পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে শেষের শুরুর সুযোগ পেলেন ওয়ার্নার
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের ১৪ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বাঁহাতি এই ওপেনার দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপ কাটালেও টেস্টের ফর্ম পড়তির দিকে।
২০১৯-২০ মৌসুমের পর থেকে টেস্টে ওয়ার্নারের গড় মাত্র ২৮। ২০২০ সালের পর টেস্টে শতক মাত্র একটি। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এই জায়গা নেওয়ার জন্য নির্বাচকদের দরজায় কড়া নাড়ছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাট রেনশ। তবে আপাতত পার্থ টেস্টে ওয়ার্নারের ওপরই ভরসা রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা। পাকিস্তান সিরিজে সিডনি টেস্ট দিয়েই টেস্টে অবসরে যাওয়ার কথা ওয়ার্নারের।
১৪ ডিসেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। এরপর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের (২৬ ডিসেম্বর) পর ৩ জানুয়ারি শুরু হবে সিডনি টেস্ট। ঘরের মাঠে হতে যাওয়া এই ম্যাচ দিয়েই ১৩ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানার কথা ওয়ার্নারের। গত জুনে ওয়ার্নার জানিয়েছিলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও অ্যাশেজে ভালো করে যদি পাকিস্তান সিরিজে সুযোগ পাই, তাহলে সেখানেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াব। আমি একদম পাকাপাকি বলতে পারি (এরপর) ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলব না।’
পার্থ টেস্টের দল ঘোষণার সময় অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘প্যাট ক্যামিন্সের নেতৃত্বে এই দল দীর্ঘ সময়ের জন্য একটা শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে।’
ব্যানক্রফট, হ্যারিস ও রেনশ—এই তিন ক্রিকেটারই আছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রাইম মিনিস্টার একাদশে। বেইলি জানিয়েছেন, ‘দলে ঢোকার জন্য স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি সুযোগ আসবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো করছে, তাদের সেরাটা দেখার জন্য আমার উন্মুখ হয়ে আছি। তাদের মধ্যে অনেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে সপ্তাহের শেষ দিকে দারুণ একটা সুযোগ পাবে।’
অস্ট্রেলিয়া তাদের সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ওভালে। সেই টেস্টের দল থেকে পরিবর্তন হয়েছে একটি। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন স্পিনার নাথান লায়ন। বাদ পড়েছেন আরেক স্পিনার টড মার্ফি। পার্থ টেস্ট দিয়েই টেস্টে ৫০০ উইকেটের মালিক হতে চাইবেন লায়ন। বর্তমানে এই স্পিনারের উইকেট ৪৯৬টি। টেস্টে ৫০০ উইকেটের ঘর ছুঁয়েছেন এখন পর্যন্ত মাত্র সাতজন। তাঁদের মধ্যে স্পিনার ৩ জন—মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন ও অনিল কুম্বলে।
পার্থ টেস্টে জায়গা পেয়েছেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার—মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন। পেস আক্রমণের দায়িত্বে থাকছেন যথারীতি মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, অধিনায়ক কামিন্স। দলে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ল্যান্স মরিস। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা এই পেসারের অভিষেক হতে পারে পার্থেই।
প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড
ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, মারনাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, স্কট বোলান্ড, ক্যামেরন গ্রিন ও ল্যান্স মরিস