পাঞ্জাব কিংসের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই, এ মৌসুম থেকে তাই সে অর্থে প্রাপ্তির কিছু নেই তাদের। কিন্তু একসময় শীর্ষস্থানটা প্রায় পাকা করে বসা রাজস্থান রয়্যালসের হাতছানি ছিল অনেক কিছুরই। প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করতে বাকি দুই ম্যাচের অন্তত একটি বা অন্য ম্যাচের ফলভেদে দুটিই জিততে হতো তাদের। তবে রাজস্থানের জয়ের অপেক্ষা বাড়ল।
১৪৪ রানের সম্বল নিয়ে পাঞ্জাবকে শুরুতে চাপে ফেললেও তাদের অধিনায়ক স্যাম কারেনকে টলাতে পারেনি রাজস্থান। ৪১ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে পাঞ্জাবকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন কারেন, এর আগে যিনি নেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে যাবেন কারেন, এ ম্যাচই এ মৌসুমে শেষ ছিল তাঁর। অন্যদিকে এ নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারল রাজস্থান, শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সমীকরণটা তাদের কঠিন হয়ে গেল আরেকটু।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে যশস্বী জয়সোয়াল ফেরার পর পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৩৮ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। জস বাটলার চলে গেছেন, তাঁর জায়গায় আসা আরেক ইংলিশ টম কোলার-ক্যাডমোরের আইপিএল-অভিষেকটা মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি। ২৩ বলে ১৮ রান করে থেমেছেন তিনি, তাঁর আগেই থামেন অধিনায়ক স্যামসনও।
রাজস্থানকে এরপর টানেন মূলত রিয়ান পরাগ। চতুর্থ উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভালোই সঙ্গ দেন তাঁকে, দুজন যোগ করেন ৫০ রান। তবে এরপর সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি পরাগকে। শেষ ওভারে গিয়ে হার্শাল প্যাটেলের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিফটি থেকে ২ রান দূরেই থামেন পরাগ।
এক হারপ্রীত ব্রার ছাড়া পাঞ্জাবের পাঁচজন বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ২টি করে নেন অধিনায়ক স্যাম কারেন, লেগ স্পিনার রাহুল চাহার ও পেসার হার্শাল প্যাটেল।
১৪৪ রানের সংগ্রহ—ম্যাচের মাঝপথে সেটিকে খুব একটা বড় মনে হচ্ছিল না। তবে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। ট্রেন্ট বোল্টের পর আঘাত করেন আভেশ খান ও যুজবেন্দ্র চাহাল। অষ্টম ওভারে জনি বেয়ারস্টোও ফিরলে পাঞ্জাব পরিণত হয় ৪৮ রানে ৪ উইকেটে। মাঝে ২৯ বল কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই পার হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।
পঞ্চম উইকেটে কারেন ও জিতেশ শর্মার জুটিটা অবশ্য বদলে দেয় ম্যাচের গতিপথ। দুজন ৪৬ বলে যোগ করেন ৬৩ রান, এ ম্যাচে যেটি ফেবারিট বানিয়ে দেয় পাঞ্জাবকে। নিজের শেষ ওভারে জিতেশকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন চাহাল।
তবে অন্য প্রান্তে পাঞ্জাবের আশা হয়ে ছিলেন কারেন। আশুতোষ শর্মার সঙ্গে তাঁর ১৯ বলে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৪৪/৯ (পরাগ ৪৮, অশ্বিন ২৮, স্যামসন ১৮, কোলার-ক্যাডমোর ১৮; কারেন ২/২৪, চাহার ২/২৬, হার্শাল ২/২৮)
পাঞ্জাব কিংস: ১৮.৫ ওভারে ১৪৫/৫ (কারেন ৬৩*, জিতেশ ২২, রুশো ২২, আশুতোষ ১৭*; আভেশ ২/২৮, চাহাল ২/৩১, বোল্ট ১/২৭)
ফল: পাঞ্জাব ৫ উইকেটে জয়ী