলার শেষ ঘোষণা করলেন আম্পায়াররা। গত দুই দিন বর্ধিত সেশনে প্রায় ৩০ মিনিট করে অতিরিক্ত খেলা হয়েছিল, আজ আর সেটি সম্ভব হলো না। ৬৬২ রানের লক্ষ্যে প্রথম ২ ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান দিন শেষ করেছে ২ উইকেট হারিয়েই ৪৫ রান নিয়ে। যদিও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি উঠে গেছেন তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়ে।
বাকি দুই দিনে আফগানিস্তানে প্রয়োজন তাই আরও ৬১৭ রান, বাংলাদেশের ৮ উইকেট। এ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে আছে আগে থেকেই। আফগানিস্তানের কাজটিই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কঠিন হয়ে পড়েছে আরও।
৩৭০ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে শেষ সেশনে এসে। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, এমন কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিনটা স্মরণীয় করে রাখলেন নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হক। নাজমুল করেছেন টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি, মুমিনুলের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে। আর ২৬ ইনিংসের সেঞ্চুরি-খরা কাটিয়েছেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮০ ওভারে তুলেছে ৪২৫ রান, মানে ওভারপ্রতি উঠেছে ৫.৩১ হারে রান। কমপক্ষে ২০ ওভার ব্যাটিং করা ইনিংসগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের যেটি সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫.০৭ (২৭.১ ওভার)। বাজবলের ছোঁয়া বাংলাদেশেও? হতেই পারে!